আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম, স্ত্রী যদি স্বামী কে বলে আল্লাহর কসম আপনার আনা খাবার আমার জন্য হারাম এক্ষেত্রে কি কাফফারা আদায় করতে হবে।আর কাফফারা আদায় না করা পর্যন্ত কি স্ত্রী স্বামীর আনা খাবার খেতে পারবে না?

২/একজন মানুষ অনেক চেষ্টা করে ও সে উর্পাজনের কোনো পথ খুজে পাচ্ছে না,কোনো কাজ শুরু করলে ও তাতে সফলতা পায় না।সে হালাল হারাম, নামাজ পর্দা সকল কিছু ই মেনে চলে, কিন্তু তার কোনো কাজে ই বারাকাহ নেই এতে মাঝেমধ্যে ই সে সবর হারিয়ে ফেলে কান্নাকাটি করে এতে কি সে গোনাহগার হবে?

৩/কি করলে তার উপরোক্ত পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে,উর্পাজনে বারাকাহ পাবে,কাজে সফলতা পাবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5011 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
فعلم أن تحريم الحلال يمين موجب للكفارة وما في بعض الروايات من أنه يحلف صريحا فليس هو في الآية ولا في الحديث الصحيح إلى آخر ما في فتح القدير
মোটকথাঃ হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতুল্য।যা কাফফারাকে ওয়াজিব করবে।পরিস্কারভাবে কসমকে উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।(বাহরুর রায়েক-৪/৩১৭)

تحريم الحلال يمين. كذا في الخلاصة. فمن حرم على نفسه شيئا مما يملكه لم يصر محرما ثم إذا فعل مما حرمه قليلا، أو كثيرا حنث ووجبت الكفارة كذا في الهداية-
হালালকে হারাম সাব্যস্ত করা কসমের সমতূল্য। যে ব্যক্তি কোনো জিনিষকে নিজের উপর হারাম সাব্যস্ত হবে।এ হারাম সাব্যস্তর দ্বারা উক্ত জিনিষ অবশ্যই হারাম হবে না।তবে যদি সে উক্ত জিনিষ করে নেয়,কম হোক বা বেশী হোক,তাহলে সে কসম ভঙ্গকারী রূপে গণ্য হবে।তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে।(হেদায়া)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কাফফারা আদায় না করা পর্যন্ত স্ত্রী তার স্বামীর আনা খাবার খেতে পারবে না।

(২)
তার উচিৎ প্রতিদিন রাতে সূরায়ে ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করা।সূরায়ে ওয়াকেয়া তিলাওয়াত করলে অবশ্যই বরকত হবে।

(৩)
পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়লে অবশ্যই সবকিছুতে বরকত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...