জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
কলেজে লেখাপড়া, বই ক্রয় করা ইত্যাদি বাবদ টাকা নিতে পারবেন।
(০২)
চিকিৎসার জন্য খরচ নেওয়া যাবে।
(০৩)
তার দেয়া হাদীয়া নেয়া যাবে।
(০৪)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻳُﺤِﻞُّ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒَﺎﺕِ ﻭَﻳُﺤَﺮِّﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢُ ﺍﻟْﺨَﺒَﺂﺋِﺚ
আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও অপবিত্র বস্তুসমূহকে হারাম ঘোষনা করেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﻭَﺗُﺪْﻟُﻮﺍْ ﺑِﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺤُﻜَّﺎﻡِ ﻟِﺘَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻓَﺮِﻳﻘًﺎ ﻣِّﻦْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻝِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺑِﺎﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।
হারাম উপার্জন কারীর দাওয়াত গ্রহন করার ক্ষেত্রে মূলনীতি হলোঃ
ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)
অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}
,
আরো জানুনঃ
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো আত্মীয়ের উপার্জন যদি পুরাটাই হারাম হয়,
তাহলে তার বাসায় দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ নেই।
আর যদি কাহারো উপার্জনে হালাল হারাম মিশ্রিত থাকে,যেমন চাকুরিতে দুর্নীতি,, ঘুষ গ্রহণ ইত্যাদি
তাহলে দেখতে হবে যে অধিকাংশ উপার্জন হালাল নাকি হারাম।
,
যদি তার অধিকাংশ উপার্জনই হারাম হয়,তাহলেও তার দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ নেই।
আর যদি তার অধিকাংশ উপার্জন হালাল হয়,তাহলে তার বাসায় দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ আছে।