আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
196 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আমার ফ্রেন্ডের ভাই এর অপারেশন হবে কিছুদিন পর। হয়তো তার রক্ত লাগতে পারে অপারেশনের সময়। আমাদের রক্তের গ্রুপ একই। আমার ফ্রেন্ড আমাকে বলছে রক্ত লাগলে আমি যেন ওর ভাইকে রক্ত দেই। ওর ভাই তো আমার ননমাহরাম, জায়েজ হবে কি রক্ত দেয়া? যদি অন্য কোনো সোর্স থাকে যে রক্ত দিতে পারবে তাহলে আমি যদি রক্ত দেই তবে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


শরীয়তের বিধান হলো কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি কোনো অসুস্থ ব্যাক্তি সম্পর্কে বলে যে তাকে রক্ত দেওয়া ব্যাতিত তার বেঁচে থাকা মুশকিল,তাহলে তাকে রক্ত দেওয়া যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৬/২০২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عن مسروق قال: من اضطرب إلی المیتۃ والدم ولحم الخنزیر فلم یأکل ولم یشرب حتی یموت دخل النار۔ (السنن الکبریٰ للبیہقي ۱۴؍۳۸۲ رقم: ۲۰۱۹۶)
সারমর্মঃ
যে ব্যাক্তি মুরদাহ খাওয়ার উপর নিরুপায় হয়ে যায়,অথবা রক্ত,শুকরের গোশত খাওয়ার উপর নিরুপায় হয়ে যায়,অতঃপর তাহা না খেয়ে মারা যায়,তাহলে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

مستفاد: ولا بأس بأن یسعط الرجل بلبن المرأۃ ویشربہ للدواء۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الکراہیۃ، الباب الثامن عشر في التداوی والمعالجات ۵؍۳۵۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
চিকিৎসার জন্য মহিলার দুধ পান করাতে সমস্যা নেই।  

ویجوز للعلیل شرب الدم … إذا أخبرہ طبیب مسلم أن شفاء ہ فیہ ولم یجد من المباح ما یقوم مقامہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الکراہیۃ، الباب الثامن عشر في التداوی والمعالجات ۵؍۳۵۵ دار إحیاء التراث العربي بیروت)
সারমর্মঃ
অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য রক্ত পান করা জায়েজ আছে,যদি মুসলিম অভিজ্ঞ ডাক্তার তাকে বলে যে শেফা এএ মাঝে রয়েছে।  

অসুস্থ ব্যক্তিকে রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-

এক. যখন কোনো অসুস্থ ব্যক্তির জীবননাশের আশঙ্কা দেখা দেয় এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের মতে তার শরীরে অন্যের রক্ত দেওয়া ছাড়া বাঁচানোর কোনো পন্থা থাকে না, তখন রক্ত দিতে কোনো অসুবিধা নেই। বরং এ ক্ষেত্রে ইসলাম রক্তদানে উৎসাহ দিয়েছে।

দুই. রক্ত দেওয়া প্রয়োজন। অর্থাৎ অসুস্থ ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা নেই, কিন্তু রক্ত দেওয়া ছাড়া তার জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যাবে অথবা রোগমুক্তি বিলম্বিত হয়; এমন অবস্থায় রক্ত দেওয়া আবশ্যিক জায়েজ।

তিন. যখন রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন দেখা দেয় না, বরং রক্ত না দেওয়ার অবকাশ থাকে; তখন অযথা রক্ত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

চার. যখন জীবননাশের এবং অসুস্থতা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না, বরং শুধু শক্তি বৃদ্ধি এবং সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্দেশ্য থাকে; সে অবস্থায় ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক রক্তদান জায়েজ নয়।
(জাওয়াহিরুল ফিকহ, খ-: ২, পৃষ্ঠা: ৩৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
গায়রে মাহরামকে রক্ত দেওয়ার যদি কঠিন প্রয়োজন হয়,তাহলে কঠিন প্রয়োজনের ভিত্তিতে তাকে রক্ত দেওয়া যাবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অন্য কোনো সোর্স না থাকলে আপনি রক্ত দিবেন।
নতুবা দিবেননা।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...