আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (42 points)
আমি বিবাহিত,বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ২ পরিবার মিলে করবে,তো আমার আহাল খরচের জন্য লোন নিয়েছেন, এবং লোন নেয়ার ব্যাপারে বলার শেষ মুহুর্তে আমাকে নমিনি হিসেবে নেয়ার জন্য ডকুমেন্ট সহ নিয়েছিলেন,আমি বুঝে উঠতে পারিনি বিষয়টা যেহেতু আগে সেরকম এসব ব্যাপারে অজ্ঞ।

১)মূল কথা আমি ওনার লোনের নমিনি,মানে গুনাহের সহযোগী!
২)এই টাকা যেহেতু বিয়ের খরচের জন্য,আমার কি ওইদিন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত? ওই টাকায় অন্যান্য খরচও হবে যেমনঃ বিয়ের জন্য শাড়ি,বোরকা,কসমেটিকস এগুলো৷
৩)বিয়েতে দ্বীনি বোন আসবেন(iom এর ১জন মুকররিরাহ আপুও আসবেন)৷ এক্ষেত্রে এই খাবারে কি কোনো অসুবিধা হবে ওনার যেহেতু সুদের অর্থের৷ আমার কি জানানো উচিত?

1 Answer

+1 vote
by (575,580 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 

সূদি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পর যদি ঐ লোনের টাকা হালাল কোনো মাল দ্বারা পরিশোধ করা হয়ে যায়, তাহলে ঐ বাড়ি হালাল হয়ে যাবে।কিন্তু যদি লোনের টাকাকে হারাম মাল দ্বারা পরিশোধ করা হয়, তাহলে সেটি হারামই থাকবে।

আরো জানুনঃ 

(০১)
আপনি জেনে শুনে সই করে থাকলে আপনি সহযোগী হবেন।
তবে না জেনে সই করলে সহযোগী হবেননা।
সর্বপরি আপনি বুঝিয়ে নমিনি থেকেই নাম কেটে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

(০২)
হালাল টাকা থেকে সেই লোন শোধ করার আগ পর্যন্ত সেই লোনের টাকা,এথেকে ক্রয় কৃত সব কিছুকে হারাম ধরা হবে।
তাই আপনার সেই জামা ইত্যাদি হারাম হবে।
খাবারও হারাম হবে।

তবে আপনি সেই পরিমান টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিলে তাহা হালাল হবে।  

(০৩)
উক্ত বিষয় তাকে জানাতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...