আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
644 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  আপনাকে একটি  ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম।আগে ঘটনা উল্লেখ করলাম তারপর প্রশ্ন নিচে করলাম।

ঘটনা ঃ((((স্বামী স্ত্রীকে একটি বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছিল। বলেছে এই বিষয়ে কিছু বলবা না,  বললে মনে করবা ওইদিনই সব শে*। তারপর স্ত্রী ভয় পায় আর জিজ্ঞেস করে স্বামীকে"""তুমি  সিরিয়াস কিছু মিন করোনি তো? মানে স্ত্রী তালাকের কথা মুখে না বলে এইভাবে জিজ্ঞেস করেছে৷ তারপর স্বামী উত্তর দেয়, "হ্যাঁ করেছি, তো কি হয়েছে৷ ""?  স্বামীর কোন নিয়ত ছিল না তাও এই কথা বলেছে বিরক্ত হয়ে। তারপর স্ত্রী আবার বলে দেখো মনের নিয়ত ই আসল, তারপর সে বলে তুমি জানলা কিভাবে আমার নিয়ত কি?? স্ত্রী বলে তাহলে তুমি কেন বল না। ""স্বামী বলে এইটুকুও কেন বলে দিতে হবে আমার যে আমি কিছু মিন করিনি৷   এতবার বললাম আমি অন্য কিছু বুঝাইনি তাও কেন জিজ্ঞেস করো? তাই বলেছি," হ্যঁ করেছি"।

পরে স্বামী বলেছে সে প্রথমে বলার সময় কোন কিছু মিন করে বলেনি৷"

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

(১)স্ত্রীর সিরিয়াস শব্দের জবাবে স্বামী বলেছে যে, সে মিন করেছে, তাই তালাক হবে না। তবে যদি স্ত্রীর তালাক শব্দের বিপরীতে স্বামী হ্যা বাচক কিছু বলতো, তাহলে তালাক হয়ে যেতো)))))

প্রশ্ন**১।।আপনি বলেছিলেন সিরিয়াস কথার উত্তর দিতে গিয়ে হ্যাঁ বলেছে বলে কোন সমস্যা নেই৷ এখন স্ত্রী ওয়াসওয়াসায় ভুগছে, সিরিয়াস কিছু মিন করোনি তো?? তারপর স্বামীর হ্যাঁ বলেছি কথার পর এমন আরও কোন কথা হয়েছিল কিনা যেটা তে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হতে পারে?? অর্থাত স্বামী হ্যাঁ বলেছি বলার পর স্ত্রী  আবার এরকম বলেছিল কিনা যে,"" তোমাকে তখন তা**** প্রশ্ন করার পর হ্যাঁ বলেছি কেন বললা?? """এরকম বলেছিল নাকি বলেনি তার মনে নেই। হয়ত বলেছিল সিরিয়াস কিছু মিন করোন ত বলার পর কেন হ্যাঁ বলেছি বললা??বা স্বামীও সম্মতি দিয়ে কিছু বলেছিল কিনা মনে নেই।
"শুধু মনে আছে স্বামী বলেছিল আমি এতবার বললাম কিছু মিন করিনি তাও কেন জিজ্ঞেস করো?  আর আমি এই ধরনের কিছু মিন করবো না এইটাও বুঝে নিতে পারো না??"

##২।।যদি এমন হয় স্ত্রী জিজ্ঞেস করে থাকতো " তখন সিরিয়াস কিছু মিন করেছ কিনা জিজ্ঞেস করার পর হ্যাঁ বলেছি কেন বললা??আমিতো সিরিয়াস কিছু বলে তা**** কথা বুঝিয়েছিলাম। এই কথা বলার পর যদি স্বামী বলতো তুমি আমাকে বিরক্ত করেছিলে তাই বলেছিলাম "হ্যাঁ বলেছি" এই খানে কথোপকথন এর মাধ্যমে কি আবারও স্বামীর মাধ্যমে মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??

ঘটনা নিয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে বা মনে না থাকলে হুকুম কি?? আল্লাহ কি ক্ষমা করবেন??কারন কথাগুলো মেসেজে হয়েছিল এবং মেসেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে আগেই।

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তালাকের কথা চিন্তা লরল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
তালাক কোনো ছেলে খেলা নয় যে, তা সন্দেহ দ্বারা পতিত হয়ে যাবে। তালাক সম্পর্কে সুনিশ্চিতভাবে মনে থাকার পরই শুধুমাত্র তালাক পতিত হবে। শুধুমাত্র তালাকের সন্দেহ দ্বারা তালাক পতিত হবে না।

আপনার সমস্ত বিবরণ পড়ে বুঝে শুনে আমি বলছি যে, এভাবে কোনো তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...