আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (40 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ শায়েখ।

আমি জেনারেল পড়াশোনা করতে চাচ্ছি। একমাএ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
আমি ৫ম শ্রেণি তে ফাইনাল পরীক্ষার পর ৬ষ্ঠ শ্রেণি স্কুলে পড়ছে, তবে ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারি নাই। আামর বাবা পরীক্ষা দিতে দেন নাই। ৭ম শ্রেণি বাসায় মেডাম রেখে পড়েছি। আমার বাবা চাইতেন না আমি বেশি পড়াশোনা করি। আমি ও মেনে নিয়েছিলাম।
এখন আমি পড়াশোনার গুরুত্ব বুঝতেছি। পড়াশোনা না করার জন্য অনেক সমস্যা ও দেখা দিচ্ছে। আমার দাওয়াতি কাজে ও সমস্যা দেখা দিচ্ছি এবং অনেক জিনিস বুঝতে পারি না। এখন আমি জেনারেল পড়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমার দ্বীনের জন্য। যাতে মানুষ আমার কথা শুনে। কারণ দেখা যায় যখন মানুষ শুনে আমি ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি তখন আমাকে গুরুত্ব দেয় না আমার কথা তো শুনা দূরের কথা। আমার নিজেরও অনেক সময় অনেক কিছু বুঝতে সমস্যা হয়।  ইলম অর্জনের উদ্দেশ্যে পড়তে চাই।
এখন সমস্যাটা হলো, আমি ৮ম শ্রেণিতে পড়তে চাচ্ছি। কিন্তু এটা কোন স্কুল মেনে নিচ্ছেন না। কারণ অনেক গেপ হয়ে গেছে প্রায় ৬ বছরের মত। একটা বালিকা স্কুলের শিক্ষক বলছেন যদি আমি আমার জন্ম সাল বাড়াতে পারি। ২০০৪ থেকে ২০০৬ এ আনতে পারি তাহলে তারা আমাকে ভর্তি করবেন। নয়ত কোন সুযোগ নাই।
এখন আমার প্রশ্ন হলো, জন্ম সাল বাড়াতে তো টাকা দিতে হবে হয় তো। এখনে তো দুটো হারাম কাজ করতে হবে ধোঁকা এবং ঘুষ। এখন এগুলো যদি আমি আমার নিয়ত ঠিক রেখে দাওয়াতে দ্বীনের জন্য জন্ম সাল বাড়াই তাহলে কি হারাম হবে??
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান শায়েখ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জন্ম সাল বাড়ানো,ধোকার অন্তর্ভুক্ত হবে।
এবং এখানে ঘুষ এর প্রয়োজনীয়তা থাকায় ঘুষ প্রদানও হবে।
বিধায় প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জন্ম সাল বাড়ানো জায়েজ হবেনা।   

হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...