আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
464 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by
closed by
পশু জবাই করার সময় যদি তার মাথা পরে যায়,তাহলে উক্ত পশুকে কি খাওয়া জায়েয হবে?
closed

1 Answer

0 votes
by (671,580 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

যে সমস্ত প্রাণী জবেহ করার মাধমে খাওয়া হালাল হয় ঐ সমস্ত প্রাণীকে জবেহ করার শরয়ী পদ্ধতি নিম্নরূপ।
জবেহের মাধ্যমে প্রাণী হালাল হতে হলে শর্ত হচ্ছে
(১)যবেহকারী এতটুকু জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া যে যবেহের মাধমে যে প্রাণী হালাল হয় তা বুঝতে পারা।
(২)যবেহকারী  মুসলমান বা আহলে কিতাব হওয়া।
(৩)যবেহের সময় আল্লাহর নাম উচ্ছারণ করা(চায় সরাসরি লফজে আল্লাহ হোক বা সিফতি কোনো নাম হোক)
(৪)এবং উক্ত বিসমিল্লাহ বলার দ্বারা জবেহ উদ্দেশ্য হওয়া।সুতরাং অন্য কোন উদ্দেশ্যে বিসমিল্লাহ বলার পর জবেহ করলে উক্ত প্রাণী হালাল হবে না।
(৫)শুধুমাত্র আল্লাহর নাম উচ্ছারণ করা, এর সাথে অন্য কারো নাম উচ্ছারণ না করা, চায় নবীর নামই হোকনা কেন।
(৬)আল্লাহর নামকে সম্মান ও বড়ত্বর দৃষ্টিকোণে উচ্ছারণ করা, দু'আর উদ্দেশ্যে উচ্ছারণ না করা।
(৭)বিসমিল্লাহ এবং জবেহের মধ্যে কালক্ষেপণ না করা।(ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/২৮৫-২৮৬)
এ প্রসঙ্গে কুরআনের কারীমের ঘোষনা হলঃ
ولا تأكلوا مما لم يذكر اسم اللّٰه عليه ،
তোমরা খওনা (ওইসব পশু)যাতে (জবাইকালে)আল্লাহর নাম নেয়া হয় নাই।

এবং জবেহের রুকুন বা ফরযতুল্য বিষয় হচ্ছে,শরয়ী জবেহ হওয়া। শরয়ী জবেহের পদ্ধতি হল
 فَرُكْنُهَا الذبح........إلي ان قال .......
، وَالذَّبْحِ هُوَ فَرْيُ الْأَوْدَاجِ وَمَحَلُّهُ مَا بَيْنَ اللَّبَّةِ وَاللَّحْيَيْنِ، َ
জবেহের মাধমে প্রাণী হালাল হওয়ার রুকুন বা ফরযতুল্য বিষয় হচ্ছে জবেহ করা। এবং জবেহ বলা হয় শাহরগকে কর্তন করা,এবং তার স্থান হচ্ছে, বক্ষের উপরিভাগ থেকে চোয়ালের হাড় পর্যন্ত। (ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/২৮৫)

শরয়ী যবেহের বিস্তারিত ব্যখ্যা হল,
وفي بدائع الصنائع:
"(وأما) شرائط ركن الذكاة فأنواع.........(ومنها) أن يكون مسلما."(بدائع الصنائع ، كتاب الذبائح والصيود، فصل في بيان شرط حل الأكل في الحيوان المأكول 5/ 45 ط: دارالكتب العلمية)

وفي البحر الرائق:
"ثم التسمية في ذكاة الاختيار يشترط أن تكون عند الذبح قاصدا التسمية على الذبيحة."(البحرالرائق  ، كتاب الذبائح ، ما يقوله عند الذبح 8/ 192 ط: داراالكتاب الاسلامي)

وفي الفتاوى الهندیة:
"والعروق التي تقطع في الذكاة أربعة: الحلقوم وهو مجرى النفس، والمريء وهو مجرى الطعام، والودجان وهما عرقان في جانبي الرقبة يجري فيها الدم، فإن قطع كل الأربعة حلت الذبيحة، وإن قطع أكثرها فكذلك عند أبي حنيفة - رحمه الله تعالى -، وقالا: لا بد من قطع الحلقوم والمريء وأحد الودجين، والصحيح قول أبي حنيفة - رحمه الله تعالى - لما أن للأكثر حكم الكل، كذا في المضمرات."(الفتاوي الهندية  ، كتاب الذبائح ، الباب الأول في ركن الذبح وشرائطه وحكمه وأنواعه 5/ 287 ط: رشيدية)

ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায় যে,যবেহের মধ্যে উপরোক্ত শর্ত পাওয়া গেলে প্রাণী হালাল হবে, চায় গালা একবারে পৃথক হয়ে যাক বা না যাক। সুতরাং অনিচ্ছাকৃত গলা পৃথক হয়ে গেলেও প্রাণী হালাল হবে যদি যবেহের মধ্যে উপরোক্ত শর্তসমুহ পাওয়া যায়।তবে যেহেতু গলাটা একবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যবেহকারীর হিংস্র মনোভাবকে প্রদর্শন করে তাই কেউ ইচ্ছা করে এরকম যবেহ করলে  মাকরুহ হবে।তবে গোস্ত সর্বাবস্থায়ই হালাল হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া ৫/৪০৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...