আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। অনেকগুলো প্রশ্ন করেছি হুজুর,, আপনার জবাবের আশায় আছি,,, দয়া করে বিরক্ত হবেন না। আপনার মুসলিম বোনকে সাহায্য করুন। চিন্তাদূর করতে সাহায্য করুন দয়া করে।
১।কোন মহিলা যদি সন্দেহ করে তার **** হয়েছে কিনা। এবং নিচের ঘটনায় তার ইজাব কবুল হবে কিনা বলে দিবেন।

ঘটনা ঃ মহিলা লুডু খেলার সময় তার স্বামীকে বলে তুমি না আমার জামাই,??,, আমার গুটি কাইটো না।  এই কথা বলার পর স্বামী সম্ভবত হেসেছিল,,,, কি বলেছিল সঠিক মনে নেই৷ এই কথার পর যদি স্বামী বলতো যে,,,  আমার বউ ভয় পাইছে"" এই কথার মাধ্যমে কি ইজাব কবুল হতো?? বা স্বামী শুধু বউ বলে সম্মোধন করতো / বলতো তুমি আমার বউ। এই ধরনের কথায় কি ইজাব কবুল হয়ে যেত???

 সময় সামনে দুইজন থাকতে পারে একজন হচ্ছে মহিলার ভাই তার বয়স ২০, আরেকটা বোন তার বয়স ও ২১,,,,  আরেকটা ছেলে সামনে ছিল কিনা সঠিক মনে নেই,, থাকতেও  পারে,,তার বয়স হচ্ছে ১৩/১৪।
১৩/১৪ বয়সের ছেলে কি ইজাব কবুলের সাক্ষী হতে পারে?? সে হয়তো সম্পূর্ণভাবে সাবালক হয়নি তবে তার মধ্যে প্রাথমিক কিছু পরিবর্তন লক্ষনীয়। তার কন্ঠ চেঞ্জ হচ্ছে। বুঝবো কিভাবে সে সম্পূর্ণ সাবালক কিনা,,, বা তাকে কি সাক্ষি হিসেবে গণ্য করা যাবে??

২।স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে তুমিতো আমার জামাই,,  স্বামী যদি উত্তর দেয় হ্যাঁ,,, বা যদি বলে হ্যা্ঁ আমি তোমার জামাই,,  তাহলে কি ইজাব কবুল হবে??
বা জামাই যদি উত্তর  দেয়,,,তুমি আমার বউ। এইখানে প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষী থাকলে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে??এইখানে তো কোন ইজাব কবুলের উদ্দেশ্য ছিল না বা কোন দেনমোহরের কথা বলা হয়নি। তাও কি ইজাব কবুল হবে?? এইখানে শুধু কথার  পৃষ্টে এরকম কথা বলা হয়ে থাকলে হুকুম কি??

৩। সাক্ষী যদি এমন হয় সদ্য নাবালক থেকে সাবালক হয়েছে,, বয়স খুবই কম,,, তাহলে কি সে সাক্ষি হতে পারবে? যেমন ঃ ১৪ বছর পূর্ন হয়ে মাত্র ১৫ তে পা রাখা ছেলে,,সে কি সাক্ষী হতে পারবে?? সাবালক হবার জন্য কোন শর্ত বেশি জরুরি? দাড়ি মুছ উঠলে হবে?? নাকি বীর্যপাত হওয়া লাগবে??

৪।  মূলত ১৮ বছর না হলে তো কাউকে প্রাপ্তবয়স্ক বলা যায়না। আর ছেলেদের বিয়ের বয়স ধরা হয় আমাদের দেশে ২১,, কিন্তু ইসলামী শরিয়া মোতাবেক কত বছর বয়সী ছেলে বিয়ের সাক্ষী হতে পারবে?? ১৫ বছর হলেও কি হতে পারবে যদি সে সাবালক হয়??

৫। হুজুর যাদের সামনে ইজাব কবুলের মত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে,, তাদেরকে প্রশ্ন করলে যদি সঠিক মনে না করতে পারে ঘটনা,,, তাহলেও কি ইজাব কবুল হবে? স্বামী স্ত্রী উভয়েই যদি নিশ্চিত না হতে পারে তাহলে হুকুম কি?

৬।কোন মহিলা  যদি হুজুরের কাছে প্রশ্ন করে কলে, """"হুজুর কোন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যদি তালা** মতো ঘটনা ঘটে,,, তাহলে কি তাদের মধ্যে অজান্তে ইজাব কবুল হতে পারে কোন কথা বার্তার মাধ্যমে??  তারপর হুজুর বলে দেখতে হবে কোন ধরনের তা**** হয়েছে,,, তারপর মহিলা উত্তর দেয় হুজুর তা**** বায়ে* বা কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে।  """

""এইখানে মহিলা বলেছে কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে,বা বলেছে যে তা*** বায়ে* পতিত হবার কথা""  এইটুকু বলার ফলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? সে নিজেকে উল্লেখ করে প্রশ্নটা করেনি,,, কারন সে শিউর ছিল না পতিত হয়েছিল কিনা তাও এইভাবে প্রশ্ন করার কারণে কি মহিলার উপর *** পতিত হবে??  সন্দেহের বশে সে প্রশ্ন করেছিল।

৭। কোন মহিলা কি শুধু এইটুকু বলে তার নিজেকে তা*** দিতে পারবে??,

সে যদি বলে  """" কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে বায়ে* তালা* হয়েছে """ এইটুকু বলার সময় সে তো  উল্লেখ করেনি যে তার নিজের তা*** হয়েছে নাকি অন্য কারোর কথা বলছে।  তাহলে কি সমস্যা হবে?? বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

৮।হুজুর কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে শত দিতো কোন একটি বিষয়ে কথা না বলতে,,,যেমনঃ স্ত্রীকে স্বামী শর্ত দেয় যাতে  তা***** একটি  ঘটনা নিয়ে তার সাথে কথা না বলে বা এই বিষয়ে সন্দেহ নিয়ে স্বামীকে কিছু না বলে।   তারপর স্ত্রী যদি পরবর্তীতে প্রশ্ন করে """আপনি সেদিন শুধুমাত্র ওই ঘটনার কথা বলতে না করেছিলেন না?? আর শুধুমাত্র ওই বিষয়ের সন্দেহ নিয়ে না বলতে বলেছিলেন না?? """ স্ত্রী এইখানে বিষয়ের নাম উল্লেখ করেনি কিন্তু স্বামী বুঝতে পেরেছিল কোন বিষয় বুঝিয়েছে,,, স্ত্রীর এইভাবে প্রশ্ন করার জন্য কি শত মোতাবেক তা*** পতিত হয়ে যাবে?? স্বামী বলেছিল তা**কের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কথা না বলতে,,,, কিন্তু স্ত্রীতো অই নির্দিষ্ট বিষয়ে স্বামীর কাছে কিছু বলেনি শুধু জিজ্ঞেস করেছে ওই বিষয়ের কথা নিষেধ করেছিল কিনা।।  যদি এইভাবে প্রশ্ন করে তাহলে কি শত কার্যকর হয়ে যাবে বা তা** পতিত হবে শত মোতাবেক?

৯। হুজুর কোন মহিলা যদি ওয়াসওয়াসার কারনে মনে আসে কথা মুখে বলে ফেলে কিন্তু কানে আসে না স্পষ্ট,,,  যেমন ঃ তার নাক বন্ধ অবস্থায়  তার কানে শুধু লা শব্দটি আসে,,, কিন্তু তালা* সম্পূর্ণ শব্দটি সে বলেনি/ কানেও আসেনি যতটুকু মনে হচ্ছে,,, এমন সময় মনে ওয়াসওয়াসা আসে সে ভাবে আমিত নিজেকে বলিনি তাহলে সমস্যা হবে না,,,সাথে সাথে তার মুখের শব্দের মধ্যে এমন একটা আওয়াজ সে বুঝে নেয় যেটা "নিজেকে" বলার মত,,,, তারপর সে ভয় পায়৷ কিন্তু পরে নিজেই সমাধান খুজে পায় যে,, সে তো তালা* বলেনি সম্পূর্ণ বা কানে আসেনি। তাহলে নিজেকে বলে থাকলেও সমস্যা হবে না।
তার কিছুদিন পর তার ওয়াসওয়াসা শুরু হয়,,,,ওইদিন কি আসলে সে  উচ্চারণ করেছিল নাকি করেনি। এরকম সন্দেহে সে শান্তি পাচ্ছে না। এখন কি সন্দেহের বশে ধরে নিবে?? বা সন্দেহ থাকলে কি সেই তা** পতিত হবে??

১০। হুজুর সন্দেহের বশে তা*** হয়না এইটা ভেবে যদি মহিলা এই বিষয়ে চিন্তা না করে আর সংসার করে,,, যদি এমন হয় বাস্তবে তার তা*** পতিত হয়েছিল কিন্তু সে সন্দেহের কারনে মনে করতে পারেনি তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন???

১১। হুজুর কোন স্বামীকে যদি স্ত্রী জিজ্ঞেস করে সে কখনো কোন কেনায়া বাক্য বলার সময় অন্য ধরনের বা তালা** নিয়ত করেছিল কিনা। স্বামী এই প্রশ্নের উত্তর আগেও দিয়েছিল৷ তাও এই একই প্রশ্ন আরেকদিন স্ত্রী করায় স্বামী খুবই রাগ করে,, আর বলে ""হ্যাঁ বলেছি, যদি আবার জিজ্ঞেস    করো তাহলে কিন্ত মন থেকে বলবো""" এই কথার জন্য কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে? স্বামী আগেও এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরেও স্ত্রী এই প্রশ্ন করায় সে রাগ করে বা বিরক্ত হয়ে কথাটা বলেছে।
১২। ১১ নাম্বার প্রশ্নের ঘটনার পর  আরও কথা হয়,,  স্ত্রী কান্না করে বলে ওইসময় তুমি হ্যাঁ বলেছি বললা??? স্বামী অনেক জোড়ে  আবারও বলে, "" হ্যাঁ বলেছি,,, বলেছি যে আবার জিজ্ঞেস করলে আবার ও বলবো,,,সে বলে আর কতবার উত্তর দিব,, এতবার উত্তর দেওয়ার পরেও যদি প্রশ্ন কর আর কি বলতে পারি আমি??সকালেও উত্তর দিলাম"" এইখানে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

১৩। কোন স্ত্রী যদি সামীকে বলে আমি যদি এতই খারাপ হই আমাকে তা** দিয়ে দেও। তারপর স্বামী খুবই রাগ করে আর অবাক হয় সে বলে ""আর একটা কথা তুমি বলবা না,,আমি আজকে থেকে তোমার জন্য হারা* হয়ে গেছি,,,,ছিঃ এই কথা তুমি কিভাবে বললা??? ছিঃ. ."" এইসব বলে।  তারপর আরও বলে তুমি যদি তা** দিতে চাও তাহলে সিগ্নেচার করে পাঠিয়ে দিও আমিও সিগ্নেচার করে দিব ৷ সে আসলে স্ত্রীর কথায় খুবই কষ্ট পেয়ে কথাগুলো বলেছে এবং তার কোন নিয়ত ছিল না সে বলেছে। এখন এই কথার মাধ্যমে কি তা*** পতিত হয়ে যাবে স্বামী না চাইলেও??

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যার সাথে ঈমান আ'মলের কোনো সম্পর্ক নাই, এমন প্রশ্ন থেকে বিরত থাকুন।আপনি স্থাণীয় কোনো আলেমের শরণাপন্ন হোন,বা আমাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করুন।
দয়াকরে একই বিষয় নিয়ে বারংবার প্রশ্ন করবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
হুজুর উত্তরের অপেক্ষা করছিলাম কাল থেকে। দয়া করে কষ্ট করে উত্তর গুলো দিবেন।
by (583,410 points)
দয়া করে আজগুবি প্রশ্ন করে আমাদের সময় নষ্ট করবেন না।প্রয়োজনে আমাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করুন।বা স্থাণীয় কোনো আলেমের শরণাপন্ন হোন।এই একই প্রশ্নের জবাব আমরা অনেকবার দিয়েছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...