আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
577 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১।আমি শুনেছি সন্দেহ হলে নাকি কোন বিধান প্রযোজ্য নয় তালাকের ক্ষেত্রে।  এখন একজন তালাকের ওয়াসওয়াসা যুক্ত ব্যক্তি যদি সন্দেহে থাকে তালাকের কোন ঘটনা নিয়ে৷ সে আসলে কি বলেছিল নিশ্চিত না হতে পারে৷ একবার প্রবল ধারণা হয় সে এ ধরনের কিছু বলেনি বা যা বলেছিল তাতে কোন সমস্যা হবে না। আবারও সন্দেহ হয় অন্য ভাবে বলেছিল কিনা বা কানে এসেছিল কিনা। অনেকদিন আগের ঘটনা নিয়ে সন্দেহগুলো হয়, অথচ যখন ঘটনা ঘটেছিল তখন সে শান্ত ছিল এবং নিশ্চিত ছিল সমস্যা হবে না কারন শব্দ করে উচ্চারণ করেনি৷
এখন এইসব সন্দেহ করার ফলে সে যেহেতু কোন কিছুতে নিশ্চিত না,সে যদি ধরে নেয় কোন সমস্যা হয়নি তাহলে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন?? অর্থাত যদি তালাকের মতো কিছু ঘটে থাকে আগে তাহলেও কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন?? কারন সে তো স্পষ্ট মনে করতে পারছে না বা নিশ্চিত হতে পারছে না।

২।   যদি কোন মহিলা তালাকের অধিকার পায়, মানে কাবিন নামার ১৮ নাম্বার কলামের মাধ্যমে কিন্তু ওইসব কোন শর্ত না পাওয়া যায় তাহলে কি সে তার উপর পতিত করতে পারবে??

৩।আর যদি এমন হয়,  কাবিন নামার কোন শর্ত পাওয়া যায়নি, এবং ওই স্ত্রী তার স্বামীর কাছে পরবর্তীতে তালাকের অধিকার পেয়েছে, তাহলে সে কয় তালাকের অধিকার পাবে?? স্বামী যদি কোন সংখ্যা উল্লেখ না করে অধিকার দেয় রাগের বশে, তাহলে হুকুম কি৷

৪। স্বামীর কাছে অধিকার পাওয়ার পর কোন মহিলা যদি নিজেকে দিয়ে দেয় তাহলে,  পুনরায় বিয়ে করানোর পর কি আবারও তার তালাকের অধিকার থাকে??

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তালাকের কথা চিন্তা লরল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
তালাক কোনো ছেলে খেলা নয় যে, তা সন্দেহ দ্বারা পতিত হয়ে যাবে। তালাক সম্পর্কে সুনিশ্চিতভাবে মনে থাকার পরই শুধুমাত্র তালাক পতিত হবে। শুধুমাত্র তালাকের সন্দেহ দ্বারা তালাক পতিত হবে না।

(২)
শর্ত পাওয়া না গেলে সে তালাকের অধিকার প্রাপ্তই হবে না।

(৩)
স্বামী শর্ত ব্যতিত ব্যাপকহারে তালাকের অনুমোদন দিলে স্ত্রী ব্যাপকহারে তালাকের অনুমতিপ্রাপ্ত হবে। এক্ষেত্রে তালাক কোনো দিনতারিখ বা শর্তের সাথে সম্বন্ধুযক্ত থাকবে না।

(৪)
পুনরায় বিয়ের পর স্ত্রী আর তালাকের মালিক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...