বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে সমস্ত প্রাণী জবেহ করার মাধমে খাওয়া হালাল হয় ঐ সমস্ত প্রাণীকে জবেহ করার শরয়ী পদ্ধতি নিম্নরূপ।
জবেহের মাধ্যমে প্রাণী হালাল হতে হলে শর্ত হচ্ছে
(১)যবেহকারী এতটুকু জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া যে যবেহের মাধমে যে প্রাণী হালাল হয় তা বুঝতে পারা।
(২)যবেহকারী মুসলমান বা আহলে কিতাব হওয়া।
(৩)যবেহের সময় আল্লাহর নাম উচ্ছারণ করা(চায় সরাসরি লফজে আল্লাহ হোক বা সিফতি কোনো নাম হোক)
(৪)এবং উক্ত বিসমিল্লাহ বলার দ্বারা জবেহ উদ্দেশ্য হওয়া।সুতরাং অন্য কোন উদ্দেশ্যে বিসমিল্লাহ বলার পর জবেহ করলে উক্ত প্রাণী হালাল হবে না।
(৫)শুধুমাত্র আল্লাহর নাম উচ্ছারণ করা, এর সাথে অন্য কারো নাম উচ্ছারণ না করা, চায় নবীর নামই হোকনা কেন।
(৬)আল্লাহর নামকে সম্মান ও বড়ত্বর দৃষ্টিকোণে উচ্ছারণ করা, দু'আর উদ্দেশ্যে উচ্ছারণ না করা।
(৭)বিসমিল্লাহ এবং জবেহের মধ্যে কালক্ষেপণ না করা।(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/২৮৫-২৮৬)
এ প্রসঙ্গে কুরআনের কারীমের ঘোষনা হলঃ
ولا تأكلوا مما لم يذكر اسم اللّٰه عليه ،
তোমরা খওনা (ওইসব পশু)যাতে (জবাইকালে)আল্লাহর নাম নেয়া হয় নাই।
এবং জবেহের রুকুন বা ফরযতুল্য বিষয় হচ্ছে,শরয়ী জবেহ হওয়া। শরয়ী জবেহের পদ্ধতি হল
فَرُكْنُهَا الذبح........إلي ان قال .......
، وَالذَّبْحِ هُوَ فَرْيُ الْأَوْدَاجِ وَمَحَلُّهُ مَا بَيْنَ اللَّبَّةِ وَاللَّحْيَيْنِ، َ
জবেহের মাধমে প্রাণী হালাল হওয়ার রুকুন বা ফরযতুল্য বিষয় হচ্ছে জবেহ করা। এবং জবেহ বলা হয় শাহরগকে কর্তন করা,এবং তার স্থান হচ্ছে, বক্ষের উপরিভাগ থেকে চোয়ালের হাড় পর্যন্ত। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/২৮৫)
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে,যবেহের মধ্যে উপরোক্ত শর্ত পাওয়া গেলে প্রাণী হালাল হবে, চায় গালা একবারে পৃথক হয়ে যাক বা না যাক। সুতরাং অনিচ্ছাকৃত গলা পৃথক হয়ে গেলেও প্রাণী হালাল হবে যদি যবেহের মধ্যে উপরোক্ত শর্তসমুহ পাওয়া যায়।তবে যেহেতু গলাটা একবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যবেহকারীর হিংস্র মনোভাবকে প্রদর্শন করে তাই কেউ ইচ্ছা করে এরকম যবেহ করলে মাকরুহ হবে।তবে গোস্ত সর্বাবস্থায়ই হালাল হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া ৫/৪০৭)