পাক নাপাকের বিষয়ে জানতে চাই। দস্কয়া করে আমার প্রশ্নটির উত্তর দিবেন ।

Question

মুফতি ইমদাদুল হক এক আমার প্রশ্নের উত্তরে বলেন, নাপাক শুকনো  কাপড় ভেজা হাতে ধরার পর হাতে কোনো চিন্হ, গন্ধ না পাওয়া গেলে হাত নাপাক হবে না।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে , গতকাল আমি হাসপাতালে যাই এবং সেখানকার টয়লেটে প্রস্রাব সারি। আমার পায়ে নিচের দিকে প্রস্রাবের কিছু ছিটেফোঁটা লাগে। তো সেখানে আমি পা ধুই নি।বাসায় আসতে আসতে হয়তো পা শুকিয়ে যায় । তারপর বাসায় এসে বাথরুমে পায়জামা খুলে পা ধুই। তো বাথরুম যেহেতু সবসময় ভেজা থাকে, তাই আমার নাপাক শুকনো পা আবার ভিজে যায়। এবং পায়জামাও ভিজে যায় । এখন সেই পায়জামা কী নাপাক হবে?

যেহেতু নাপাক শুকনো কাপড় ভেজা হাতে ধরলে হাত নাপাক হয় না, তাহলে নাপাক শুকনা পা ভিজে গেলে কাপড়ও নাপাক হবে না তাই তো।

আর নাপাক ভেজা কাপড় কোনো জায়গায় স্পর্শ করলে সেই জায়গায় যদি কোনো গন্ধ না থাকে তাহলে কি সেই জায়গায় নাপাক হবে? হওয়ার তো কথা না।

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

পায়ে নাপাকি লাগা সম্পর্কে যদি আপনি নিশ্চিত থাকেন, এবং পা শুকিয়ে যায়, এবং ঐ শুকনো পা পরবর্তীতে বাথরুমে ভিজে, তাহলে পায়ের সাথে সাথে বাথরুমও নাপাক হবে।এবং ভিজা পায়ের সাথে কাপড় লাগলে সেই কাপড়ও নাপাক হিসেবে বিবেচিত হবে।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)