বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/8918 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাত হরফ তথা সাতটি পদ্ধতি বা ত্বরিকায় যে কুরআন নাযিল হয়েছিল,
এ পদ্ধতি সমূহের নির্ধারণ প্রক্রিয়া নিয়ে উলামাদের মধ্যে অনেক প্রকার মতবেদ রয়েছে।
আল্লামা তাকী উসমানী দাঃ বাঃ উনার লিখিত কিতাব উলূমুল কুরআন গ্রন্থে লিখেন,(যা বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে, আল-কুরআনের জ্ঞান বিজ্ঞান নামে)
উক্ত গ্রন্থে তিনি লিখেন,যে সাত হরফে কিরআন নাযিল হয়েছে,সেটা মূলত এক বচন দ্বিবচন, হরকত ইত্যাদির পার্থক্যর দ্বারাই নির্ণিত হবে।এবং বর্তমান মুসহাফে উসমানিতে ঐ সাত হরফ বিদ্যমান রয়েছে।সুতরাং উনার ব্যখ্যা অনুযায়ী সর্বযুগে সাত হরফ লিখিত ছিলো।এবং কিয়ামত পর্যন্ত সাত হরফ লিখিত আকারে বিদ্যমান থাকবে।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
একেক মুসহাফে একেক ধরণের ওয়াকফ চিহ্ন রয়েছে।এগুলো মূলত সাহাবাদের পরবর্তী সময়ে ভিন্ন ভিন্ন নাহুবীদদের(আরবী ভাষার পন্ডিতদের) মতামতের ভিত্তিতেই স্থাপিত হয়েছে।
ভিন্ন ভিন্ন নাহুবীদদের মতামতের ভিত্তিতেই এগুলো পার্থক্য চলে এসেছে।
(২) রসমে খত হল, লিখার পদ্ধতি ও বানানরীতি।
(৩) রসমে খত অনেক ভাবে হতে পারে।সুতরাং নির্দিষ্ট কোনো একটি রসমে খতকে ভূল আখ্যায়িত করা যাবে না।তবে যদি অর্থে কোনো পরিবর্তন চলে আসে,তাহলে অবশ্যই তা ভুল হবে।
(৪)
ওয়াকফ মূলত অনারবীদের তিলাওয়াতের সুবিধার্থে দেয়া হয়েছে। অর্থে কোনো পরিবর্তন না আসলে ওয়াকফ রীতিতে কমবেশ হলে কোনো সমস্যা হবে না।
কিভাবে অর্থ পরিবর্তন হবে,আর কিভাবে পরিবর্তন হবে না, তা আরবীরা ভালো ভাবেই জানে।