জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহিলাদের ‘হায়েজ’ তথা মাসিক রক্তস্রাবের ওপর শরয়ি বিধানের ক্ষেত্রে সর্বনিম্নে তিন দিন আর ঊর্ধ্বে ১০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছে
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
রাসুল সাঃ বলেন মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।
উল্লিখিত দুই সংখ্যার প্রথমটির কম হলে কিংবা দ্বিতীয়টির বেশি হলে তখন তা ‘ইস্তিহাজা’ বা রোগ হিসেবে ধর্তব্য হয়। আর দুই স্রাবের মাঝখানে ১৫ দিন পবিত্র থাকা আবশ্যক। কারো যদি স্রাবের নির্দিষ্ট অভ্যাস থাকে, আর সে কোনো মাসে অভ্যাসের বিপরীত ১০ দিনের পরও রক্ত দেখতে পায়, তাহলে অভ্যাসের ভেতরে আসা রক্তগুলোকে হায়েজ ধরতে হবে এবং অতিরিক্তগুলোকে ইস্তিহাজা।
অনুরূপ কারো যদি এক হায়েজ শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের আগেই আবার রক্ত দেখা দেয়, আর এভাবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে, তাহলে তার এই অনিয়ম চালু হওয়ার আগের হায়েজের অভ্যাস হিসাব করে ঠিক তার ১৫ দিন পরেই দ্বিতীয় হায়েজের সময় শুরু হবে, মাঝে আসা রক্তগুলোকে ইস্তিহাজা ধরতে হবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/২৮৯)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
চার তারিখে ব্লাড আসার পর ছয় তারিখের মধ্যে যদি আবার কোনো সময় ব্লাড আসে,তাহলে যেহেতু তিন দিনের মধ্যেই ব্লাড এসেছে,তাই এই দিনগুলোকে হায়েজ ধরা হবে।
নামাজ আদায় করতে হবেনা।
হ্যাঁ যদি ছয় তারিখের মধ্যে ব্লাড না আসে,সাত তারীখ বা তার পরে আসে,তাহলে চার তারিখ থেকে হায়েজ ধরা যাবেনা।
নামাজ আদায় করতে হবে।
,
এক্ষেত্রে নামাজ আদায় না করা হলে যেহেতু দিনগুলি হায়েজের দিন ছিলোনা,তাই সেই দিন গুলোর নামাজের কাজা পরবর্তীতে আদায় করে নিতে হবে।