আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
214 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ

 একটা বিষয় একটু জানার ছিল, গত জানুয়ারি মাসে আমার এক বোনের 9 তারিখে হায়েজ হয়েছিল, সাধারণত পরের মাসে আগের চেয়ে 4/5 দিন আগে আবার হায়েজ হয় , সে ক্ষেত্রে এ মাসে 4-5 তারিখে হওয়া স্বাভাবিক, গত কাল 4 তারিখ সকালে র দিকে যখন টয়লেট এ গিয়েছিলাম তখন একটু ব্লাড গিয়েছিল, আরেকবার টয়লেট এ গিয়েও ব্লাড দেখেছি, কিন্তু কাপড় এ কোনো ব্লাড লাগেনি, আমি হায়েজ  মনে করে কাল 4 তারিখ জোহর থেকে আজ 5 তারিখ সকাল অবধি নামাজ পড়ি নি, কিন্তু আর কোনো ব্লাড দেখিনি , তারপর আজকে আসর থেকে আবার নামাজ পড়ছি,  এখন আমার করণীয় কী? আমার কি বাদ যাওয়া নামাজ গুলো কাযা আদায় করতে হবে ? এরপর 8 তারিখ থেকে আমার নিয়মিত ফ্লো শুরু হয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/4815/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
মহিলাদের ‘হায়েজ’ তথা মাসিক রক্তস্রাবের ওপর শরয়ি বিধানের ক্ষেত্রে সর্বনিম্নে তিন দিন আর ঊর্ধ্বে ১০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

 উল্লিখিত দুই সংখ্যার প্রথমটির কম হলে কিংবা দ্বিতীয়টির বেশি হলে তখন তা ‘ইস্তিহাজা’ বা রোগ হিসেবে ধর্তব্য হয়। আর দুই স্রাবের মাঝখানে ১৫ দিন পবিত্র থাকা আবশ্যক। কারো যদি স্রাবের নির্দিষ্ট অভ্যাস থাকে, আর সে কোনো মাসে অভ্যাসের বিপরীত ১০ দিনের পরও রক্ত দেখতে পায়, তাহলে অভ্যাসের ভেতরে আসা রক্তগুলোকে হায়েজ ধরতে হবে এবং অতিরিক্তগুলোকে ইস্তিহাজা।

অনুরূপ কারো যদি এক হায়েজ শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের আগেই আবার রক্ত দেখা দেয়, আর এভাবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে, তাহলে তার এই অনিয়ম চালু হওয়ার আগের হায়েজের অভ্যাস হিসাব করে ঠিক তার ১৫ দিন পরেই দ্বিতীয় হায়েজের সময় শুরু হবে, মাঝে আসা রক্তগুলোকে ইস্তিহাজা ধরতে হবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/২৮৯)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
চার তারিখে ব্লাড আসার পর ছয় তারিখের মধ্যে যদি আবার কোনো সময় ব্লাড আসে,তাহলে যেহেতু তিন দিনের মধ্যেই ব্লাড এসেছে,তাই এই দিনগুলোকে হায়েজ ধরা হবে।
নামাজ আদায় করতে হবেনা।
হ্যাঁ যদি ছয় তারিখের মধ্যে ব্লাড না আসে,সাত তারীখ বা তার পরে আসে,তাহলে চার তারিখ থেকে হায়েজ ধরা যাবেনা।
নামাজ আদায় করতে হবে।
,
এক্ষেত্রে নামাজ আদায় না করা হলে যেহেতু দিনগুলি হায়েজের দিন ছিলোনা,তাই সেই দিন গুলোর নামাজের কাজা পরবর্তীতে আদায় করে নিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 133 views
0 votes
1 answer 266 views
0 votes
1 answer 188 views
...