আসসালামু আলাইকুম হুজুর। অনেকগুলো প্রশ্ন করেছি হুজুর,, আপনার জবাবের আশায় আছি,,, দয়া করে বিরক্ত হবেন না। আপনার মুসলিম বোনকে সাহায্য করুন। চিন্তাদূর করতে সাহায্য করুন দয়া করে।
১।কোন মহিলা যদি সন্দেহ করে তার **** হয়েছে কিনা। এবং নিচের ঘটনায় তার ইজাব কবুল হবে কিনা বলে দিবেন।
ঘটনা ঃ মহিলা লুডু খেলার সময় তার স্বামীকে বলে তুমি না আমার জামাই,??,, আমার গুটি কাইটো না। এই কথা বলার পর স্বামী সম্ভবত হেসেছিল,,,, কি বলেছিল সঠিক মনে নেই৷ এই কথার পর যদি স্বামী বলতো যে,,, আমার বউ ভয় পাইছে"" এই কথার মাধ্যমে কি ইজাব কবুল হতো?? বা স্বামী শুধু বউ বলে সম্মোধন করতো / বলতো তুমি আমার বউ। এই ধরনের কথায় কি ইজাব কবুল হয়ে যেত???
সময় সামনে দুইজন থাকতে পারে একজন হচ্ছে মহিলার ভাই তার বয়স ২০, আরেকটা বোন তার বয়স ও ২১,,,, আরেকটা ছেলে সামনে ছিল কিনা সঠিক মনে নেই,, থাকতেও পারে,,তার বয়স হচ্ছে ১৩/১৪।
১৩/১৪ বয়সের ছেলে কি ইজাব কবুলের সাক্ষী হতে পারে?? সে হয়তো সম্পূর্ণভাবে সাবালক হয়নি তবে তার মধ্যে প্রাথমিক কিছু পরিবর্তন লক্ষনীয়। তার কন্ঠ চেঞ্জ হচ্ছে। বুঝবো কিভাবে সে সম্পূর্ণ সাবালক কিনা,,, বা তাকে কি সাক্ষি হিসেবে গণ্য করা যাবে??
২।স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে তুমিতো আমার জামাই,, স্বামী যদি উত্তর দেয় হ্যাঁ,,, বা যদি বলে হ্যা্ঁ আমি তোমার জামাই,, তাহলে কি ইজাব কবুল হবে??
বা জামাই যদি উত্তর দেয়,,,তুমি আমার বউ। এইখানে প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষী থাকলে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে??এইখানে তো কোন ইজাব কবুলের উদ্দেশ্য ছিল না বা কোন দেনমোহরের কথা বলা হয়নি। তাও কি ইজাব কবুল হবে?? এইখানে শুধু কথার পৃষ্টে এরকম কথা বলা হয়ে থাকলে হুকুম কি??
৩। সাক্ষী যদি এমন হয় সদ্য নাবালক থেকে সাবালক হয়েছে,, বয়স খুবই কম,,, তাহলে কি সে সাক্ষি হতে পারবে? যেমন ঃ ১৪ বছর পূর্ন হয়ে মাত্র ১৫ তে পা রাখা ছেলে,,সে কি সাক্ষী হতে পারবে?? সাবালক হবার জন্য কোন শর্ত বেশি জরুরি? দাড়ি মুছ উঠলে হবে?? নাকি বীর্যপাত হওয়া লাগবে??
৪। মূলত ১৮ বছর না হলে তো কাউকে প্রাপ্তবয়স্ক বলা যায়না। আর ছেলেদের বিয়ের বয়স ধরা হয় আমাদের দেশে ২১,, কিন্তু ইসলামী শরিয়া মোতাবেক কত বছর বয়সী ছেলে বিয়ের সাক্ষী হতে পারবে?? ১৫ বছর হলেও কি হতে পারবে যদি সে সাবালক হয়??
৫। হুজুর যাদের সামনে ইজাব কবুলের মত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে,, তাদেরকে প্রশ্ন করলে যদি সঠিক মনে না করতে পারে ঘটনা,,, তাহলেও কি ইজাব কবুল হবে? স্বামী স্ত্রী উভয়েই যদি নিশ্চিত না হতে পারে তাহলে হুকুম কি?
৬।কোন মহিলা যদি হুজুরের কাছে প্রশ্ন করে কলে, """"হুজুর কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি তালা** মতো ঘটনা ঘটে,,, তাহলে কি তাদের মধ্যে অজান্তে ইজাব কবুল হতে পারে কোন কথা বার্তার মাধ্যমে?? তারপর হুজুর বলে দেখতে হবে কোন ধরনের তা**** হয়েছে,,, তারপর মহিলা উত্তর দেয় হুজুর তা**** বায়ে* বা কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে। """
""এইখানে মহিলা বলেছে কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে,বা বলেছে যে তা*** বায়ে* পতিত হবার কথা"" এইটুকু বলার ফলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? সে নিজেকে উল্লেখ করে প্রশ্নটা করেনি,,, কারন সে শিউর ছিল না পতিত হয়েছিল কিনা তাও এইভাবে প্রশ্ন করার কারণে কি মহিলার উপর *** পতিত হবে?? সন্দেহের বশে সে প্রশ্ন করেছিল।
৭। কোন মহিলা কি শুধু এইটুকু বলে তার নিজেকে তা*** দিতে পারবে??,
সে যদি বলে """" কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে বায়ে* তালা* হয়েছে """ এইটুকু বলার সময় সে তো উল্লেখ করেনি যে তার নিজের তা*** হয়েছে নাকি অন্য কারোর কথা বলছে। তাহলে কি সমস্যা হবে?? বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??
৮।হুজুর কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে শত দিতো কোন একটি বিষয়ে কথা না বলতে,,,যেমনঃ স্ত্রীকে স্বামী শর্ত দেয় যাতে তা***** একটি ঘটনা নিয়ে তার সাথে কথা না বলে বা এই বিষয়ে সন্দেহ নিয়ে স্বামীকে কিছু না বলে। তারপর স্ত্রী যদি পরবর্তীতে প্রশ্ন করে """আপনি সেদিন শুধুমাত্র ওই ঘটনার কথা বলতে না করেছিলেন না?? আর শুধুমাত্র ওই বিষয়ের সন্দেহ নিয়ে না বলতে বলেছিলেন না?? """ স্ত্রী এইখানে বিষয়ের নাম উল্লেখ করেনি কিন্তু স্বামী বুঝতে পেরেছিল কোন বিষয় বুঝিয়েছে,,, স্ত্রীর এইভাবে প্রশ্ন করার জন্য কি শত মোতাবেক তা*** পতিত হয়ে যাবে?? স্বামী বলেছিল তা**কের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কথা না বলতে,,,, কিন্তু স্ত্রীতো অই নির্দিষ্ট বিষয়ে স্বামীর কাছে কিছু বলেনি শুধু জিজ্ঞেস করেছে ওই বিষয়ের কথা নিষেধ করেছিল কিনা।। যদি এইভাবে প্রশ্ন করে তাহলে কি শত কার্যকর হয়ে যাবে বা তা** পতিত হবে শত মোতাবেক?
৯। হুজুর কোন মহিলা যদি ওয়াসওয়াসার কারনে মনে আসে কথা মুখে বলে ফেলে কিন্তু কানে আসে না স্পষ্ট,,, যেমন ঃ তার নাক বন্ধ অবস্থায় তার কানে শুধু লা শব্দটি আসে,,, কিন্তু তালা* সম্পূর্ণ শব্দটি সে বলেনি/ কানেও আসেনি যতটুকু মনে হচ্ছে,,, এমন সময় মনে ওয়াসওয়াসা আসে সে ভাবে আমিত নিজেকে বলিনি তাহলে সমস্যা হবে না,,,সাথে সাথে তার মুখের শব্দের মধ্যে এমন একটা আওয়াজ সে বুঝে নেয় যেটা "নিজেকে" বলার মত,,,, তারপর সে ভয় পায়৷ কিন্তু পরে নিজেই সমাধান খুজে পায় যে,, সে তো তালা* বলেনি সম্পূর্ণ বা কানে আসেনি। তাহলে নিজেকে বলে থাকলেও সমস্যা হবে না।
তার কিছুদিন পর তার ওয়াসওয়াসা শুরু হয়,,,,ওইদিন কি আসলে সে উচ্চারণ করেছিল নাকি করেনি। এরকম সন্দেহে সে শান্তি পাচ্ছে না। এখন কি সন্দেহের বশে ধরে নিবে?? বা সন্দেহ থাকলে কি সেই তা** পতিত হবে??
১০। হুজুর সন্দেহের বশে তা*** হয়না এইটা ভেবে যদি মহিলা এই বিষয়ে চিন্তা না করে আর সংসার করে,,, যদি এমন হয় বাস্তবে তার তা*** পতিত হয়েছিল কিন্তু সে সন্দেহের কারনে মনে করতে পারেনি তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন???
১১। হুজুর কোন স্বামীকে যদি স্ত্রী জিজ্ঞেস করে সে কখনো কোন কেনায়া বাক্য বলার সময় অন্য ধরনের বা তালা** নিয়ত করেছিল কিনা। স্বামী এই প্রশ্নের উত্তর আগেও দিয়েছিল৷ তাও এই একই প্রশ্ন আরেকদিন স্ত্রী করায় স্বামী খুবই রাগ করে,, আর বলে ""হ্যাঁ বলেছি, যদি আবার জিজ্ঞেস করো তাহলে কিন্ত মন থেকে বলবো""" এই কথার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে? স্বামী আগেও এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরেও স্ত্রী এই প্রশ্ন করায় সে রাগ করে বা বিরক্ত হয়ে কথাটা বলেছে।
১২। ১১ নাম্বার প্রশ্নের ঘটনার পর আরও কথা হয়,, স্ত্রী কান্না করে বলে ওইসময় তুমি হ্যাঁ বলেছি বললা??? স্বামী অনেক জোড়ে আবারও বলে, "" হ্যাঁ বলেছি,,, বলেছি যে আবার জিজ্ঞেস করলে আবার ও বলবো,,,সে বলে আর কতবার উত্তর দিব,, এতবার উত্তর দেওয়ার পরেও যদি প্রশ্ন কর আর কি বলতে পারি আমি??সকালেও উত্তর দিলাম"" এইখানে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??
১৩। কোন স্ত্রী যদি সামীকে বলে আমি যদি এতই খারাপ হই আমাকে তা** দিয়ে দেও। তারপর স্বামী খুবই রাগ করে আর অবাক হয় সে বলে ""আর একটা কথা তুমি বলবা না,,আমি আজকে থেকে তোমার জন্য হারা* হয়ে গেছি,,,,ছিঃ এই কথা তুমি কিভাবে বললা??? ছিঃ. ."" এইসব বলে। তারপর আরও বলে তুমি যদি তা** দিতে চাও তাহলে সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিও আমিও সিগ্নেচার করে দিব ৷ সে আসলে স্ত্রীর কথায় খুবই কষ্ট পেয়ে কথাগুলো বলেছে এবং তার কোন নিয়ত ছিল না সে বলেছে। এখন এই কথার মাধ্যমে কি তা*** পতিত হয়ে যাবে স্বামী না চাইলেও??