আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন -

1.আমি কলেজ এ ভর্তি হয়েছি। এই পড়ালেখা করা , ক লেজ এর বই কেনা এইগুলো কি হালাল হবে আমার জন্য।(মা পড়া ছাড়াতে চায় না)

2. চিকিৎসার জন্য খরচ নেওয়া যাবে?
3.ভাইয়ের চাকরি একটা এগ্রিকালচার গ্রুপ এর কমার্শিয়াল সেক্টর এ।তাই তাকে অফিস এর কাজ ব্যাংক এ যাতায়াত করতে হয় ।তার দেওয়া হাদীয়া কি নেওয়া যাবে?
4.অনেক সময় এমন আত্মীয়দের বাসায় যাওয়া হয়(প্যারেন্টসদের সাথে বেড়াতে) যাদের ইনকাম হারাম মিশ্রিত। তাদের খাবার খাওয়া যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
কলেজে লেখাপড়া, বই ক্রয় করা ইত্যাদি বাবদ টাকা নিতে পারবেন।  

(০২)
চিকিৎসার জন্য খরচ নেওয়া যাবে।

(০৩)
তার দেয়া হাদীয়া নেয়া যাবে।

(০৪)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 

ﻭَﻳُﺤِﻞُّ ﻟَﻬُﻢُ ﺍﻟﻄَّﻴِّﺒَﺎﺕِ ﻭَﻳُﺤَﺮِّﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢُ ﺍﻟْﺨَﺒَﺂﺋِﺚ

আল্লাহ তা'আলা তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও অপবিত্র বস্তুসমূহকে হারাম ঘোষনা করেন। 

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 

ﻭَﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﻭَﺗُﺪْﻟُﻮﺍْ ﺑِﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﺤُﻜَّﺎﻡِ ﻟِﺘَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻓَﺮِﻳﻘًﺎ ﻣِّﻦْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻝِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺑِﺎﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺃَﻧﺘُﻢْ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ

তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না। এবং জনগণের সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে পাপ পন্থায় আত্নসাৎ করার উদ্দেশে শাসন কতৃপক্ষের হাতেও তুলে দিও না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ- 

ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।

হারাম উপার্জন কারীর দাওয়াত গ্রহন করার ক্ষেত্রে মূলনীতি হলোঃ
 
ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)

অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}
,
আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো আত্মীয়ের উপার্জন যদি পুরাটাই হারাম হয়,
তাহলে তার বাসায় দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ নেই।

আর যদি কাহারো উপার্জনে হালাল হারাম মিশ্রিত থাকে,যেমন চাকুরিতে দুর্নীতি,, ঘুষ গ্রহণ ইত্যাদি 
তাহলে দেখতে হবে যে অধিকাংশ উপার্জন হালাল নাকি হারাম।
,
যদি তার অধিকাংশ  উপার্জনই হারাম হয়,তাহলেও তার দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ নেই। 
আর যদি তার অধিকাংশ উপার্জন হালাল হয়,তাহলে তার বাসায় দাওয়াত গ্রহন করা জায়েজ আছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 109 views
...