আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লা।শায়েখ আমি খুব চিন্তায়।মারাত্বক চিন্তায় এইসব বিষয় নিয়ে।আমি স্বামীর সাথে ভালভাবে থাকতে চায়।কিন্তু এসব চিন্তা মাথায় আসতে থাকে।আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।প্রশ্ন ৩ টা একটু বুঝিয়ে বললে ভাল হবে হুজুর।

১।স্বামী যদি বলে স্ত্রীকে তুমাকে তালাক দিয়ে দিব।স্ত্রী যদি বলে ঠিক আছে।স্বামীও যদি বলে ঠিক আছে বা ঠিক আছে রাখ।এই ঠিক আছে বলা এটা কি কেনায়া বাক্য? বা স্ত্রী যদি বলে স্বামীকে তুমাকে তালাক  দিয়ে দিব।স্বামী যদি বলে দিও।স্ত্রী যদি বলে ঠিক আছে দিব।স্বামীও যদি বলে ঠিক আছে বা ঠিক আছে রাখ।এই ঠিক আছে এটা কি কেনায়া বাক্য? জানার জন্য প্রশ্নটা করতেছি হুজুর।সব বিষয়ে মাথায় সন্দেহ আসে তাই।

২।হুজুর আমার স্বামি আমাকে তালাকের অধিকার দিছে।আমি কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না।মনে ভয় আসতে থাকে।আমি কথাটা  মনে আসলে সহ না না করতে থাকি।তালাকের কথা মুখ দিয়ে উচ্চারন ও করি না মনে আসলে সহ না না করতে থাকি বা না সূচক মাথা নাড়ি।আবার অন্য কথা শুনার সময়  বা ভাবার সময় না না করতে করতে হ্যা বলে ফেলি।মানে না না করতে থাকি সেখানে অন্য কথা মনে পড়লে বা শুনলে হ্যা বলি।মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।অন্য কথা ভাবার সময় হ্যা বলে ফেললে মানে না না করতে থাকতে থাকতে হ্যা বলে ফেলি তাহলে কি তালাক হবে? আমি চাই না নফসকে তালাক দিতে কিন্তুু চিন্তা আসতে থাকে।আমার খুব ভয় লাগে তখন।না বলতে বলতে হ্যা বলে ফেললে।তালাকের কথা মুখ দিয়ে উচ্চারন করিও না।শুধু না না করতে থাকি।মারাত্বক ভাবে চিন্তিত আমি।

৩।আমি জানার জন্য প্রশ্ন করতেছি।স্ত্রী যদি বলে তালাক দাও চলে যাব।স্বামি যদি বলে যাইলে যাও দরকার নাই এমন বউ বা যাইলে যাওগা দরকার নাই এমন বউ।মানে জের করবে না।মানে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়।যদি নিজ থেকে না বলে চলে যেতে না বলে।স্বামীর মন না থাকলে এভাবে কি তালাক হবে?আমি জানার জন্য প্রশ্ন করতেছি।আমার সন্দেহ হচ্ছে তাই।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কি আর করবো, আপনি নিজেও অযথা টেনশন করছেন, আমাদেরকেও টেনশন দিচ্ছেন। এগুলো কাল্পনিক প্রশ্ন।এরকম প্রশ্ন মূলত শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকেই অন্তরে বদ্ধমূল হয়। সুতরাং যখনই এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই অজু করে দু রাকাত নামায পড়ে শয়তানকে তাড়িয়ে দিবেন।দয়া করে এই প্রশ্নটি আবার করবেন না।

আপনার বর্ণিত পরিস্থিতিতে কোনো তালাকই পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...