ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম।
এটি মাখলুক নয়।
গায়রে মাখলুক।
কুরআন আল্লাহর কালাম বা বাণী। তা আল্লাহর সৃষ্টি জগতের অন্তর্ভুক্ত নয় বরং এটি তার যাত বা স্বত্বার এক অবিচ্ছেদ্য সিফত (বৈশিষ্ট্য)। সিফত বা গুণ-বৈশিষ্ট্য কখনো যাত বা স্বত্বা থেকে আলাদা হয় না।
আল্লাহ তা’আলা বলেন, “ নিশ্চয় এটা সম্মানিত কুরআন, যা আছে সুরক্ষিত কিতাবে”। ( সুরা ওয়াকিয়াঃ৭৭-৭৮ )।
আল্লাহ আরও বলেন, ” আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না। ( সুরা কাহাফ-২৭)
তিনি আরও বলেন: “আর মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে তাকে আশ্রয় দেবে, যাতে সে আল্লাহর কালাম শুনতে পায়।” ( সুরা তাওবাঃ ০৬) ।
وإن القرآن کلام اللہ، منہ بدا بلا کیفیة
قولاً وأنزلہ علی رسولہ وحیاً وصدقہ الموٴمنون علی ذلک حقاً وأیقنوا أنہ کلام اللہ تعالی بالحقیقة لیس بمخلوق ککلام البریة (العقیدة الطحاویة، ص: ۱۲)،
সারমর্মঃ কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম,এটি মাখলুক নয়।
والقرآن کلام اللہ تعالی غیر مخلوق (العقائد النسفیة مع شرحھا للتفتازاني، ص: ۴۶)
সারমর্মঃ
কুরআন আল্লাহ তায়ালার কালাম। মাখলুক নয়।
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আল্লাহর কালাম যদি আল্লাহ বান্দাকে শিক্ষা দেন,মুখস্থের তওফিক দেন,তাহলে সেটি বান্দা আল্লাহর তওফিকে সেটি আয়ত্ত করতে পারে।
এটির ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালাই দিয়েছেন।
লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআন গায়রে মাখলুক।
কাগজে যেই কুরআন লিপিবদ্ধ করা হয়,সেই কুরআনের কপি মাখলুক।
সুতরাং এতে সমস্যা নেই।
(০২)
এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৩)
আমার কাছে টাকা নেই বলার সময় যদি আপনার পকেটে সেই সময় টাকা না থাকে,এবং অন্তরে থাকে যে তাকে দেওয়ার মতো টাকা নেই,তাহলে এতে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মিথ্যার গুনাহ হবেনা।
(০৪)
এটি আত্মরক্ষার নিয়তে বা ভালো নিয়তে সাথে নিয়ে ঘুরাঘুরি করার ব্যাপারে দেশিও আইন অনুযায়ী বৈধতা থাকলে ঘুরাঘুরি করা যাবে।
নিষেধাজ্ঞা থাকলে এমনটির সুযোগ নেই।
(০৫)
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে পড়া যাবে।
মনে রাখতে হবে যে এগুলো সবই ভ্রান্ত মতবাদ।
আমি শুধু পরীক্ষার নিয়তে পড়ছি।
ইস্তেগফার চালিয়ে যাবেন।