ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দায়িত্ব এবং কর্তব্য দ্বারা উদ্দেশ্য একই।
আকিদা বিষয়ক
(১)
https://www.ifatwa.info/9342 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আরবী দু'টি শব্দ রয়েছে।
(১)ক্বাদীম(২)হাদীস
দর্শন বিদ্যার আলোকে এই দু'টি শব্দের ব্যখ্যা নিম্নরূপ--
ক্বাদীম অর্থ,যা পুরাতন,অনেক পুরাতন।যার কোনো শুরু নেই।এবং যার শেষও নেই।অর্থাৎ যা চিরকাল থাকবে,তাকেই ক্বাদীম বলা হয়ে থাকে।
হাদীস অর্থ,যা নবসৃষ্ট,যাকে তৈরী করা হয়েছে।অর্থাৎ যার শুরু আছে।যার শুরু আছে,তার শেষও আছে।অর্থা যা চিরস্থায়ী নয়।একদিন যা শেষ হয়ে যাবে।
আল্লাহ এবং আল্লাহর সমস্ত সিফাত,ক্বাদীম।যা চিরঞ্জীবী, যার শুরুও নেই এবং শেষও নেই।আল্লাহ ব্যতীত সমস্ত জিনিষ হাদীস অর্থাৎ যার শুরু রয়েছে।আর যার শুরু রয়েছে,তার শেষও আছে।
এবার মূল আলোচনায় আসা যাক,
কুরআন আল্লাহর সিফাত না আল্লাহর সৃষ্ট মাখলুক?কোনটা
এ প্রশ্নের জবাবে বলবো,
আল্লাহর অনেক সিফাত রয়েছে।এই সিফাত সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রসিদ্ধ যে সিফাত রয়েছে,সেগুলোর অধিকাংশই আমরা হাদীসে বর্ণিত ৯৯টা সিফাতি নামে দেখতে পাই।
আল্লাহর সিফাত হল,কালাম।তথা আল্লাহ বক্তা,আল্লাহ কথা বলেন,আদেশ নাযিল করে,ইত্যাদি।
আমরা যদি কুরআন কে আল্লাহর সিফাতে কালাম মনে করি,তাহলে আল্লাহ যেভাবে ক্বাদীম,কুরআনও ঠিক সেভাবে ক্বাদীম।যা কখনো শেষ হবে না, ধংস হবে না।
আর যদি আমরা কুরআনকে আল্লাহর তৈরীকৃত কোনো জিনিষ মনে করি,তাহলে এর অর্থ হবে,কুরআন নবসৃষ্ট, যার শুরু রয়েছে,এবং যা একদিন ধংস হয়ে যাবে।
সুতরাং কুরআন হল,আল্লাহর সিফাতে কালামের অংশ যা ক্বাদীম,হাদীস নয়।
(২)
কুরআনের সকল কথা অর্থাৎ সমস্ত কুরআনই আরবী শব্দ, এইজন্য কুরআনকে আল্লাহর কালাম বলা হয়।কালাম অর্থ বাণী।
(৩)
জ্বী এমন আকিদা বিশুদ্ধ , আল্লাহর হুকমেই কুরআন মাখলুকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
(৪)
আল্লাহর যাতের সাথে সম্পর্কিত সকল প্রকার জিনিষ গায়রে মাখলুক এবং কাদিম। এছাড়া সবকিছু মাখলুক। সুতরাং আরশ কুরসি সবকিছুই কাদীম ও গায়রে মাখলুক।