ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/12596 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে,
কাপড়কে কয়েক কারণে দৌত করার প্রয়োজন পড়ে।
(১)দৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(২)অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(৩)ময়লা বা ঘামে কাপড় সিক্ত হওয়ার কারণে।
বিশ্লেষণঃ
কাপড়ে কোনো প্রকার নাজাসত না লেগে থাকলে তা দৌত করা জরুরী নয়।তবে ময়লা হলে অবশ্যই পরিস্কার করে রাখতে হবে।যা সভ্যতা ও ভদ্রতার আলামত।
আর যদি কাপড়ে দৃশ্যমান কোনো নাজাসত লেগে থাকে তাহলে নাজাসত দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।যদি একবার দৌত করা দ্বারা নাজাসত দূর হয়ে যায় তাহলে একবারই এর জন্য যথেষ্ট হবে।কিন্তু একবার দৌত করার পর নাজাসত দূর না হলে দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।
আর যদি অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লেগে থাকে তাহলে তা তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা তা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
শরীর বা কাপড়ে নাজাসত লেগে থাকলে তাকে পরিস্কার করাই একমাত্র উদ্দেশ্য।
তবে তিনবার দৌত করা মুস্তাহাব।
নাজাসত সম্পর্কে জানতে আরো দেখুন.....
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৯৪
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দৃশ্যমান নাজাসত হলে,নাজাসতকে দূর করে নিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।আর অদৃশ্যমান নাজাসত হলে
একবার বালতিতে পানি নিয়ে সমস্ত নাপাক কাপড় ভিজিয়ে তারপর কাপড় তুলে নিংড়িয়ে বালতিতে নতুন পানি নিয়ে আবার ভিজিয়ে নিংড়াতে হবে।এভাবে তৃতীয়বার করতে হবে।তৃতীয়বার একটু বেশ জোড়ে নিংড়াতে হবে। প্রত্যেকবার বালতির সমস্ত পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি নিতে হবে। এবং প্রত্যেকবার ট্যাপ ইত্যাদিকে ধৌত করতে হবে।
আপনার বর্ণিত পদ্ধতিতে কাপড় ধৌত করা সঠিক হয়নি।সুতরাং আপনি সঠিক পদ্ধতিতে কাপড় ধৌত করুন।