আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
324 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি প্রশ্ন করেছিলাম সন্দেহের বশে ইজাব কবুল হয় কিনা।  আপনি বলেছিলেন সাক্ষি বা স্বামীকে জিগ্যেস করতে।  আসলে কাউকে জিজ্ঞেস করা সম্ভব না। কারন আমি যে ঘটনা গুলো বলেছি সেগুলো হচ্ছে এরকমঃ

১। স্বামী যদি স্ত্রীকে কারোর সামনে পরিচয় করিয়ে দেয় যে এটা আমার স্ত্রী,,, এবং স্ত্রী যদি সাথে সাথে তাদের সাথে সালাম দিয়ে কথা বলে তাহলে কি সেটা ইজাব কবুল হবে?? দুইজন সাক্ষি থাকলে হুকুম কি??

২। স্বামী অনেকসময় বউকে বউ বলে সম্মোধন করে,, সেখানে প্রাপ্ত বয়স্ক শালা শালি উপস্থিত থাকতে পারে,, তাদের সামনে স্বামী কোন ধরনের কথা বললে এবং স্ত্রী কোন ধরনের কথা বললে ইজাব কবুল হতো??

৩৷ শাশুড়ী যদি কয়েকজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় যে এটা আমার পুত্রবধূ,,,এবং তারপর মেয়েটি যদি সালাম দিয়ে কথা বলে তাদের সাথে। এতে কি ইজাব কবুল হবে?? মেয়েটির স্বামী সামনেই ছিল কিন্তু চুপ ছিল।

৪। যদি এমন হয় শাশুড়ী যাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে তাদের মধ্যে কোন একজন মহিলা যদি বলে এটা বউ?? মেয়েটি নিজে যদি বলে হ্যাঁ,,,  আর ছেলে/ স্বামীর দিকে ইংগিত দিয়ে যদি দেখায় এইটা জামাই?? জামাই যদি বলে হ্যাঁ,,, তাহলে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে?

৫।  স্বামী যদি বলে আমার বউয়ের ইচ্ছা করেছে জিলাপি খেতে তাই এনেছি,,, এই কথা বলার পর বউ যদি বলে"" হ্যাঁ আমি কি বলেছিলাম নাকি যে আনো,,,এই জিলাপি তো ভালো লাগেনা"""।

এইখানে স্বামী বউ বলার পর যদি বউ এইভাবে উত্তর দিয়ে থাকে তাহলে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে যদি সামনে উপযুক্ত সাক্ষী থাকে??

 ৬।এমন হয় স্বামী স্ত্রী কেউই শিউর না ইজাব কবুলের মত কিছু ঘটেছিল কিনা তাহলে হুকুম কি?? ৪ নাম্বার প্রশ্নের বিষয়টি সম্পুর্ন সন্দেহের উপরে করা,,,এমন কিছু ঘটেছিল কিনা ওইদিন এইটা ১% ও শিউর না। ৯৯% মনে হয় এমন কিছু হয়নি। তাহলে হুকম কি??
৭। হুজুর যে স্ত্রী সন্দেহ করছে তার অজান্তে কোন কথার মাধ্যমে ইজাব কবুল হয়েছে কিনা ,, সে বিয়ের পর থেকে বেশিরভাগ সময় নিজের বাড়িতে থেকেছে,,,সে তার প্রাপ্তবয়স্ক ভাই বোন মা কে জিজ্ঞেস করেছে জামাই বউ সম্মোধন করে কোন কথা তাদের সামনে হয়েছে কিনা। তারা সঠিক কেউই বলতে পারছে না। স্বামী নিজেও মনে করতে পারছে না। স্বামী প্রায়ই বউকে বউ সম্মোধন করে অনেক কিছু বলতো কিন্তু বউ সাথে সাথে সম্মতিসূচক কিছু কিছু বলেছে কিনা মনে  নেই। বা স্বামী তাকে বউ বলে ডাকার পর বউ সেটার সমর্থন করে কিছু বলেছে কিনা সঠিক মনে নেই। কি করা যায় এক্ষেত্রে হুজুর স্পষ্ট ঘটনা মনে না থাকলেও কি ইজাব কবুল হবে??

৮। হুজুর ইজাব কবুল সঠিকভাবে হবে এমন কোন ঘটনাই মাথায় আসছে না। বা কখনো উপযুক্ত সাক্ষীর সামনে এম্ন ধরনের কোন কথা হয়েছে কিনা মনে নেই যেটা তে ইজাব কবুল হবে।  শুধু উপরের ঘটনা গুলো নিয়ে সন্দেহ। এইগুলো তে ইজাব কবুল হবে না তো??স্বামীকে তার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে সে বলে সেও সঠিক ঘটনা মনে করতে পারছে না৷ কারন স্বামী অনেকসময় বউকে বউ বলে সম্মোধন করে থাকতে পারে, কিন্তু বউ কখনো সাথে সাথে জামাই বলে সম্মোধন করেছে কিনা সঠিক ঘটনা মনে নেই। উচ্চ সম্ভাবনা করেনি এরকম।

৯।কোন ধরনের কথা বার্তার মধ্যে ইজাব কবুল হতে পারে দয়া করে যদি বলতেন। দৈনন্দিন এরকম কি কি কথা আছে যেগুলো মানুষের সামনে বললে ইজাব কবুল হয়ে যেতে পারে??

১০।হুজুর,, স্ত্রী হচ্ছে ওয়াস ওয়াসার রোগী,, স্বামী কোন কেনায়া বাক্য বললে সে সন্দেহ করে শুধুই। স্বামীর নিয়ত নাই বলার পরেও তার মনে সন্দেহ থেকে যায়। একদিন একটি ঘটনা ঘটে।

স্বামী রাগ করে স্ত্রীকে বলে এই কাজ আর কখনো করলে কিন্তু অইদিনই সব শে* মনে করবা। "" স্বামী এই কথা বলার পরে স্ত্রী স্বামীর থেকে জানে যে তার কোন নিয়ত ছিল না তাও সে মনে মনে সন্দেহের কারনে তার স্বামীকে পরে একদিন জিজ্ঞেস করে,,, ওইদিন তুমি শুধুমাত্র ওই কাজ করতে নিষেধ করেছিলে না?? স্বামী বলে আমিতো বলেছি নিয়ত ছিল না তাও কেন এই কথা জিজ্ঞেস করছো?।

স্ত্রী বলে আমি জানি তোমার নিয়ত নাই,,শুধু জানতে চাইছি যে ওই কাজটাই করতে নিষেধ করেছিলে নাকি অন্য টাও। পরে স্বামী বলে হ্যাঁ অই কাজ।  এখন স্ত্রীর মনে স্বামীর  নিয়তের বিষয়ে সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করার কারণে এবং স্বামী এইভাবে উত্তর দেওয়ার কারনে কি শত আরোপ হবে?? স্বামীতো শর্ত দেওয়ার জন্য উত্তর দেয়নি৷ স্ত্রী জানতে চেয়েছে বলেছে তাই উত্তর দিয়েছে।স্ত্রী চেয়েছিল সঠিক বিষয়টি জেনে সেটা মেনেই চলবে সে।  তাই এইভাবে প্রশ্ন করেছিল৷
স্ত্রী বলেছে সে জানার জন্য প্রশ্ন করেছে তাই স্বামী উত্তর দিয়েছে। এখন স্ত্রীর মনে তা*** সন্দেহ থাকার কারণে কি স্বামীর উত্তরে কোন সমস্যা হবে??
১১। হুজুর ৭ নাম্বার প্রশ্ন করার সময় স্ত্রী যে স্বামীকে সন্দেহ করে প্রশ্ন করেছে এটা যদি স্বামী বুঝে যায়,,  তারপর স্বামী যখন উত্তর দেয়,,, "হ্যা্ঁ অই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছিলাম,"" এইটা বলার সময় স্বামী যদি মনে মনে ভাবে সে শর্ত দেওয়ার জন্য উত্তর দিয়েছে তাহলে কি সত্যি শর্ত পরবে? মানে স্বামী শুধু এইটুকু বলার মাধ্যমে শত দিতে পারবে  নাকি স্বামীকে এই বিষয়ে বলতে হবে যে সে শত দিয়েছে??? কারন স্ত্রী তাকে প্রশ্ন করেছে অই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছিল কিনা,,, স্ত্রী জিজ্ঞেস করেনি যে ওই বিষয়ের ঊপর শর্ত দিয়েছিল কিনা। তাহলে স্বামীর উত্তরের সময় তার মনে ***** নিয়ত আসলে কি সমস্যা হবে??

১২।হুজুর কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে শত দিতো কোন একটি বিষয়ে কথা না বলতে,,,যেমনঃ স্ত্রীকে স্বামী শর্ত দেয় যাতে  তা***** একটি  ঘটনা নিয়ে তার সাথে কথা না বলে বা এই বিষয়ে সন্দেহ নিয়ে স্বামীকে কিছু না বলে।   তারপর স্ত্রী যদি পরবর্তীতে প্রশ্ন করে """আপনি সেদিন শুধুমাত্র ওই ঘটনার কথা বলতে না করেছিলেন না?? আর শুধুমাত্র ওই বিষয়ের সন্দেহ নিয়ে না বলতে বলেছিলেন না?? """ স্ত্রী এইখানে বিষয়ের নাম উল্লেখ করেনি কিন্তু স্বামী বুঝতে পেরেছিল কোন বিষয় বুঝিয়েছে,,, স্ত্রীর এইভাবে প্রশ্ন করার জন্য কি শত মোতাবেক তা*** পতিত হয়ে যাবে?? স্বামী বলেছিল তা***** একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে কথা না বলতে,,,, কিন্তু স্ত্রীতো অই নির্দিষ্ট বিষয়ে স্বামীর কাছে কিছু বলেনি শুধু জিজ্ঞেস করেছে ওই বিষয়ের কথা নিষেধ করেছিল কিনা।।  যদি এইভাবে প্রশ্ন করে তাহলে কি শত কার্যকর হয়ে যাবে বা তা**** পতিত হবে শত মোতাবেক??

১৩।হুজুর কোন স্ত্রী যদি সন্দেহে থাকে কোন কেনায়া বাক্য বলার কারনে বা সে নিজেই এমন কোন কথা বলে ফেলার কারণে তা**** পতি* হলো কিনা?? বা তার অজান্তেই কোন ঘটনার কারনে আবার ইজাব কবুল হয়ে গেল কিনা।। ইজাব কবুল হয়ে আবারও ***** পতি* হল কিনা। এইভাবে তার সংসার জিবন বৈধ আছে কিনা সেটা নিয়ে সে সন্দেহে থাকে।  এখন করনীয় কি? সন্দেহের বশে নাকি **** হয়না,,সে একজন ওয়াসওয়াসার রোগী,, সে কি আল্লাহর উপর ভরসা করে সংসার করবে?? নাকি সে পাপী হবে?? অকারণে **** চাইলেও নাকি পাপী হয়,,, সে এখন কোন পথে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে যে আমি তোমাকে বিবাহের প্রস্তাব পেশ করছি বা করলাম আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে যে আমি গ্রহন করলাম বা কবুল বলবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে।

আরো জানুনঃ 

(১-৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইজাব কবুল হয়নি।
এইভাবে বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।  

(১০-১৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।
নিশ্চিত থাকুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...