আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَلَا تَدْعُ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ فَتَكُونَ مِنَ الْمُعَذَّبِينَ
অতএব, আপনি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে আহবান করবেন না। করলে শাস্তিতে পতিত হবেন।
وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ
আপনি নিকটতম আত্মীয়দেরকে সতর্ক করে দিন।
وَاخْفِضْ جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
এবং আপনার অনুসারী মুমিনদের প্রতি সদয় হোন।
فَإِنْ عَصَوْكَ فَقُلْ إِنِّي بَرِيءٌ مِّمَّا تَعْمَلُونَ
যদি তারা আপনার অবাধ্য করে, তবে বলে দিন, তোমরা যা কর, তা থেকে আমি মুক্ত।
وَتَوَكَّلْ عَلَى الْعَزِيزِ الرَّحِيمِ
আপনি ভরসা করুন পরাক্রমশালী, পরম দয়ালুর উপর,(২১৪-২১৭)
★ফাজায়েলে আমল’
এটি তাবলিগ জামাতের লোকেদের মধ্যে অধিক পরিচিত ও ব্যাপক পঠিত একটি বই। নামাজ, রোজা , হজ, জাকাত জিকির, কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও সাহাবিদের জীবনীর সমন্বয়ে রচিত বইটি।
তাবলিগী মেহনতে অংশগ্রহণকারীদের তালিম-তরবীয়তের জন্য তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস রহ. উপর্যুক্ত বিষয়গুলোর সমন্বয়ে একটি বই রচনার তীব্র প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। ফলে তিনি ভাতিজা শায়খুল হাদিস হযরত মাওলানা যাকারিয়াকে রহ. এরকম বই লেখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
★মহিলাদের তালীম বা আদর্শ নারী শিক্ষা
লেখকঃ হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী রহঃ
,
★হায়াতুস সাহাবা’
গ্রন্থটি সাহাবাদের জীবনীচরিত গ্রন্থ।সাহাবিগণ নবি সা. এর হাতে গড়া সোনার মানুষ। তাদের জীবনে রাসুলের প্রতিচ্ছবি ফুটে ওটেছে। তাই প্রকৃতপক্ষে রাসুলকে অনুসরণ করতে হলে তার সাহাবিদের জীবনী জানা অতীব জরুরি একটি বিষয়। রাসুলের আদর্শ ও তার গড়া সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানবদের জীবনাচার নিয়েই রচিত হায়াতুস সাহাবা গ্রন্থটি।
‘হায়াতুস সাহাবা’ গ্রন্থটি শায়খ ইলিয়াস রহ. এর সুযোগ্য সন্তান মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ কন্ধালবী (রহ) এর রচিত।এ গ্রন্থটি বেশ উপকারী। তাবলিগের ভাইদের নিকট অধিক প্রিয়। গ্রন্থটিতে নবি করিম সা.এর দাওয়াতি জিন্দেগীসহ অনেক সাহাবা (রা)-এর জীবনী ও তাঁদের জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে,
,
★ফাজায়েলে সাদাকাত
দান সদকা করার ফজিলত সম্পর্কে রচিত এ গ্রন্থটি। লিখেছেন শায়খ জাকারিয়া রহ.।
(০২)
ফাযাইলে আ'মল কিছু যঈফ হাদীস থাকায় কিছু আলেমগন এটি পড়তে নিষেধ করে থাকতে পারেন।
,
ফাযাইলে আ'মল কিতাব খানাতে অবশ্যই অনেক যঈফ হাদীস রয়েছে।তবে আ'মল ও তারগিবের জন্য যঈফ হাদীসের উপর আ'মল করা বৈধ রয়েছে।
ইমাম আহমাদ সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরাম বলেন-
ﺇﺫﺍ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﺷﺪﺩﻧﺎ ﻭﺇﺫﺍ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻀﺎﺋﻞ ﻭﻧﺤﻮﻫﺎ ﺗﺴﺎﻫﻠﻨﺎ
অর্থঃ যখন আমরা হালাল – হারামে রেওয়ায়েত করি (সনদে খুব) কড়াকড়ি করি। আর যখন ফযীলাত ইত্যাদির ক্ষেত্রে রেওয়ায়েত করি শিথিলতা করি।(হাফেয সুয়ূতী, তাদরীবুর রাবী ১/২৯৮)
মুহাদ্দিসিনে কেরামের নীতি অনুযায়ী বলা যায়, যে ফাযাইলে আ'মালের ক্ষেত্রে যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা ও তার উপর আ'মল করা জায়েয রয়েছে।তবে মাওযু(বানোয়াট/মিথ্যা)বর্ণনার ভিত্তিতে আ'মল করা জায়েয হবে না।
যঈফ হাদীসের উপর আ'মল করা সম্পর্কে জারাহ- তা'দিল এর ইমাম 'ইবনুস সালাহ রাহ,' বলেন,
ﻳﺠﻮﺯ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ ﺍﻟﺘﺴﺎﻫﻞ ﻓﻲ ﺍﻷﺳﺎﻧﻴﺪ ، ﻭﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺎ ﺳﻮﻯ ﺍﻟﻤﻮﺿﻮﻉ ﻣﻦ ﺃﻧﻮﺍﻉ ﺍﻷﺣﺎﺩﻳﺚ ﺍﻟﻀﻌﻴﻔﺔ، ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺍﻫﺘﻤﺎﻡ ﺑﺒﻴﺎﻥ ﺿﻌﻔﻬﺎ، ﻓﻴﻤﺎ ﺳﻮﻯ ﺻﻔﺎﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﺃﺣﻜﺎﻡ ﺍﻟﺸﺮﻳﻌﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻭﻏﻴﺮﻫﻤﺎ . ﻭﺫﻟﻚ ﻛﺎﻟﻤﻮﺍﻋﻆ، ﻭﺍﻟﻘﺼﺺ، ﻭﻓﻀﺎﺋﻞ ﺍﻷﻋﻤﺎﻝ، ﻭﺳﺎﺋﺮ ﻓﻨﻮﻥ ﺍﻟﺘﺮﻏﻴﺐ ﻭﺍﻟﺘﺮﻫﻴﺐ، ﻭﺳﺎﺋﺮ ﻣﺎ ﻻ ﺗﻌﻠﻖ ﻟﻪ ﺑﺎﻷﺣﻜﺎﻡ ﻭﺍﻟﻌﻘﺎﺋﺪ، ﻭﻣﻤﻦ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻋﻨﻪ ﺍﻟﺘﻨﺼﻴﺺ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﺴﺎﻫﻞ ﻓﻲ ﻧﺤﻮ ﺫﻟﻚ : ( ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﻣﻬﺪﻱ ) ، ﻭ ( ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﺣﻨﺒﻞ ) ، ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ
মুহাদ্দিসিনে কেরামদের নিকট মাওযু ব্যতীত যঈফ তথা সনদের দুর্বলতা সম্ভলিত হাদীস সমূহ কে বর্ণনা করা জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে দুর্বলতা কে জনসমক্ষে প্রকাশ করা জরুরী নয়।
তবে শর্ত হল,উক্ত যঈফ হাদীস আল্লাহর সিফাত এবং হালাল-হারাম বা আক্বাঈদ সম্ভলিত হতে পারবে না।সুতরাং ওয়াজ,পূর্ববর্তী ঘটনা,এবং ফাযাইলে আ'মাল ও সকল উৎসাহ প্রদাণ মূলক বিষয়ে যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা যাবে এবং তার ভিত্তিতে আ'মল করা যাবে। যেমন আব্দুর রহমান ইবনে মাহদি রাহ, আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ থেকে হাদীস বর্ণনা করা যাবে।
(মু'আক্বাদাহ ইবনে সালাহ)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং বাসায় ফাজায়েলে আমালের কিতাব থেকে তালিম করা যাবে।
এর ফজিলত সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي الدَّرْدِاء قَالَ سُئِلَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَقِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا حَدُّ الْعِلْمِ الَّذِىْ إِذَا بَلَغَهُ الرَّجُلُ كَانَ فَقِيْهًا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ حَفِظَ عَلى أُمَّتِيْ أَرْبَعِيْنَ حَدِيْثًا فِيْ أَمْرِ دِيْنِهَا بَعَثَهُ اللهُ فَقِيْهًا وَكُنْتُ لَه يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَافِعًا وَشَهِيْدًا
(۱) شعب الإیمان للبيهقي، باب في طلب العلم، فضل العلم وشرفه : ۲/ ۲۷۰،دار الکتب العلمیة ، بیروت.
(۲)کشف الخفاء ومزیل الإلباس: ۲/ ۲۴۶، ط: مکتبة الغزالي.
(۳) النکت للزرکشي، معرفة الحسن من الحدیث: ۱۰۳، ط:دارالکتب العلمیة، بیروت.
(۴)کشف الخفاء : ۲/ ۲۴۶، ط: مکتبة الغزالي.
আবুদ্ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহর রসূল! সে ‘ইলমের সীমা কী যাতে পৌঁছলে একজন লোক ফাকীহ বা ‘আলিম বলে গণ্য হবে? উত্তরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মাতের জন্য দীন সংক্রান্ত চল্লিশটি হাদীস মুখস্থ করেছে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন ফাক্বীহ হিসেবে (কবর হতে) উঠাবেন। আর আমি তার জন্য ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন শাফা‘আত করবো ও তার আনুগত্যের সাক্ষ্য দিবো।
(বায়হাক্বী ১৭২৬.মিশকাত ২৫৮)
★★হাদীসটি থেকে বুঝা যায়, কোন ব্যক্তি যখন চল্লিশটি হাদীস পূর্ণ ভাবে জেনে তা মুসলিম ভাইদের নিকট পৌঁছিয়ে দিবে ঐ ব্যক্তিকে ফাক্বীহ তথা ‘আলিমদের দলে গণ্য করা হবে।