আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
273 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (18 points)
reshown by
আমাদের এলাকায়,  প্রচলিত জমি  লিজের নিয়ম হলো, জমি দাতা জমির বিনিময়ে কিছু টাকা নেই বাৎসরিক হিসাবে। এবং প্রদত্ত টাকা থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা কেটে নেয়। আর যে ভাড়া নেয় সে জমির ফসল উপভোগ করে। এভাবে জমির লিজ দেওয়া নেওয়া জায়েজ আছে কিনা।?

দলিলসহ দেয়ার অনুরোধ রইলো।

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বন্ধকি প্রথা হারাম নয়, বরং বন্ধকী লেনদেন করার পর উক্ত জিনিষের ব্যবহার সুদের আওতাধীন।
https://www.ifatwa.info/4958 নং ফাতাওয়ায় বন্ধকী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার এক পর্যায়ে আমরা বলেছি যে, বর্তমান সমাজে জমি বন্ধকের প্রচলন রয়েছে।অহরহ জমি বন্ধক দেওয়া হচ্ছে বা নেওয়া হচ্ছে।কিন্তু জমি বন্ধকের ইসলামী নিয়মনীতি কি এ সম্পর্কে অনেকেরই কোনো ধারণা নেই।

ইসলাম এ প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে কি বলে?
আসুন কিছুটা সময় ব্যয় করে এ সম্পর্কে কিছু শরয়ী বিধি-বিধান জেনে নেই।যাতে ইহকাল ও পরকালের সঠিক রাস্তা অর্জন করতে সহায়ক হয়।

বন্ধকের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লামা হাসক্বফী রাহ বলেনঃ
(هُوَ) لُغَةً: حَبْسُ الشَّيْءِ.
وَشَرْعًا (حَبْسُ شَيْءٍ مَالِيٍّ) أَيْ جَعْلُهُ مَحْبُوسًا لِأَنَّ الْحَابِسَ هُوَ الْمُرْتَهِن(ُبِحَقٍّ يُمْكِنُ اسْتِيفَاؤُهُ)
তরজমাঃরেহেন(বন্ধক)এর শাব্দিক অর্থ কোনো কিছুকে বন্ধী করে রাখা।পারিভাষায় রেহেন বলা হয়,কোনো জিনিষকে হক্ব বা কোনো প্রাপ্তধনের মুকাবেলায় বন্ধী করে রাখা।যাতে পরিবর্তীতে তা দিয়ে নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা যায়। (আদ-দুর্রুল মুখতার-৬/৪৭৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/4958

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জমি ইজারা যদি এভাবে হয় যে, জমিদাতা ৫বছরের জন্য ১লক্ষ টাকার বিনিময়ে যদি জমি বন্ধক রাখে, এবং যে এই জমি নিলো তার সাথে জমিদাতা চুক্তি করে যে, প্রতি বছর নামমাত্র ১০০ টাকা ৫ বছরে ৫০০টাকা ভাড়া হিসেবে পাবে।

এই জমি যখন ফিরিয়ে দিবে তখন এই ভাড়ার টাকা ঐ ১লাখ টাকা থেকে কর্তন করে বাকি টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ পদ্ধতিও জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানতে উপরের লিংকে ক্লিক করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...