আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
973 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (3 points)
মিরপুর এ একটি দোকানে জম জম এর পানি বিক্রি করা হয়। ১. এই পানি টাকা দিয়ে কেনা কি আমার জন্য জায়েজ?
২. যে ব্যক্তি জমজম এর পানি বিক্রি করে, তার জন্য কি ঐ ব্যবসা জায়েজ?
৩. কোন হাজি সাহেবের কাছে জমজম এর পানি চাওয়া কি জায়েজ? এতে কি সওয়াল করার গুনাহ হবে?
৪. জমজম এর পানির উপকারিতা কি কি? আমার অনেক চর্মরোগ। জমজম এর পানি দিয়ে কিভাবে চিকিৎসা করতে পারি? মেহেরবাণী করে একটু বিস্তারিত বলবেন.....

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


শরীয়তের বিধান মতে যমযমের পানি নিজের আয়ত্ত্বে নিয়ে আসা,বহন করে নিজ দেশে/বাড়িতে নিয়ে আসা,সংরক্ষন করার পর সেটি ক্রয় বিক্রয় করা নিজের আয়ত্ত্বের আসার পর ক্রয় বিক্রয় করা জায়েজ আছে।
এতে শরীয়তের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّهَا كَانَتْ تَحْمِلُ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ وَتُخْبِرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَحْمِلُهُ .

আবূ কুরায়ব (রহঃ) ...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি যমযমের পানি সঙ্গে করে নিয়ে আসতেন। তিনি বলতেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তা বহন করে আনতেন। - সহিহাহ ৮৮৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৬৩ [আল মাদানী প্রকাশনী] ৯৬৬)

قال العلامۃ ابن عابدین: المعتمد عندنا ان شراء الشرب لا یصح وقیل ان تعارفوہ صح… نعم لو کان محرزا باناء فانہ یملک
সারমর্মঃ
যদি পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়,তাহলে এতে যেহেতু সে এর মালিক হয়ে যায়,তাই এর বিক্রয় জায়েজ আছে।

অন্যান্য পানির মতোই জমজমের পানি নিজ আয়ত্ত্বে নিয়ে আসার পর সেটি বিক্রয় করা জায়েজ আছে।
ফাতাওয়ায়ে ফরিদিয়াহ ৪/৩৩৭

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(০১)
হ্যাঁ ঐ পানি টাকা দিয়ে ক্রয় করা আপনার জন্য জায়েজ আছে। 

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির জন্য জমজমের পানি সংরক্ষন করে এভাবে ব্যবসা করা জায়েজ আছে। 

(০৩)
উক্ত পানি তার মালিকানায় চলে এসেছে।
তাই এর মালিম শুধুমাত্র সেই ব্যাক্তি।

তিনি সন্তুষ্টি চিত্তে পান করতে দিলে তাহা পান করা যাবে।
পরিচিত হলে যদি মনে হয় যে চাওয়া হলে দিবে,তাহলে  চাওয়া যাবে।

নতুবা এটি সওয়াল করার অন্তর্ভুক্ত হবে। 

(০৪)
জমজম পানির বরকত,উপকারীতা সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যমযমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করা হবে তা পূরণ হবে। (হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু) (মুনসাদে আহমদ)।

হজরত আবু জর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যমযমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য এবং রোগীর ঔষধ।’ (তাবারানি, বাযযার)।

হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ পানিকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ পানি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জমিনের ওপর সর্বোত্তম পানি হলো যমযমের পানি। (তাবারানি কাবির, ইবনে হিব্বান)

এই পানি পান করলে অনেক রকমের অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়,মর্মে অনেক বিজ্ঞ ব্যাক্তিরা বলেছেন। 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আকীদা বিশুদ্ধ রেখে আপনি এই পানি উক্ত রোগ নিরাময়ের জন্য দোয়া করে পান করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...