ঘুষ দেওয়া নেওয়া উভয়ই শরিয়তের দৃষ্টিতে হারাম। হাদিস শরিফে এসেছে,
عن عبد الله بن عمرو قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: الراشي والمرتشي في النار
‘আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ঘুষদাতা এবং ঘুষগ্রহীতা উভয়ই জাহান্নামে যাবে।’[আলমু’যামুল আওসাত, তাবারানী, হাদিস: ২০২৬]
তবে ঘুষ দিতে কেউ যদি বাধ্য হয় তাহলে নিজের হক আদায়ের ক্ষেত্রে শরিয়তের দৃষ্টিতে ঘুষ দেওয়ার অনুমতি থাকলেও তা গ্রহণ করা বৈধ নয়।
دفع المال للسلطان الجائر لدفع الظلم عن نفسه وماله ولاستخراج حق له ليس برشوة يعني في حق الدافع (رد المحتار، كتاب الحظر ولاباحة-9/607، فتح القدير، كتاب ادب القاضى-7/255، البحر الرائق، كتاب القضاء-6/262
সারমর্মঃ
জালেম বাদশাহর জুলুম থেকে নিজের নফস ও সম্পদ বাঁচানোর জন্য,নিজের হক আদায়ের জন্য টাকা দেওয়া ঘুষ নয়।
অর্থাৎ প্রদানকারীর ব্যাপারে এটি ঘুষ নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ
ঘুষ নেয়া কখনোই জায়েজ নয়। কিন্তু নিজের হক আদায় করতে, কিংবা জুলুম থেকে ঘুষ দেয়া জায়েজ আছে।
যেহেতু উক্ত টাকাটি মসজিদের হক। এখন আপনাদের মসজিদের জন্য আসলেই এই পরিমাণ টাকার প্রয়োজনীয়তা থাকলে এই ভাবে ঘুষ দিয়ে মসজিদ আনার জন্য বিল পাশ করানো যাবে।
এখানে মসজিদে বিল পাশ করার জন্য বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হচ্ছে।
তাই এটি আপনাদের জন্য রুখছত তথা অনুমতি থাকবে।
তবে যে টাকাটি নিচ্ছে তার জন্য এটি গ্রহন হারাম।
যেহেতু বাধ্য হয়ে নিজেদের হক আদায় করতে ঘুষ দেয়া হচ্ছে তাই এতে কোন সমস্যা নেই। তাই মসজিদ নির্মাণ করতে কোন সমস্যা নেই।
সেই মসজিদে নামাজ পড়তেও সমস্যা নেই।