আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্
আমি একটি বিষয় নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমি একটি পরিবারের একমাত্র ছেলে সন্তান আমার বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ।বাবা আর আমি দুজনে মিলেই ব্যবসাটি পরিচালনা করে থাকি। এবং আমি প্রাপ্ত বয়স্ক। ব্যবসা থেকে অর্জিত টাকা দ্বারাই সংসার পরিচালনা করা হয়ে থাকে । পাশাপাশি যে অর্থগুলো জমা হয়েছিল বা হচ্ছে সে অর্থ বিভিন্ন সুদ খাতে যেমন সঞ্চয় পত্র ক্রয় কিংবা মানুষকে পোষানি হিসেবে ধার দিচ্ছে। এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থ ও পরিবারে  বা অন্যান্য কাজে ব্যয় করছে।

(পোষিনি হল : কাউকে 80 হাজার টাকা ধার দিয়ে এক বছর পর তার থেকে 1 লক্ষ টাকা নেয়া।)

তারা বলে পোষায়নি নাকি সুদ না বলে এটা নাকি ধানের উপর দিয়েছে। অর্থাৎ ধান না নিয়ে বছর শেষে টাকা নিয়ে নিচ্ছে।

আমি তাদেরকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি অনেকবার চেষ্টা করেছি । যছ এগুলো সবই সুদ এইসব থেকে যেন তারা ফিরে আসে। কিন্তু তারা আমার কোন কথাই শুনতে চায় না বরং আমাকে..................

যেহেতু হারাম খেলে ইবাদাত কবুল হয় না। ইবাদাত করি তো খুব সামান্য তাও যদি বাতিল হয়ে যায় তাহলে আমার কি হবে সেটা ভেবেই আমি অনেক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তাই এখন আমি বুঝতে পারছি না আমার কি করা উচিৎ । আমি কি ওনাদের থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া উচিৎ ? আমি জানি না আমি কি করব ।

আশা করছি ওস্তাদ রা আমাকে একটি সুন্দর সমাধান দিবেন

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো টাকার বিনিময়ে টাকা নিলে  কোনো কমবেশি করা যাবেনা।
কম বেশি করলে সেটি সূদ হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْمَكِّيِّ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ تِبْرُهَا وَعَيْنُهَا وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مُدْىٌ بِمُدْىٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ ازْدَادَ فَقَدْ أَرْبَى وَلاَ بَأْسَ بِبَيْعِ الذَّهَبِ بِالْفِضَّةِ - وَالْفِضَّةُ أَكْثَرُهُمَا - يَدًا بِيَدٍ وَأَمَّا نَسِيئَةً فَلاَ وَلاَ بَأْسَ بِبَيْعِ الْبُرِّ بِالشَّعِيرِ وَالشَّعِيرُ أَكْثَرُهُمَا يَدًا بِيَدٍ وَأَمَّا نَسِيئَةً فَلاَ "

হাসান ইবন আলী (রহঃ) ........... উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সোনা সোনার বিনিময়ে সমান সমান বিক্রি করবে, চাই তা সোনার পাত হোক বা স্বর্ণ মুদ্রাই হোক এবং রুপা রুপার বিনিময়ে সমান সমান বিক্রি করবে, চাই তা রুপার পাত হোক বা রৌপ্য মুদ্রাই হোক। আর গম গমের বিনিময়ে এক মুদ এক মুদের বিনিময়ে বিক্রি করতে হবে এবং যবের বিনিময়ে যবও এক মুদের বিনিময়ে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। আর খেজুর খেজুরের বদলে এক মুদের বিনিময়ে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। একই ভাবে লবণ লবণের বিনিময়ে এক মুদের বদলে এক মুদ বিক্রি করতে হবে। এই প্রকারের একই ধরনের জিনিসের মধ্যে যে ব্যক্তি বেশী নিবে বা দিবে, তা-ই সূদ হবে।

তবে সোনাকে রুপার বিনিময়ে এ অবস্থায় বিক্রি করা, যখন রুপা উভয় অংশের মধ্যে অধিক হবে, তবে তা দূষণীয় নয়। তবে এতে শর্ত হলো- লেন-দেন হাতে হাতে হতে হবে, বাকীতে বিক্রি জায়িয হবে না। একই রূপে গম যবের বিনিময়ে বিক্রি করা দূষণীয় নয়, যখন যবের অংশ উভয়ের মধ্যে অধিক হবে। তবে তা এ শর্তে যে, লেন-দেন হাতে হাতে হতে হবে এবং এতেও বাকী বিক্রি বৈধ নয়।
(আবু দাউদ ৩৩১৬)

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতটি স্পষ্ট সুদের অন্তর্ভুক্ত। 
এখানে উক্ত সুদের টাকা যেহেতু পারিবারিক খরচে ব্যবহার হচ্ছে,তাই সকলেই হারামের সাথে যুক্ত হয়ে আছেন।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি মুরব্বিদের মাধ্যমে বুঝাতে পারেন।
আপনার বাবা যাদের কে মানে,তাদের মাধ্যমে বুঝাতে পারেন।
,
শত চেষ্টা করে বুঝানোর পরেও কাজ না হলে আপনার জন্য পৃথক হয়ে যাওয়া উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...