আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
489 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
আস-সালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ উস্তায,আল হামদুলিল্লাহ আমার বিয়ের একটা প্রস্তাব এসেছে একটা পরিবার থেকে তাদের পরিবার থেকে মেয়েরা এসে আমাকে দেখে গেছে আল হামদুলিল্লাহ।আমার পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বাসায় দেখতে যেতে বলেছেন।উস্তায আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী কে চাই ইন শা আল্লাহ।উস্তায আপনি আমাকে একটু সাজেশন দেন ছেলে দ্বীনদার কি না,তার পরিবার দ্বীনের পথে চলেছে কি না!এগুলো কীভাবে বুঝা যাবে?আমার পরিবার ছেলেদের পরিবারের কোন কোন দিক দেখতে হবে?

আমার পরিবার প্র্যাক্টিসিং মুসলিম পরিবার নয় উস্তায।আমাকে সাহায্য করুন উস্তায।

কষ্ট করে আমার প্রশ্ন টা পড়ার জন্য আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে দুনিয়া এবং আখিরাতে অবশ্যই উত্তম জাযা দিবেন ইন শা আল্লাহ।আমার জন্য দুআ করবেন উস্তায আল্লাহ যেন আমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী দেন।

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)
বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।

★সুতরাং পাত্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে দ্বীনদারকে গুরুত্ব না দিলেও সমস্যা অবধারিত। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
 প্রথমেই আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে যে আপনি ইস্তেখারা করুন। এ লক্ষ্যে নামাজ আদায় করে দোয়া করুন।
যদি সেই পাত্র আপনার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কল্যাণকর হলে তাকে বিবাহ করুন।

ইস্তেখারার পদ্ধতি,দোয়া  সংক্রান্ত জানুনঃ- 

*পাত্রের মুখে সুন্নতি দাড়ি তথা এক মুষ্ঠি দাড়ি আছে কিনা,সেটি দেখবেন।

অবশ্যই তাকে নামাজের কথা জিজ্ঞেস করবেন। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিনা জানবেন।

তার ঘরে পর্দার পূর্ণ পরিবেশ আছে কিনা, জানবেন।

চাকুরীর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ। 
হালাল ইনকাম হলে বিবাহ করবেন।

ধূমপায়ী, মদ্যপায়ী, বদমেজাজী প্রভৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন।
প্রয়োজনে কাহারো মাধ্যমে এই বিষয় গুলোর সত্যতা যাচাই করতে তার প্রতিবেশিদের থেকে তথ্য নিবেন।

আপনি এই দিক গুলো ভালোভাবে দেখে বিবাহ করলে দ্বীনদার পাত্র পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...