আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
483 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু,

আগের প্রশ্ন থেকে জানতে পেরেছি যে,

"কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

কোনো ব্যাক্তি মা'যুর প্রমানিত হয়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ওয়াক্ত গুলোতে পুরো সময় উক্ত ওযর পাওয়া জরুরি নয়,বরং পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।  
,
সুতরাং যদি কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,উক্ত সমস্যা তথা বায়ুজনিত সমস্যা  বন্ধ না হয়,বরং চলতেই থাকে,এই উযরের কারণে অল্প সময়ে ছোট ছুরা দিয়ে হলেও ফরয নামায পড়া আপনার জন্য কোনোভাবেই সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। "

এখন আমি কি মজুর কি না ওইটা জানার জন্য আবার প্রশ্ন করা

আমার বায়ু সমস্যাটা সারাদিন সমসময় হয়।

বিশেষ করে প্রতিদিন জামাতে বা একাকী নামাজে প্রতিবার ওজু করার সময় বায়ু আসে আবার ওজু শেষ হওয়ার পর পর বায়ু আসে। আবার পরিপূর্ণ ওজু করে নামাজ পড়ার 1-2 রাকাত নামাজের মধ্যে আবার বায়ু চলে আসে যেটা আটাকানো যায় না।  ( এগুলো প্রতিদিন গড়ে 3-4 ওয়াক্ত  নামাজে হয়)
আবার যদি জামাতে নামাজ না পড়ি যেহেতু মাজুর এর বিধান অনুযায়ী আল্প সময়ে পুরো ওয়াক্ত এর মত যেকোন আল্প সময় নামাজ পড়তে না পারা।

যোহর,  আসর এবং এশার যেহেতু ওয়াক্ত বড় তাই এগুলোতে অনেক্ষন অপেক্ষা করে বা বার বার বায়ু আসলে বার বার ওজু করে করে, একটা সময় ফরয নামাজ আদায় করতে সম্ভব হয়। কিন্তু প্রায় প্রতিদিন  অপেক্ষা করতে করতে একদম শেষ ওয়াক্ত হয় যায় মাঝে মাঝে।
১. এখন প্রশ্ন হল আমি কি মাজুর হিসেবে জামাতে নামাজ পড়তে পারব? কারণ আমার এইটা প্রতিদিন হয়।
যেহেতু জামাতে নামাজ শেষ হওয়ার পরও অনেক্ষন সময় থাকে, নাকি প্রতি ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে যখন বায়ু আসবে না, তখন নামাজ আদায় করে নিব?

২. আমার একই সাথে প্রস্রাবের ফোটার সমস্যা ও আছে। প্রাশাব করার পর অনেক্ষন ধরে পরিষ্কার করার পর ও নামাজের সময় প্রাশাবে ফোটা পড়ে যায়।  এই ফোটা প্যান্ট পরে আবার সন্দেহ হয় যে আমার পায়ের রানে পড়েছে। এক্ষেত্রে কি আমি প্রতি ওয়াক্ত একটা প্যান্ট দিয়ে নামাজ পড়ব? আর পায়ের রানে সামান্য প্রস্রাবের এর ফোটা পড়লে কি আবার পায়ের রান পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে?

৩. আমার বায়ুর সমস্যা এবং প্রস্রাবের ফোটার সমস্যা দুইটা প্রতিদিন হয় এক্ষেত্রে কি আমি কি মাজুর?

৪. আর মাজুর সময়টা কত ওয়াক্ত থাকবে? সেহেতু বালা আছে যে "পরবর্তী প্রতি ওয়াক্তে এক বারও যদি উক্ত ওযর পাওয়া যায়,তাহলে সে মা'যুরই থাকবে।"

৫. জুমার নামাজে একবার ওজু করে যেয়ে সুন্নত নামাজের সময় বায়ু বের হয় আবার ওজু করেতে হয় আবার বায়ান শুনার সময় বায়ু বের হয় আবার খুতবা শুনার সময়ও বায়ু বের হয় আবার ওজু করে জুমার ফরজ এর সময়ও আবার বায়ু আসে, এভাবে 1 ঘন্টায় 3-4 বার হয়।  আবার রমজানে একবার ওজু দিয়ে এশার নামাজ পরে আবার ওজু করতে হয়। এভাবে তারাতাবির নামাজে অনেক বার ওজু করতে হয়।
এসব ক্ষেত্রে কি আমি কি মাজুর হিসাবে ধারব ? আমি নিশ্চিত এই সমস্যার কারনে জামাতে নামাজটা প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্ত মিস যাবে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
আপনার প্রশ্ন অস্পষ্ট।যতটুকু বুঝতে পেরেছি,সেই আলোকে বলছি,
যেহেতু আপনি নামাযের একটি ছোট্ট ওয়াক্তেও বায়ু বের হওয়া ব্যতিত পড়তে পারছেননা, তাও আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।

আপনি প্রতি ওয়াক্তের জন্য একবার অজু করে নিবেন।এটাই আপনার জন্য যথেষ্ট।


(২)
জ্বী, প্রস্রাবের ফোটা পড়ার সম্ভাবনা থাকায়, কাপড় বা শরীরের যে অংশেই প্রস্রাবের ফোটা পড়বে, আপনাকে তা ধৌত করতে হবে।

(৩)
জ্বী, আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।


(৪)
যতক্ষণ সুস্থ হচ্ছেন,ততক্ষণ আপনি মা'যুর থাকবেন।

(৫)

জ্বী, এখানেও আপনি মা'যুর.।

আপনার প্রতি আকুল আবেদন,
প্রশ্নের উত্তর না বুঝলে, প্রশ্নগুলোকে সংক্ষেপণ করে বুঝিয়ে ইডিট করে দিবেন।নিজে না পারলে অন্যর মাধমে লিখিয়ে নিবেন।
এ বিষয়ে নতুনকরে আর প্রশ্ন করবেন না।না বুঝলো আমাদের সাথে কলে যোগাযোগ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
–1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 221 views
...