আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (49 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ্ ,


১/ কোন মেয়ে যদি স্বপ্নে তার ভাইয়ের সামনে পর্দা করতে দেখে , এবং কিছুক্ষণ পর ভাইয়ের চোখে চোখ পড়ে এবং বুঝতে পারে এটাতো আমার ভাই আমি কেন পর্দা করি , এবং পরবর্তীতে স্বাভাবিক ভাবে চলে

 এটি দ্বারা কি বোঝায় ?

২/ কোন মেয়ে যদি স্বপ্নে দেখে , তার মুখে ছেলেদের মতো চাপদাড়ি হয়েছে এবং আয়না দেখে মনে মনে ভাবছে এতদিন আল্লাহর জন্য দাঁড়ি রাখিনি বিধায় ভালো দেখায়নি এখন কত সুন্দর লাগছে আল্লাহর জন্য দাঁড়ি  রাখছি এ জন্য
এর অর্থ কি ?


৩/ কোন মেয়ে যদি স্বপ্নে তাকে লাল শাড়ি পরিহিত দেখে ( সালাত পড়তেছে কোন এক লিজের পাড়ে )  এবং সিজদা থেকে উঠতেছে আর মনে মনে ভাবে , লাল শাড়ি পরে বসে আছি এখনো কেউ আসলো না ( বিয়ে হলো না ) এটা বোঝাচ্ছে ।
*( মেয়েটি অবিবাহিত )
এর অর্থ কি ?

৪/ আমাদের এলাকায় এক মহিলা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে , তার মেয়ে বা এক আত্মীয় স্বপ দেখেছে যে, ঐ মহিলা গলায় ফাঁস লাগিয়ে দৌড়াচ্ছে এবং পানি চাচ্ছেন , নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , যে যেভাবে আত্মহত্যা করে সে ভাবেই কিয়ামত পর্যন্ত ওভাবেই আত্মহত্যা করতে থাকে । এই হাদীস অনুযায়ী কি ঐ মহিলা কষ্টে আছেন বুঝে নিবো , তার কষ্ট লাঘব করার জন্য এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার কি কোন উপায় আছে উস্তাদজী ?

৫/ এক মহিলা মারা গেছে ডায়রিয়া হয়ে , তো উনি উনার মেয়ে জামাইয়ের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকার ঋণ ছিলেন , ঐ মহিলার মেয়ে স্বপ্ন দেখেছেন যে তার মা তাকে বলছে , মা তোর স্বামীকে বলিস আমার সব ঋণ যেন মাফ করে দেয়, আমি তো আটকে আছি ।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , যে কেউ যত ঈমানদার হোক না কেন , এক পয়সার ঋণ থাকলে ও সে জান্নাতে যেতে পারবেন না , তার পা শিকল দিয়ে বাঁধা থাকবে , আমরা কি ঐ স্বপ্ন হাদীস অনুযায়ী ধরে নিবো ? এ ক্ষেত্রে যদি মেয়ে জামাই মাফ করে দেন তবে কি ঐ মহিলা কবরে শান্তি পাবে ? করণীয় কি এ ক্ষেত্রে ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,

হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
এখানে মেয়েটির যে পর্দার প্রতি অনেক গুরুত্ব রয়েছে,সেটির প্রকাশ পেয়েছে।

 সুতরাং এ স্বপ্ন ভালো।
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে।

(০২)
 এখানে মেয়েটির সুন্নাতের প্রতি মুহাব্বত প্রকাশ পেয়েছে।
 সুতরাং এ স্বপ্ন ভালো।
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে।

(০৩)
মেয়েটিত দ্রুত বিবাহ হতে পারে বা বিবাহের প্রস্তাব আসতে পারে।

(০৪)
তার কষ্ট লাঘবের জন্য বেশি কুরআন তিলাওয়াত, যিকিত আযকার,দান সদকাহ করে ছওয়াব পাঠানো  যেতে পারে।
তার জন্য মাগফিরাত কামনা করা যেতে পারে। 
ক্ষমা করা না করা মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন।

(০৫)
যদি মেয়ে জামাই মাফ করে দেন তবে ঐ মহিলা কবরে শান্তি পাবেন।
ঋনের কারনে তাকে কোনো শাস্তি দেওয়া হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...