ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে মসজিদের আযান ইকামতই যথেষ্ট।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আসওয়াদ ও আলকামা রাহ. থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন-
أَتَيْنَا عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُودٍ فِي دَارِه، فَقَالَ: أَصَلّى هؤُلَاءِ خَلْفَكُمْ؟ فَقُلنَا: لَا، قَالَ: فَقُومُوا فَصَلّوا، فَلَمْ يَأمُرْنَا بِأَذَانٍ وَلَا إِقَامَةٍ.
আমরা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর ঘরে এলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের পেছনের লোকেরা কি নামায পড়েছে? আমরা বললাম, না। তিনি বললেন, (তাহলে) তোমরা দাঁড়াও, নামায পড়। তখন তিনি আমাদের আযান ও ইকামতের নির্দেশ দেননি। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৩৪)
তবে যদি এমন স্থানে জামাত করা হয়, যেখানে আশপাশ থেকে আযানের শব্দ শোনা যায় না, তবে সেখানে আযান দেওয়াই নিয়ম।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
(قوله: إذ أذان الحي يكفيه) لأن أذان المحلة وإقامتها كأذانه وإقامته؛ لأن المؤذن نائب أهل المصر كلهم كما يشير إليه ابن مسعود حين صلى بعلقمة والأسود بغير أذان ولا إقامة، حيث قال: أذان الحي يكفينا، وممن رواه سبط ابن الجوزي
সারমর্মঃ
মহল্লার আযানই যথেষ্ট, কেননা মহল্লার আযান ইকামতই তার আযান ইকামত,কেননা মুয়াজ্জিন শহর বাসী সকলের জন্য স্থলাভিষিক্ত।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৩৯৫)
فی الشامیۃ:
"وکرہ ترکہما معًا․․․ بخلاف مصل ولو بجماعة في بیتہ بمصر أو قریة لہا مسجد فلا یکرہ ترکہما إذ أذان الحي یکفیہ: لأن أذان المحلة وإقامتہا کأذانہ وإقامتہ․․․ اھ".
( کتاب الصلاة، باب الأذان، ۲ /۶۳، ط: زکریا دیوبند
সারমর্মঃ
এক সাথে আযান ইকাময় উভয়টি ছেড়ে দেওয়া মাকরুহ। তবে শহরে তার বাড়িতে জামাত করা অথবা যেই গ্রামের মসজিদ আছে,সেই গ্রামের বাড়িতে জামাত করা হলে আযান ইকামত ছেড়ে দেওয়া মাকরুহ নয়।
কেননা মহল্লার আযান ইকামতই যথেষ্ট।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মসজিদের আযান ইকামতই আপনাদের জামাতের জন্য যথেষ্ট হবে।
তাই নতুন ভাবে আযান ইকামতের আবশ্যকীয়তা নেই।
তবে যদি আযান ইকামত দেয়া হয়,তাহলে মুস্তাহাব আদায় হবে।