আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
২. পুরুষের জন্য কি মেরুন লাল কাপড় পড়া কি বৈধ?

৩. এক বোন হতে-
আমার বাবার বাড়িতে কখনো কারো পা ছুয়ে সালাম করিনি কারন সবাই জানে এটা আমার অপছন্দ।কিন্তু শশুড়বাড়িতে যদি মুরব্বিদের পা ছুয়ে সালাম না করি তবে তারা খুব রাগ হবে ও অসম্মানিত অনুভব করে বেয়াদব বলে বা কুৎসা রটাবে যে আমার আদব নাই। অন্য সবার কথা বাদ দিয়ে শশুড় আব্বুও এইসব বিষয়ে অনেক বাছেন ।আমি এমতাবস্থায় কি করব? তাদের বোঝানো সম্ভব না।

৪. মুসলিম ব্যক্তি কি এসব তার কথায় ব্যবহার করতে পারবে," ঘরের শত্রু বিভীষণ ", " ভুতের মুখে রাম নাম", " তুমি অনেক লক্ষী",  " তোমার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক" ?

কেউ যদি বলে এগুলো কেবল ই বাগধারা কথা কিংবা ভাব প্রকাশের মাধ্যম?  ইসলাম কি বলে?

এক বোনকে নিষেধ করলে তিনি বলেন," বাগধারা হিসেবে ব্যবহারে সমস্যা হওয়ার কথা না ... আর অর্থও এমন নয় যেটা শিরক বা কুফরি।
আমরা যেমন মীর জাফর  নামটাকে বিশ্বাসঘাতকের প্রতীক হিসাবে ইউজ করে থাকি সেভাবেই এটা ব্যবহার করেছি।
বাংলার শব্দভান্ডারে হাজার হাজার সনাতন শব্দ আছে আপু, যা বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। ইভেন সিন্ধু নদের উপত্যকায় বসবাসকারী সব মানুষকেই হিন্দু বলা হতো, ভৌগলিকভাবে একজন মুসলিমও হিন্দু। যেমন এখন আমরা বাঙালী,  আবার মুসলিমও। হিন্দু শব্দটা দিয়ে আমরা যা বুঝি তা মূলত সনাতন ধর্মকে নির্দেশ করে। তাই হিন্দুয়ানী নয় বলা যেতে পারে, সনাতন ধর্মীয় টার্মটার মিনিং ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক নয় আপু।  টার্ম গুলো তার চরিত্র কে হাইলাইট করে।"

এই কথা গুলো শরিয়াহর দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
মায়ের রুহের মাগফিরাত কামনা করে সদকাহ করতে হবে যেমন, কাউকে টিবওয়েল বসিয়ে দেয়া ইত্যাদি

(২)
না, বৈধ না।

(৩)
সালাম করা নবীজী সাঃ এর সুন্নাত।
কাউকে সালাম দিতে হলে মূখ দিয়ে উচ্ছারণ করে "আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ "বলতে হবে।কেননা এটাই ছিলো রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রীতিনীতি ও পদ্ধতি।পা ছূয়ে বা হাত নেড়ে সালাম করা বা সম্মান প্রদর্শন করা নবীজী সাঃ এর রীতিনীতি ছিল না। বরং এটা সরাসরি সুন্নাত বহির্ভূত কাজ।এবং বেদআত।যা অবশ্যই বর্জনীয়। 

মা-বাবা বা কোন নেককার বুজুর্গের হাত-পা ও কপালে বরকতের নিয়তে ছুমা দেওয়াকে অধিকাংশ  ফুকাহায়ে কেরাম জায়েয মনে করেন।তবে মাথা নূয়ে পায়ে ছুমা দেওয়া সম্পর্কে ফুকাহাদের মধ্যে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।অধিকাংশের মতে বৈধ রয়েছে।
কিন্তু পায়ে ধরে মাতাপিতা বা শশুড়-শাশুড়ি কে সালাম বা সম্মান প্রদর্শনকে কেউ -ই বৈধ মনে করেন না।(জাওয়াহিরুল ফিকহ,১/২০০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পায়ে এবং পায়ের সামনের জমিনে চুমু দিয়েছেন।সে হিসেবে বলা যায় যে,নিজ মাতাপিতা বা নেককার বুজুর্গ ব্যক্তিবর্গের পায়ে নির্জনে চুমু দেওয়া যাবে। তবে প্রচলিত নিয়মানুসারে পায়ে ধরে সালাম করা যাবে না।এটা বিদ'আত ও সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পায়ে ধরে সালাম করা বিজাতীয় সংস্কৃতি। 
(৪)
মুসলিম ব্যক্তি এসব তার কথায় ব্যবহার করতে পারবে না," ঘরের শত্রু বিভীষণ ", " ভুতের মুখে রাম নাম", " তুমি অনেক লক্ষী",  " তোমার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক" 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...