আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
431 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (19 points)
retagged by
আসসালামু আলাইকুম ।  যদি কেউ রাসুলুল্লাহ     (সাঃ) এর সুন্নত পালন করতে চায় এবং পিতা মাতা তাকে যদি এমন আদেশ করে যা পালন করতে গেলে রাসুলের সুন্নত পালন করা হয় না। তাহলে তার কি করা উচিত। রাসুলের সুন্নত পালন করা নাকি পিতামাতার আদেশ পালন করা?

1 Answer

0 votes
by (574,020 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  

আল্লাহ তা'আলা মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।তাদের অবাধ্য হওয়াকে হারাম ঘোষনা দিয়েছেন।এ বিষয়ে সমস্ত উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করে থাকেন।

মাতাপিতার সাথে উত্তম ব্যবহারের মনোভাব রাখার সাথে সাথে নেকী উপার্জনের আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন করার জন্য প্রশ্নকারী ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আল্লাহর বিধি-বিধান দুই প্রকার যথাঃ-(১)ফরয/ওয়াজিব/সুন্নতে মু'আক্কাদা(২)এবং নফল/ মুস্তাহাব।

প্রথম প্রকারকে তরক করলে গোনাহ হবে।সুতরাং প্রথম প্রকারের বিধি-বিধানকে তরক করার জন্য মাতাপিতা সহ কারো আদেশকে মান্য করা যাবে না।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ
আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)

মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া ওয়াজিব বা সুন্নতে মু'ক্বাদা। সুতরাং কোনো প্রকার ক্ষতির আশংকা ব্যতীত মাতাপিতা যদি তার সুস্থ সবল বালেগ সন্তানকে মসজিদে যেতে বারণ করে, তাহলে এক্ষেত্রে মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।ঠিকতেমনিভাবে সন্তান ফরয হজ্বে যেতে চাইলে যদি মাতাপিতা বাধা প্রদান করে তাহলে এক্ষেত্রেও তাদের আদেশকে মানা যাবে না।

ইমাম বোখারী রাহ হাসান বসরী রাহ থেকে বর্ণনা করেন,

" إن منعتْه أمُّه عن العشاء في الجماعة شفقة:لم يطعها "
যদি মা তার সন্তানের কল্যাণ কামনায় তাকে অন্ধকারে এশার জামাতে যেতে বাধা প্রদান করে,তাহলে এক্ষেত্রে মায়ের আদেশকে মানা যাবে না।(সহীহ বোখারী-১/২৩০)

ইমাম আহমদ রাহ কে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো,যার পিতা তাকে মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে বারণ করে।ইমাম আহমদ রাহ প্রতিউত্তরে বললেন,

" ليس له طاعته في الفرض "
আল্লাহর ফরয বিধানের উল্টো পিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।(গেযাউল আদাব ফি শরহে মনযুমাতিল আদাব-১/৩৮৫)

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন

نصوص أحمد تدل على أنه لا طاعة لهما في ترك الفرض ،
ইমাম আহমদ রাহ এর মতামত এ কথার উপর দাবী রাখে যে,ফরয তরকের বেলায় মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা যাবে না।সুতরাং মাতাপিতার আদেশের  ভিত্তিতে জামাত তরক করা যাবে না।এবং হজ্বকে দেড়ীতে আদায় করা যাবে না।(আল মুসতাদরাক আ'লা মাজমুয়িল ফাতাওয়া-৩/২১৭)
,
বিস্তারিত  জানুন 
.
★★প্রশ্নে উল্লেখিত  যদি কেউ রাসুলুল্লাহ   (সাঃ) এর সুন্নত পালন করতে চায় এবং পিতা মাতা তাকে যদি এমন আদেশ করে যা পালন করতে গেলে রাসুলের সুন্নত পালন করা হয় না।
তাহলে দেখতে হবে যে এই সুন্নাত কোন পর্যায়ের?
যদি এমন সুন্নাত হয়,যেটা তরক করলে সর্বদায় গুনাহ হবে,যেমন দাড়ি রাখা (অধিকাংশ আলেমের মতে দাড়ি রাখা ওয়াজিব)
তাহলে পিতা মাতার আদেশ মান্য করা যাবেনা।

আর যদি এমন সুন্নাত না হয়,শুধু মাত্র সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হয়,(যাহা প্রয়োজনের ভিত্তিতে কখনো কখনো ছেড়ে দেওয়া জায়েয  আছে) যেমন জোহরের সুন্নাত নামাজ।  তাহলে পিতা মাতার জরুরি  খেদমত,   বৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে কখনো কখনো তাহা  ছেড়ে দেওয়া জায়েয আছে। 
তবে কখনোও পিতা মাতার আদেশের কারনে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ছেড়ে দেওয়ার  অভ্যাস গড়ে তোলা যাবেনা।
এটা নাজায়েজ। 
এমনটি হলে ঐ সময় পিতা মাতার আদেশ মান্য করা যাবেনা।        


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শায়খ যদি ফ্রান্সের কোনো জিনিস ফ্রান্সে শার্লি এবদো র সেই ঘটনা টা ঘটার আগে কেনা হয় তাহলে বর্তমানে কি সেটি ব্যবহার ঠিক হবে?সেটি ব্যবহার এর জন্য মা বাবা প্রতিনিয়ত চাপ প্রয়োগ করছে।
by (574,020 points)
সেটি ব্যবহার করা ঠিক হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...