আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (51 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। হুজুর আমি একমাসের ও বেশি সময় ধরে মারাত্বক ভাবে তালাকের ওয়াসওয়াসায় ফেসে আছি।স্বামির সাথেও কথা বলতে ভয় লাগে।আমি চাই ভালভাবে সংংসার করতে।স্বামীকেও বার বার প্রশ্ন করায় ওনি বিরক্ত আর এই ব্যপারে কথা বলতে নিষেধ করেছে।।আবার বিয়ের কথাও বলতে পারব না ওনাকে।হুজুর আগে অনেক গুণাহ করেছি।এখন  চাই ভালভাবে ইসলামকে  অনুসরন করে জীবন যাপন করতে।নিজেকে অনেকটা পরিবর্তন করেছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তুু এই তালাকের ওয়াসওয়াসা টা যাই না মাথা থেকে।যে পরিমান ওয়াসওয়াসা কাজ করে কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘর ভেংগে দিব কিনা ভয় হয়।কারন সব বিষয়ে সন্দেহ আর ভয় হয়।এটা বলেছে ওটা বলেছে এইরকম আসে মনে।ভয় হয় যিনা হচ্ছে কিনা ভেবে ।আগে বেশি ঝগড়া হত আমাদের,বিয়ের পর ও হত।বিয়ের আগে থেকে সম্পর্ক।বিয়ে হয়েছে মাত্র এক বছর।আগে বেশি তালাক চাইতাম,বিয়ের আগে বেশি।বিয়ের পর ও অনেকবার চেয়েছি। হুজুর আগে আমি যখন তালাক চাইতাম স্বামীর কাছে ওনি কোনদিন দেন নি।শুধু যে তালাক দেন নি সেটা মনে আছে স্পষ্ট।পরে কেনায়া তালাকের কথা বলেছিল কিনা জানি না।বললেও কি বলেছিল জানি না।ওনার ও মনে নেই।এটা মনে আছে রাখ তহ এটা বলত।তবে মাঝে মাঝে  তালাক চাইলে মনে হয় বলত রাখ তহ মেসেজ দিও না আর।বাই বলে ব্লক করে দিত।আবার মেজাজ ঠান্ডা হলে ওনি নিজেই মেসেজ দিত।কারন আমরা এখনও সংসার শুরু করি নি।দূরে থাকি।মেসেজে কথা হয়।আমার এখন এরকম ওয়াসওয়াসা হয়েছে যে মনে হয় সব কথায় তালাক চাইতাম।কিন্তুু সেইরকম কিনা জানি সব কথায়,চাইতাম কিনা জানি না।স্বামি বলতেছে বিয়ের পর ঝগড়া কম হয়েছে।আমি জানি না হুজুর আমার শুধু ভয় হয় যে কি বলেছি স্বামি কি বলেছে।।ঠিক তেমনি আমি বললেও তালাক দিয়ে দিব মেসেজ দিবা না আর,তুমার সাথে কোন সম্পর্ক নাই, হারাম তুমি আমার জন্য। ব্লক ও করে দিতাম ইত্যাদি ইত্যাদি। ওনি মানে স্বামীও  বলত ঠিক আছে দিব না বা দিয়ে দিও ব্লক।হুজুর আমার সব কিছু নিয়ে ভয় হয়।কিন্তুু হুজুর ওনি কোনদিন আমাকে ছেড়ে দিবার বিষয়ে কথাই বলত না।রাগ উঠলে বা আমি তালাক চাইলে  রাগ কমানোর জন্য এরকম কথা বলা স্টপ করে দিত।রাগ কমলে ঠিকি দিত।তবে মাঝে মাঝে আমাকে দিতে বলত তালাক বা দিব সেটা বলত।দেইনি কোনদিন।হুজুর আগে এত কিছু না বুঝে না জেনে ভুল করেছি।হুজুর আমি চাই সব কিছু ভুলে গিয়ে ভালভাবে সংংসার করতে।এখন আর ঝগড়াও হয় না আমাদের মধ্যে আল্লাহর রহমতে ২-৩ মাস ধরে।হুজুর উপরোক্ত কোন কথা দ্বারা কি আমাদের তালাক হবে? আমি উক্ত কথা গুলো ভেবে ভেবে শান্তি পাচ্চি না।দয়া করে একটু বলবেন হুজুর।আমি মারাত্বক চিন্তায়। স্বামিকেও কিছু বলতে পারতেছি না।খুব ভয়ে আছি হুজুর।আমি কাওকে কিছু বুঝাতেই পারতেছি না।শুধু ভয়ে কান্না করি,যেগুলো বলে নি সেগুলো সহ বলেছে বলে মনে হয় আমার।ভাবি যে কোন যিনা হচ্ছে কিনা।হুজুর আমাদের সম্পর্ক ঠিক আছে তহ? আবার হুজুর মাঝে মাঝে বলতাম চলে যাব আমি।স্বামীও বলত মনে হয় যাওগা বা যাও বা যাইলে যাওগা একটা গেলে আরেকটা আসবে।আবার মাঝে মাঝে স্বামি খুব অভিমান করত বলত যাইলে এক্কেবারে চলে (যাইও  /যাও) আর আসিও না আর কস্ট ও পাব না পরে ভুলে যাব কয়েকদিন কষ্ট পাওয়ার পর।স্বামির শপথ করে বলতেছে তালাকের নিয়তে বলে নি।আরো অনেক কথা নিয়ে সন্দেহ হয়।যেমনঃ আমি যদি বলতাম আমি ফকির নাকি তহ ওনিও বলত মনে হয় বড়লোক দেখে (করিও/ করগা) বিয়ে,আমার স্পষ্ট মনে নেই।আবার মাঝে মাঝে বলতাম আমি তুমাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য কাওকে বিয়ে করব যে আমাকে ভালবাসবে তুমি তহ বাস না,স্বামীও  বলত করিও বা আবার বলতাম মনে হচ্চে আমাকে ছেড়ে দাও আমি আরেকটা বিয়ে করব যে আমাকে ভালবাসবে স্বামীও বলত মনে হয় দিব এরপর বলত করিও। আবার বলত সময় আছে তুমি দিয়ে দাও তালাক তারপর করিও বিয়ে।হুজুর কথাটা ভবিষ্যৎ সূচক কথা বলতাম মনে হয়।আমার মনে হচ্ছে ভবিষ্যৎ সূচক বাক্য বলতাম স্বামীও বলত ভবিষ্যৎ সূচক।বাকিটা আল্লাহ জানে।হুজুর কোনদিন তালাক দিছি বা দিলাম বলে নি।স্বামীর নাকি মনেও নাই ভাল করে।আর তখন কেনায়া বাক্য বলেছিল কিনাও মনে নেই।আর হুজুর এর আগে যা বলেছি  সেগুলো বলার সময় তখন তালাকের মজলিশ ছিল কিনা আমার মনে নেই এসব কথা বলার সময়।মেসেজে কথা হত তহ তাই মনে নেই।আমি তবু যখন ভাবি মনে করতে পারি না।যা মনে পড়ে এলোমেলো সব।বুঝে উঠতে পারি না এটা কখন বলেছি।ওটা কখন বলেছি।কিন্তুু পরে কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানার পর স্বামিকে জিগ্যেস করেছি। ওনি শপথ করে বলেছিল তালাকের নিয়তে কোন কথা বলে নি।বার বার বলেছিল বলে নি তালাকের নিয়তে।স্বামি আরো বলেছে তুমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা কেয়ামতের আগেও ভাবতে পারি না আর বললেও হয়ত রাগে আর অভিমানে বলেছি।ওনার নাকি মনেও নেই কি কি বলেছে তবে শপথ করে বলেছে  তালাকের নিয়তে বলে নি।আমি প্রশ্ন গুলো মনে হয় আগেও করেছি আপনাদের। আপনারা তালাক হবে না বলে উত্তর ও দিয়েছেন।হুজুর আমার সন্দেহ হয় যে এই প্রশ্নগুলো করেছি কিনা আপনাদের।নাকি করি নি।মারাত্বক ওয়াসওয়াসা হুজুর আমার নামাজ নিয়ে,অযু নিয়ে।কিন্তুু তালাকের এটা বেশি হয়ে গেছে।বিয়ের কথাও বলতে পারব না স্বামিকে ওনি এই ব্যপারটা নিয়ে রেগে আছে।দয়া করে উত্তর দিয়েন হুজুর আমার সংংসার বৈধ আছে কিনা??আমি চাই একটু চিন্তা মুক্ত থাকতে।ভালভাবে সংসার করতে চাই।আমি ভয়ে ইস্তেখারার নামাজ সহ পড়েছি কয়েকবার হুজুর।আল্লাহ পথ দেখাবে এই আশায়।কিন্তুু হুজুর একটা বলল এই বিষয়ে ইস্তেখারা করে না।বারবার বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত হুজুর।আর এই ওয়াসওয়াসা দূর করার কোন আমল থাকলে বলিয়েন হুজুর।কোথাও শান্তি পাচ্চি না।বারবার ভয় হয় যিনা হচ্ছে কিনা ভেবে।নফল নামাজ পড়ি এসব কথা মাথায় এলে।চলে যায় চিন্তাও। কিন্তুু আবার আসে যায়।আবার কিছু কিছু কথা   বলেছে নাকি আমার চিন্তাও ধারনা বুঝে উঠতে পারি না।খুব ভয় লাগে আমি ঘুমাতেও পারি না ভয়ে আর খেতেও পারি না।কাওকে এ বিষয়ে বলতেও পারি না।বেশি খারাপ লাগলে নফল নামাজ পড়ে পড়ে আর সিজদায় পড়ে কাঁদতে থাকি।হুজুর আমার মনে অনেক সন্দেহ আর প্রশ্ন আসতেই থাকে।আবার বিয়ে পড়ানোর কথা বলতেই পারব না স্বামিকে।কি করব বুঝে উঠতে পারতেছি না।মেসেজে কথা হয়ত হুজুর আমার এত কিছু মনে নেই।সব বিষয় নিয়ে আমার সন্দেহ হয়।এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে কিছুূদিন পর পর একটা একটা মনে পড়ে কথা কিন্তুু সিওর হয়ে উঠতে পারি না।মাঝে মাঝে মনে হয় আমার চিন্তা ধারনা আবার মনে হয় এরকম বলেছে মনে হয়।স্বামীর ও কিছু মনে নেই বলেছিল আর জিগ্যেস করতেও বারন করেছে।হুজুর সবগুলো পড়ার পর কি মনে হচ্ছে?  আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্ক বৈধ আছে তহ?কোন তালাক হবে কিনা উক্ত কথা দ্বারা?আর হুজুর কিছু কিছু বিষয় নিয়ে সন্দেহ কাজ করত তালাকের বিষয়  সেই বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য ও প্রশ্ন করতাম তার জন্য ও কি তালাক হবে?মানে এইরকম বললে কি তালাক হবে বা ওইরকম ওটা কি তালাকের মজলিস হবে এরকম প্রশ্ন করতাম কারন আমার ওইগুলো নিয়ে সন্দেহ হত।দয়া করে বলবেন হুজুর।আপনার এই বোনটার প্রতি বড় মেহেরবান হবে।চিন্তায় থাকি সবসময় ভয়ে থাকি।আপনাদের একটা ফতোয়ায় হয়ত আমার সংংসার টিকে থাকবে।আর আমাকে পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামিক জীবন যাপন করতে সাহায্য করবে।কি করতে হবে বলিয়েন হুজুর।সবসময় ভয় হয় যে যিনা হচ্ছে কিনা ভেবে।আর আমার এমন কিছু কথা মনে পড়ে বুঝে উঠতে পারি না ওটা কি আদৌ ওইরকম বলেছে নাকি অন্যদিনের কথার সাথে গুলিয়ে যাচ্ছে। আর ঈমান আছে কিনা আমার সেটা নিয়েও সন্দেহ আসতেই থাকে।

হুজুর আরেকটা প্রশ্ন জানার জন্য করতেছি, আমার স্বামীর সাথে আমার বিয়ে হয়েছে কেও জানে না।কেও যদি বলে তুমার প্রেমিকা( আমি) কোথায়,আর স্বামি যদি বলে ওর সাথে আমার সম্পর্ক নাই বা যোগাযোগ নাই বা ব্রেকআপ হয়ে গেছে তাহলে কি তালাক হবে? বা,যদি বিয়ের কথা জানার পর কেউ তখন যদি স্বামি বলে না না করি নি বিয়ে তাহলে কি তালাক হবে?কারন স্বামি চাই এখন কেও না জানুক কিছুূদিন পর সবাইকে জানিয়ে নিয়ে যাবে। আমি জানি না স্বামি এরকম কাওকে বলেছে কিনা।ভয় হচ্ছে যদি বলে থাকে।আমি তহ জানি না।আমরা দূরে থাকি।আমার কি জিগ্যেস করা উচিত হবে? ওনি যদি রেগে গিয়ে হ্যা বলে?আবার মাঝে মাঝে স্বামী বলত যে আচরন কর নামিয়ে আনার পর মানে সংসার শুরু করার পর  এরকম কথা বার্তা দ্বারা সুখী হবে না, সুখে থাকতে পারবে না  সংংসার টেকানো কষ্ট হয়ে যাবে বা টিকবে না।স্বামীর যদি তালাকের নিয়ত না থাকে উক্ত কথা,দ্বারা কি তালাক হবে?বা তালাক চাওয়ার পর এসব কথা বললে?মানে সুখী হতে পারবে না বিয়ের পর মানে নামিয়ে আনার পর এসব কথা বললে,টিকবে না সংসার ইত্যাদি। এখনো তহ সংংসার শুরো করি নি ভবিষ্যৎ এর জন্য বললে?

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

এই হাদীসের তরজমাতুল বাবে উল্লেখ রয়েছেঃ

بَاب إِذَا قَالَ لِامْرَأَتِه„ وَهُوَ مُكْرَهٌ هٰذِه„ أُخْتِي فَلاَ شَيْءَ عَلَيْهِ.
৬৮/১০. অধ্যায়ঃ বিশেষ কারণে যদি কেউ স্বীয় স্ত্রীকে বোন বলে পরিচয় দেয়, তাতে কিছু হবে না।

قَالَ النَّبِيُّ صَلّٰى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِبْرَاهِيمُ لِسَارَةَ هٰذِه„ أُخْتِي وَذ‘لِكَ فِي ذَاتِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ.

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইবরাহীম আঃ) একদা) স্বীয় সহধর্মিণী সারাহকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, এটি আমার বোন। আর তা ছিল দ্বীনী সম্পর্কের সূত্রে।

لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الأَعْمَالُ بِالنِّيَّةِ وَلِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى». وَتَلاَ الشَّعْبِيُّ: (لاَ تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا) وَمَا لاَ يَجُوزُ مَنْ إِقْرَارِ الْمُوَسْوِسِ.
وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَّذِي أَقَرَّ عَلَى نَفْسِهِ: «أَبِكَ جُنُونٌ».
وَقَالَ عَلِيٌّ بَقَرَ حَمْزَةُ خَوَاصِرَ شَارِفَيَّ، فَطَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلُومُ حَمْزَةَ، فَإِذَا حَمْزَةُ قَدْ ثَمِلَ مُحْمَرَّةٌ عَيْنَاهُ، ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ هَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَدْ ثَمِلَ، فَخَرَجَ وَخَرَجْنَا مَعَهُ، وَقَالَ عُثْمَانُ لَيْسَ لِمَجْنُونٍ وَلاَ لِسَكْرَانَ طَلاَقٌ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ طَلاَقُ السَّكْرَانِ وَالْمُسْتَكْرَهِ لَيْسَ بِجَائِزٍ.
وَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ.
وَقَالَ عَطَاءٌ إِذَا بَدَا بِالطَّلاَقِ فَلَهُ شَرْطُهُ.
وَقَالَ نَافِعٌ طَلَّقَ رَجُلٌ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ إِنْ خَرَجَتْ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ إِنْ خَرَجَتْ فَقَدْ بُتَّتْ مِنْهُ، وَإِنْ لَمْ تَخْرُجْ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ فِيمَنْ قَالَ إِنْ لَمْ أَفْعَلْ كَذَا وَكَذَا فَامْرَأَتِي طَالِقٌ ثَلاَثًا يُسْئَلُ عَمَّا قَالَ، وَعَقَدَ عَلَيْهِ قَلْبُهُ، حِينَ حَلَفَ بِتِلْكَ الْيَمِينِ، فَإِنْ سَمَّى أَجَلاً أَرَادَهُ وَعَقَدَ عَلَيْهِ قَلْبُهُ حِينَ حَلَفَ، جُعِلَ ذَلِكَ فِي دِينِهِ وَأَمَانَتِهِ.
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ إِنْ قَالَ لاَ حَاجَةَ لِي فِيكِ. نِيَّتُهُ، وَطَلاَقُ كُلِّ قَوْمٍ بِلِسَانِهِمْ.
وَقَالَ قَتَادَةُ إِذَا قَالَ إِذَا حَمَلْتِ فَأَنْتِ طَالِقٌ. ثَلاَثًا، يَغْشَاهَا عِنْدَ كُلِّ طُهْرٍ مَرَّةً، فَإِنِ اسْتَبَانَ حَمْلُهَا فَقَدْ بَانَتْ.
وَقَالَ الْحَسَنُ إِذَا قَالَ الْحَقِي بِأَهْلِكِ. نِيَّتُهُ.
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ الطَّلاَقُ عَنْ وَطَرٍ، وَالْعَتَاقُ مَا أُرِيدَ بِهِ وَجْهُ اللَّهِ.
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ إِنْ قَالَ مَا أَنْتِ بِامْرَأَتِي. نِيَّتُهُ، وَإِنْ نَوَى طَلاَقًا فَهْوَ مَا نَوَى.
وَقَالَ عَلِيٌّ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ الْقَلَمَ رُفِعَ عَنْ ثَلاَثَةٍ عَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يُفِيقَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يُدْرِكَ، وَعَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ.
وَقَالَ عَلِيٌّ وَكُلُّ الطَّلاَقِ جَائِزٌ إِلاَّ طَلاَقَ الْمَعْتُوهِ.

স্বীয় ব্যভিচারের কথা স্বীকারকারী এক ব্যক্তিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ তুমি কি পাগল হয়েছ? ‘আলী(রাঃ) বলেন, হামযাহ (রাঃ) আমার দু’টি উটনীর পার্শ্বদেশ ফেড়ে ফেললে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযাকে তিরস্কার করতে থাকেন। হঠাৎ দেখা গেল নেশার ঘোরে হামযাহর চক্ষু দুটি লাল হয়ে গেছে। এরপর হামযাহ বললেন, তোমরা তো আমার বাবার গোলাম ব্যতীত নও। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারলেন, তিনি নিশাগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন আমরাও তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে এলাম। ‘উসমান(রাঃ) বলেন, পাগল ও নেশাগ্রস্ত ব্যক্তির তালাক জায়িয নয়। ‘উকবাহ ইবনু ‘আমির (রাঃ) বলেন, ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, মাতাল ও বাধ্যকৃতের তালাক অবৈধ। ‘আত্বা (রহ.) বলেনঃ শর্ত যুক্ত করে তালাক দিলে শর্ত পূরণের পরই তালাক হবে। নাফি (রহ.) জিজ্ঞেস করলেন, ঘর থেকে বের হওয়ার শর্তে স্বীয় স্ত্রীকে জনৈক ব্যক্তি তিন তালাক দিল- এর হুকুম কী?)। ইবনু ‘উমার (রহ.) বললেনঃ যদি সে মহিলা ঘর থেকে বের হয়, তাহলে সে তিন তালাকপ্রাপ্তা হবে। আর যদি বের না হয়, তাহলে কিছুই হবে না। যুহরী (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি বললঃ যদি আমি এরূপ না করি, তবে আমার স্ত্রীর প্রতি তিন তালাক প্রযোজ্য হবে।
তার সম্বন্ধে যুহরী (রহ.) বলেন, উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করা হবে, শপথকালে তার ইচ্ছা কী ছিল? যদি সে ইচ্ছে করে মেয়াদ নির্ধারণ করে থাকে এবং শপথকালে তার এ ধরনের নিয়্যাত থাকে, তাহলে এ বিষয়কে তার দ্বীন ও আমানতের উপর ন্যস্ত করা হবে। ইবরাহীম (রহ.) বলেন, যদি সে বলে, ‘‘তোমাকে আমার কোন প্রয়োজন নেই’’; তবে তার নিয়্যাত অনুসারে কাজ হবে। আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব ভাষায় তালাক দিতে পারে। ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ যদি কেউ বলে তুমি গর্ভবতী হলে, তোমার প্রতি তিন তালাক। তাহলে সে প্রতি তুহরে স্ত্রীর সঙ্গে একবার সহবাস করবে। যখনই গর্ভ প্রকাশিত হবে, তখনি সে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। হাসান (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলে, ‘‘তুমি তোমার পরিবারের কাছে চলে যাও’’, তবে তার নিয়্যাত অনুসারে ফায়সালা হবে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ প্রয়োজনের তাগিদে তালাক দেয়া হয়। আর দাসমুক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য থাকলেই করা যায়। যুহরী (রহ.) বলেন, যদি কেউ বলেঃ তুমি আমার স্ত্রী নও, তবে তালাক হওয়া বা না হওয়া নিয়্যাতের উপর নির্ভর করবে। যদি সে তালাকের নিয়্যাত করে থাকে, তবে তাই হবে। ‘আলী (রাঃ) [উমার (রাঃ)-কে সম্বোধন করে] বলেনঃ আপনি কি জানেন না যে, তিন প্রকারের লোক থেকে কসম তুলে নেয়া হয়েছে। এক, পাগল ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায়; দুই, শিশু যতক্ষণ না সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়; তিন, ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে জেগে উঠে। ‘আলী(রাঃ) আরও) বলেনঃ পাগল ব্যতীত সকলের তালাক কার্যকর হয়।


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার প্রশ্নের পুরো অংশ পড়েছি।
এখানে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার স্বামী তালাকের কেনায়া বাক্য ব্যবহার করেছেন,কিছু ক্ষেত্রে আপনি সন্দেহে রয়েছেন যে সে আসলে কোন বাক্য বলেছে,তবে এসব বাক্যে তিনি যেহেতু কোনোদিনই তালাকের নিয়ত করেননি, সুতরাং  
আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের কোনো তালাক হয়নি।
আপনি নিশ্চিত থাকুন। 
কোনো যেনা হচ্ছেনা।
অন্তর থেকে তালাকের যাবতীয় খেয়াল বের করে দিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...