আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
reopened by
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُه

আমি ইন্টার 2nd year এ পড়ি। এখন আমি পুরোপুরি ইসলাম মেনে চলার চেষ্টা করি, দাড়ি ও রেখেছি আলহামদুলিল্লাহ। এখন আমি রাসূল সাঃ যে তিন ভাবে চুল রাখতেন সেভাবে রাখতে চাই। কিন্তু আমার বাবা বলছেন চুল রাখার জায়েজ পদ্ধতির কথা, মানে ছোট চুল রাখার কথা।
আমার কথা হলো আল্লাহ যেহেতু নবী সাঃ কে পুরোপুরি অনুসরণ করতে বলেছেন সেহেতু নবী সাঃ যেভাবে মাথার চুল রাখতেন আমিও সেভাবেই রাখবো। যেখানে সুন্নত আছে সেখানে জায়েজ কেন নিতে যাবো।

কিন্তু আমার বাবা বলছেন ইসলামের অন্য সব মেনে চল বা অন্য সব ক্ষেত্রে নবী সাঃ কে অনুসরণ কর, কিন্তু মাথার চুল জায়েজ পদ্ধতি তথা ছোট রাখ। তিনি কেন এটা বলছেন জানিনা তবে মনে হয় সমাজ এই ধরনের চুল পছন্দ করবে না তাই তিনি এই ব্যাপারে নিষেধ করছেন। আসলে তিনি অনেক ক্ষেত্রেই দ্বীন থেকে বিমুখ। আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন তিনি পুরোপুরি দ্বীনের পথে ফিরে আসেন।

جَزَاكَ اللَّهُ خَيْر
by (8 points)
উত্তর কি দিবেন??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3411 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
চুল কাটা ও শরয়ী বিধি-বিধান।
চুল  সম্পর্কে শরয়ী বিধান হচ্ছে,পরিবেশ ও পরিস্থিতি এবং আবহাওয়া সাথে সমতা রেখে বাবড়ি চুল ও চুলমুন্ডন,এ দু-থেকে যে কোনো একটিকে গ্রহণ করা যাবে,এতে কোনোপ্রকার বিধি-নিষেধ নেই।তবে বাবড়ি চুল রাখা সুন্নাত  এবং চুল মুন্ডন করাও হানাফি মাযহাব মতে সুন্নাত,অর্থাৎ উভয়টিই সুন্নাত ।(ফাতওয়ায়ে রশিদিয়া)

এবং চুলকে কেটে খাটো করাও যাবে তবে বিষয়টা একটু ব্যখ্যা সাপেক্ষ্য।
সুতরাং চুল কাটা সম্পর্কে ইসলামী বিধান হচ্ছে,চতুর্দিকে সমান করে কাটা,যতটুকু সামনের দিকে কাটা হবে ততটুকু পিছন ও মাথার মধ্যখান এবং উভয় সাইট থেকেও কাটতে হবে,উভয় সাইট ও পিছনের দিকে চুল ফেলে দিয়ে সামন বা মধ্যখানে চুল রেখে দেয়া কখনো জায়েয হবে না বরং তা হারাম হবে। আফসোস!আজকে আমাদের যুবসমাজ এ বিজাতীয় বিকৃতিমূলক সংস্কৃতিককে অত্যান্ত আন্তরিকতা সাথে গ্রহণ করছে।অথচ হাদীসে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে,যে যে ব্যক্তি  যে জাতীর অনুকরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।

https://www.ifatwa.info/1722 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি মা বাবার কথা মতই আপাতত চুল রাখবেন। হ্যা বাবাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাবড়ি চুল রাখার দিকে অগ্রসর হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...