জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যেকোনো অন্যায়, নাজায়েজ কাজ হতে দেখলে শক্তি থাকলে হাত দ্বারা প্রতিহত করতে হবে।
শক্তি না থাকলে মুখ দ্বারা প্রতিহত করতে হবে।
শক্তি না থাকলে অন্তর দ্বারা ঘৃণা করে,তার পরিবর্তনের ফিকির করতে হবে,চিন্তা রাখতে হবে ।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِي قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ الله ﷺ يَقُولُ مَنْ رَأى مِنْكُمْ مُنْكَراً فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أضْعَفُ الإيمَانِ رواه مسلم
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন গর্হিত কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে পরিবর্তন করে)। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান।
(আহমাদ ১১০৭৪, মুসলিম ১৮৬, আসহাবে সুনান)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামীর যতি এতো শক্তি থাকে,যে তিনি কথা বলে এহেন দূর্নীতি প্রতিহত করতে পারবে,তাহলে কথা বলে সেটির প্রতিবাদ করে প্রতিহত করবে।
,
আর যদি তার এ পর্যায়ের শক্তি না থাকে,তাহলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে,প্রতিহত করার চিন্তা ফিকির করবে।
কখনোই নিজে সেই অন্যায় কাজে জড়াবেনা।