আসসালামু আলাইকুম হুজুর। দয়া করে উত্তর গুলো দিবেন। বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছি।
১। কোন কারণে যদি কোন স্বামী স্ত্রীর ১ তা**** বায়ে* পতিত হয়। পরে তাদের ইজাব কবুল পরানো না হয়। এমন কোন ঘটনার মাধ্যমে কি তাদের ইজাব কবুল হয়ে যেতে পারে??
ঘটনা ঃ মেয়েটির স্বামী তাকে নিয়ে মেয়েটির শশুরের দোকানে গেল। সেখানে একজন কর্মচারী ছিল। মেয়ে এবং তার স্বামী প্রথমে কর্মচারির সাথে কথা বলে কেমন আছে জিগ্যেস করে। পরে সম্ভবত মেয়েটি আর তার স্বামী দোকানে ঢুকে আর মেয়েটি তার শশুরকে জিজ্ঞেস করে বাবা কেমন আছেন?? এখন এইভাবে কথা বলার জন্য কি ইজাব কবুল৷ হয়ে যাবে??
২। যদি এমন হয় শশুর মেয়েটির স্বামীকে জিজ্ঞেস করে, বউ আসে নি?? স্বামী যদি বলে এসেছে,,, তারপর বউ/ মেয়েটি শশুরের সাথে কথা বলে বাবা কেমন আছেন?? এইটা বলার কারনে কি ইজাব কবুল হবে?? এমন ঘটেছে কিনা সিউর না শুধুমাত্র সন্দেহ।সেখানে ছিল মেয়েটির স্বামী,,, কর্মচারী,, শশুড় এবং মেয়েটি।
৩। একদিন মেয়েটির শাশুড়ী তাকে কিছু মানু্ষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়, সেখানে ছিল তার স্বামী, দেবর আর কিছু মহিলা। তো মেয়েটির শাশুড়ী মহিলাগুলোর সামনে মেয়েটিকে পুত্রবধু হিসেবে পরিচয় দেয় এবং মেয়েটি ওই মহিলাদের সাথে সালাম দিয়ে কথা বলে সাথে সাথেই বলে, " কেমন আছেন??""তার এই কথা বলার জন্য কি কবুল হয়ে যাবে?
। এখন এই মানুষগুলো কে কি সাক্ষী ধরা হবে?? আর মেয়েটির শাশুড়ী যে পুত্রবধু হিসেবে পরিচয় দিলো সেজন্য কি ইজাব ধরা হবে?? মেয়েটি তো তার শাশুড়ী পুত্রবধু পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর সালাম দিয়ে কথা বলে। তাহলে কি এইখানে ইজাব কবুল হয়ে গেছে??
মেয়েটির স্বামি সামনেই ছিল সে সম্ভবত চুপই ছিল। এখন এই ঘটনার মাধ্যমে কি বিয়ে হবে??
৪। আরেকদিন একইরকম ঘটনা ঘটে,, মেয়েটির শাশুড়ী তাকে একজন মহিলা ও একজন পুরুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় পুত্রবধু হিসেবে,,সামনে মেয়েটির স্বামীও ছিল সে চুপ ছিল।
আজকেও মেয়েটি অই লোকদের সাথে সালাম দিয়ে কেমন আছেন জিজ্ঞেস করে।।এতে কি ইজাব কবুল হয়ে যাবে??
((এই ঘটনাগুলো তে স্বামী চুপ ছিল যতটুকু মনে পরে,, এই ঘটনা স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে রাগ করবে এবং তার মনেও নেই হয়তো ঘটনা গুলো।এখন মনে আছে যেটুকু সেটুকুই বলা হলো। কিন্তু মেয়ে সালাম দিয়ে কথা বলা ছাড়া আর কিছুই বলেনি এইটুকু নিশ্চিত। এইভাবে কথা বলার মাধ্যমে কি কবুল হয়ে যাবে??)))
৫। স্বামী যদি পরিচয় করিয়ে দিত দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের সামনে যে""" আমার বউ,,আর বউ যদি সালাম দিয়ে তাদেরকে বলত কেমন আছেন? """"
এতে কি ইজাব কবুল হয়ে যেত??মানে বউ পরিচয় করানোর পর এরকম কেমন আছেন জিজ্ঞেস করলে কি কবুল হিসেবে বিবেচিত হবে??
৬।শাশুড়ী যাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে অর্থাত কিছু মহিলাদের সাথে৷ তাদের মধ্যে একজন যদি জিজ্ঞেস করতো তুমি বউ?? মেয়ে যদি বলতো "হ্যাঁ" তাহলে কি ইজাব কবুল হয়ে যেত?? ওই মহিলা তো স্বামী বা স্ত্রী কারোর অভিভাবক/ উকিল না। এইখানে উপস্থিত ছিল শাশুড়ী, স্বামী, দেবর আর কিছু মহিলা।
একজন মহিলা নাকি আরেকজন মহিলা কে বিয়ে দিতে পারে না?? তাহলে এই বিষয়ে হুকুম কি??
।
((পুরুষ হওয়া। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা নারী নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২; সহিহ জামে : ৭২৯৮)))
৭। কোন ঘটনা নিয়ে সন্দেহ থাকলে বা এরকম ঘটেছে কিনা নিশ্চিত না হতে পারলে, শুধু ওয়াসওয়াসা আসলে হুকুম কি?? নিশ্চিত না হতে পারলেও কি ইজাব কবুল হবে?? যদি স্পষ্ট ঘটনা মনে না থাকে বা বিভিন্ন ঘটনা মাথায় আসে,,, তাহলে হুকুম কি?
৮। যদি এমন হয় ইজাব কবুলের মতো ঘটনা ঘটার পর কেউ ভুলে যায় বা জানেনা এতে ইজাব কবুল হয়েছে কিনা। তাহলে কি পাপী হবে???
৯। কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে শর্ত দেয় বলে যে এই বিষয়ে আর কিছু বলবা না। বিষয়টি ছিল স্ত্রীর একটি সন্দেহের ব্যাপারে। ওই ব্যাপারে স্ত্রী যাতে কিছু না বলে সেজন্য স্বামী যদি তা**** শর্ত দেয়।
তারপর স্ত্রী যদি শিউর হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করে তুমি অইদিন শুধুমাত্র ওই একটি ঘটনা বা সন্দেহ গুলো নিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছিলে না?? স্বামী যদি বলে হ্যাঁ।
তাহলে কি স্ত্রী আর কোনদিন যেকোন সন্দেহের বিষয়ে স্বামীর সাথে কথা বলতে পারবে না?? নাকি শুধু একটি বিষয়ের সন্দেহের কথা বলতে পারবে না??
কারন স্ত্রী সন্দেহ গুলো বলতে শুধু নির্দিষ্ট একটি ঘটনার সন্দেহ বুঝিয়েছিল বা স্বামীও ওই নির্দিষ্ট ঘটনার সন্দেহ বুঝেই বলেছিল "হ্যাঁ"
এখন স্ত্রী ওয়াসওয়াসায় ভুগছে সে এইভাবে "সন্দেহ গুলো বলার কারনে জীবনের যেকোন সন্দেহের উপর শর্ত পরবে?? নাকি শুধু একটি ঘটনার উপর শর্ত থাকবে?
তারপর স্বামী আবার উত্তর দিয়েছিল সে শুধু একটি বিষয়ের কথা বলেছে।
দয়া করে উত্তর দিবেন।
১০।যদি এমন হয় স্ত্রী প্রশ্ন করেছিল, "" সন্দেহের কথা বলতে নিষেধ করেছিলে??"" এই কথার মাধ্যমে স্ত্রী যদি মনে মনে বুঝিয়ে থাকে যেকোন সন্দেহের কথা বলতে নিষেধ করেছিল কিনা???
যদি স্বামী উত্তর দেয় "হ্যাঁ"""। স্বামী যদি ভাবে স্ত্রী জিজ্ঞেস করেছে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের সন্দেহের কথা। সেই ঘটনার কথা চিন্তা করেই স্বামী উত্তর দেয় হ্যাঁ,,,,, কারন স্বামী আগে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে সন্দেহ নিয়ে কথা বলতেই নিষেধ করেছিল। স্বামী সকল বিষয়ে সন্দেহের কথা বুঝায়নি একটি বিষয় ভেবে উত্তর দেয়।
এখন স্ত্রীর প্রশ্ন অনুযায়ী সকল সন্দেহের বিষয়ে প্রশ্ন করার উপর শর্ত পরবে নাকি শুধু স্বামী যে বিষয়ের কথা বুঝে উত্তর দিয়েছে সেই বিষয়ের উপর শর্ত থাকবে??
১১। হুজুর যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে যে স্বামী রাগের মাথায় স্ত্রী কে বলে এই কথা যদি আর কোনদিন বলো তাহলে ,,,, এইভাবে বলার পর যদি কোন কেনায়া বাক্য বলে যেটা দিয়ে তা*** শর্ত দেওয়া যায়। কিন্তু পরবর্তীতে স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে স্বামী বলে তা*** নিয়ত ছিল না।
পরে যদি স্ত্রী কোনদিন জিজ্ঞেস করে ওইদিন তুমি আমাকে শুধুমাত্র অই কথা বলতে নিষেধ করেছিলে না?? স্বামী বলে আমতো বলেছি আমি কোন নিয়ত করে বলিনি তাও কেন জানতে চাও কোন বিষয় নিষেধ করেছিলাম?? তারপর স্ত্রী বলে আমিতো জানি তোমার কোন নিয়ত নাই,,,, তাও বলো শুধু ওই বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছিলে কিনা?? স্বামী এইবার বলে "হ্যাঁ"।
এখন স্বামীর হ্যাঁ বলার কারনে কি তা**** মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে বা শর্ত আরোপিত হবে?? স্ত্রীতো জিজ্ঞেস করেনি শর্ত দিয়েছিল কিনা বা স্বামী শর্ত দেওয়ার জন্য হ্যাঁ বলেনি। তাহলে এই ক্ষেত্রে কি কোন সমস্যা হবে??