আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
319 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (51 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।হুজুর আরেকটা প্রশ্ন।এটা নিয়েও সন্দেহ হচ্ছে। স্বামী যদি বলে ওই কাজটা করলে তুমার আমার সব শেষ হয়ে যাবে বা তুমার সংগে আমার সব কিছু শেষ হয়ে যাবে।স্বামি বলেছিল সে তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি।স্বামীকে এখন জিগ্যেস ও করতে পারতেছি না।আর কথাটা বলেছে কিনাও সন্দেহ হচ্চে আমার।আর বললেও কোনটা বলেছে জানি না।এতে কি তালাক হবে?হুজুর স্বামীর উক্ত কথাগুলো মনে নেই বলেছিল।কারন আমরা আগে কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানতাম না।জানার পর জিগ্যেস করেছি ওনি বলেছে আমার তহ মনে নেই।আর শপথ করে বলেছিল কোনদিন তালাকের নিয়তে কথা বলে নি।আর বারবার জিগ্যেস করায় ওনি বিরক্ত হয়ে বলেছে আর জিগ্যেস না করতে।ওক্ত কাজটি আমি করেওছিলাম।করার পর স্বামী বলেছিল মনে হয় আর আনব না তুমাকে,সংসার করব না।আমাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তুু এখনও সংসার শুরু করি নি।আমি এখনও বাবার বাসায়।আগে জানতাম না এর দ্বারা তালাক আর জানার পর ওনি বলেছেন তালাকের নিয়তে কোনদিন কথা বলে নি।বার বার বলেছে স্বামী তালাকের নিয়তে বলে নি।হুজুর আমি কি স্বামির সাথে সংংসার করতে পারব?হুজুর দয়া করে বলিয়েন।আমি চাই সব কিছু ঠিকঠাক হোক আর সংংসার করতে ভবিষ্যৎ এ।হুজুর সব বিষয়ে সন্দেহ হয়। একটু আগে আমি নিউজ দেখতেছিলাম।স্বামীকে মেসেজে রিপ্লাই দিতে  দেরি হওয়ায় ওনি বলে  অভিমান করে দেখ গা  নিউজ।এটা নিয়েও সন্দেহ হচ্ছে।স্বামি এমনিতে এই বিষয় নিয়ে বিরক্ত আমার তালাকের বিষয়ে প্রশ্ন করা নিয়ে।আবার জিগ্যেস করলে আরো রেগে যাবে।মেসেজে কথা হয় আমাদের।ওনি বারবার বলেছে তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি

২।হুজুর আপনি বলেছিলেন মেসেজে কথা হলে স্ত্রী তালাক চাওয়ার পরপর কেনায়া বাক্য,বললে তালাক হবে।কিন্তুু পর পর ওই যদি কেনায়া বাক্য না বলে।আরো কথা হওয়ার পর বললে কি তালাক হবে? বা ১ ঘন্টা বা ২০-৩০ মিনিট পর রিপ্লাই  দিল অন্য কথা বলে।এরপর আবার  কথার কথায় কেনায়া বাক্য বললে নিয়ত ছাড়া তাহলে কি তালাক হবে?।কারন কথা হয়ত ভালো ও হতে পারে আবার খারাপ ও বা আবার অন্য বিষয় নিয়েও।হুজুর এটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।সন্দেহ হয়।আমাদের মেসেজে কথা হয়।কেনায়া বাক্য বললেও কখন বলেছে বা তালাকের মজলিস ছিল কিনা আমার মনে পড়ে না।স্বামি বলেছে ওনি তালাকের নিয়তে কিছু বলে নি।কিন্তুু ওয়াসওয়াসা আসতেই থাকে।পুরনো কোন কথা মনে পড়লেই আমি অস্তির হয়ে যায়।এর সাথে কি কোন তালাকের মজলিস ছিল কিনা।আমি পুরো পাগলের মত হয়ে যায়।কি বলেছে বললেও কখন বলেছে আমি কিছুই মনে করে উঠতে পারি না সিওর ভাবে।

৩।হুজুর তালাকের ব্যপারে স্বামিকে  করতে নিষেধ করেছে স্বামি ।আমার কি আর প্রশ্ন করা উচিত হবে? ভয় হয় আবার মিথ্যা শিকারোক্তি দিবে বলে।ওনার  মনেও থাকে না তেমন। তাই ভয় হয় আবার ভুল বলবে বলে।ওনি নিষেধ ও  আর প্রশ্ন না করতে।

৪।হুজুর আমার একসময় একটা একটা কথা মনে পড়ে।কিন্তুু সিওর হতে পারি না।ভাবি যে সিওর নাকি আমার চিন্তা এটা।আমি বুঝে উঠতে পারি না।কারন ১ মাসের বেশি সময় ধরে আমি তালাকের মারাত্বক ওয়াসওয়াসার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।হুজুর আমি বুঝতেছি না কি করব।কথাগুলো যদি আমি ভাবতেছি যে ওইরকম বলেও থাকি আগে তাহলে কি আমার গুণাহ হবে? কারন আমি কেনায়া তালাকের ব্যপারে বা তালাকের মজলিসে কেনায়া বাক্য বললে যে তালাক হয় সেটা জানতাম ও না।স্বামিও বারন করছে জিগ্যেস না করতে।হুজুর আমার কি গুনাহ হবে? বা তালাক হবে কিনা।যদি বলেও থাকি আমি সিওর হতে পারতেছি না।মনে হচ্ছে মাঝে মাঝে আমার চিন্তা ধারনা আবার মনে হচ্ছে বলেছি মনে হয়।

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক একটি বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ ভয়ানক শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় প্রশ্নে উল্লেখিত জাতীয় শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
এক্ষেত্রে স্বামী যেহেতু তালাকের নিয়ত করেনি,তাই স্ত্রী সেই কাজ করলে তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী যদি পর পরই যদি কেনায়া বাক্য না বলে।আরো কথা হওয়ার পর বলে, তাহলে তালাক হবেনা।

 বা ১ ঘন্টা বা ২০-৩০ মিনিট পর রিপ্লাই  দিল অন্য কথা বলে।এরপর আবার  কথার কথায় নিয়ত ছাড়া 
কেনায়া বাক্য বললো, তাহলেও তালাক হবেনা।

(০৩)
তাকে এ সংক্রান্ত আর প্রশ্ন করবেননা।

(০৪)
এহেন চিন্তাভাবনা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
মনে এহেন চিন্তাভাবনা আসলেই অন্য মনস্ক হয়ে যাবেন।
আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে পানাহ চাইবেন।
,
তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন পড়া থেকে,এ সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনা থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করুন।
ইনশাআল্লাহ আর সমস্যা হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...