আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে উত্তর গুলো দিবেন। হুজুর দয়া করে ইজাব কবুলের প্রশ্ন গুলোর উত্তর হ্যাঁ/ না বলে হলেও আলাদা ভাবে দিয়েন কষ্ট করে, ছোট করে হলেও আলাদা ভাবে উত্তরগুলো দিলে চিন্তামুক্ত হব হুজুর। অপরাধ নিবেন না হুজুর। সাহায্য করুন। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন ইনশাআল্লাহ।
১। শুধুমাত্র যদি কোন স্বামী কোন স্ত্রীকে বলে যে,,, আমি তোমাকে বিয়ে করলাম,, এই কথার মাধ্যমেই বিয়ে হয় যদি স্ত্রী সম্মতি দেয়? সম্মতি কেমন বাক্য বলার মাধ্যমে হতে পারে?? নাকি আরও কিছু কথা বার্তা আছে যেগুলো বললে বিয়ে হবে। দয়া করে যদি বলতেন কেমন কথা বলতে হয় ইজাব বা কবুলের ক্ষেত্রে।
২। স্বামী স্ত্রী যদি কয়েকজন প্রাপ্তবয়স্কর সামনে তাদের বিয়ে বা বিবাহ বার্ষিকী নিয়ে আলোচনা করে তাহলে কি বিয়ে হয়ে যায়?
যেমন বললো আমাদের বিবাহ বার্ষিকি আসতে আর দেরি নাই,,,বা আমাদের বিয়ের এত মাস হয়েছে,,,,এই ধরনের কথার মাধ্যমে কি ইজাব কবুল হয়?
(যদি তাদের মধ্যে তা**** বায়ে* হয়ে থাকে তাহলে কি এইভাবে ইজাব কবুল হয়ে থাকতে পারে?).
৩।ইজাব কবুলের সঠিক ঘটনা মনে না করতে পারলে যদি সে বিষয়ে চিন্তা বাদ দিয়ে দেয় আল্লাহর উপর ভরসা করে,,,তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?? কারন ওই স্ত্রী ভয়ে থাকে কোনভাবে অজান্তে ইজাব কবুল হয়ে বার বার **** পতির হলো কিনা? কিন্তু যদি সঠিক ইজাব কবুলের ঘটনা মনে না আসে শুধু সন্দেহ আসে তাহলে যদি ওই স্ত্রী ধরে নেয় বার বার ইজাব কবুল হয়ে বার বার তা-**** পতি* হয়নি,,,,এইটা ভেবে যদি সংসার করে তাহলে সমস্যা হবে?? কারন সে সন্দেহের বশে এক ***** ধরে পুনরায় ইজাব কবুল বলে সঠিকভাবে সংসার করতে,,এইক্ষেত্রে কি আল্লাহ মাফ করবেন সন্দেহ থাকার কারণে সব চিন্তা বাদ দেওয়ার ফলে???
৪।স্বামী স্ত্রীর উভয়েরই কোন সঠিক ঘটনা মনে না থাকলে ইজাব কবুল হবে?? এক্ষেত্রে কি সাক্ষীদের জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন আছে? মানে কাদের সামনে এ ধরনের কথা হয়ে থাকতে পারে তাই যদি মনে না থাকে তাহলে করণীয় কি??
৫। কোন স্ত্রী যদি হুজুরকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বলে,, বা বুঝাতে গিয়ে বলে কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে তা*** বায়ে* পতিত হবার কথা,,,অথচ বাস্তবে তা পতিত হয়নি। তাহলে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে?? সে নিজের নফসের কথা বলেনি বা সেই বিষয়ে বলতে চায়নি৷ তাহলে হুকুম কি?
৬।মহিলা কি কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে ***** দিতে পারবে তাকে?? কোন ধরনের কেনায়া বাক্য মহিলা বললে সমস্যা হয়??
৭। কোন মহিলা যদি তা**** বিষয়ে সন্দিহান থাকে,,সে ওয়াসওয়াসার রোগী ও মনে মনে অনেক কথা বলতে থাকে। তারপর সে সন্দেহে থাকে সে মুখে সঠিকভাবে উচ্চারণ করে বলে ফেললো কিনা,,,কানে আসছিল কিনা,, সে সত্যি অই ধরনের কিছু বলেছিল কিনা,,,এইসব বিষয়ে সন্দেহ আসলে কি পতিত হবে??
৮।যদি এমন হয় মহিলা সন্দেহ থাকার ফলে ধরে নেয় পতিত হয়নি৷ কিন্তু যদি তার বাস্তবে ***** পতি* হয়ে থাকতো তাহলে কি আল্লাহ মাফ করবেন?? কারন মহিলা কিছুতেই নিশ্চিত হতে পারে না বলেছিল কিনা বা কানে এসেছিল কিনা।
৯।।স্বামী যদি স্ত্রী কে বলে""" আমাকে আজকের পর আর Love You বলবা না,,,আমিও বলবো না।""" স্বামী অভিমান করে বলে কথাটা,,, এতে কি কোন শর্ত হবে?? নাকি স্বামী অনুমতি দিলে আবার এই কথা বলা যাবে?? সে তো শুধু না বলতে বলেছে,,বলেনি বললে কি হবে বা কোন শর্তের কথা বলেনি।
এরকম কোন কাজ করতে যদি স্বামী নিষেধ করে,,,আবার নিজেই অনুমতি দেয়,,তাহলে কি সেই কাজ করা যাবে??
১০।৯ নাম্বার প্রশ্নের এই ধরনের কথার মধ্যে কি তা***** নিয়ত করা যায়?? বা ওই নিয়তে যদি কেউ এই কথা বলে তাহলে সমস্যা হয়?? মানে আজকের পর আমাকে অমুক কথা বলবা না,,,এইটা কি কেনায়া বাক্য বা এইটা তে মনে মনে তা*** কথা থাকলে কি পতিত হবে??
১১।স্ত্রী তা*** বিষয়ে সন্দেহ করলে স্বামী যদি বিরক্ত হয় আর বলে,,, তাইলে আর কি,,, তোমার মতে তো সব হয়েই গে*। তাহলে আলাদা থাইকো। এইভাবে বললে কি সেটা কেনায়া বাক্য হবে?? স্বামীর মনে তা*** না থাকলেও কি সমস্যা হবে?
১২। শেষ জামানায় নাকি স্বামী স্ত্রী হয়েও জিনা করবে,,, কেউ যদি না জেনেই আজীবন জিনার পাপ করে,,,অর্থাত যদি অজান্তেই বউয়ের সাথে **** হয় বা আজীবন জিনা হয় আল্লাহ কি তাকে কোনদিন মাফ করবেন?? নাকি সে চির জাহান্নামী হবে??আল্লাহ তো দয়ার সাগর তাহলে কি সে আজীবন ইবাদাত করেও জাহান্নামি হবে?? নাকি আল্লাহ ক্ষমা করবেন?