আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
217 views
in পবিত্রতা (Purity) by (54 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ্

১. আমি নাপাক কাপড় প্রথমে হালকা একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে বালতির মধ্যে পুরো কাপড় চুবানো যাবে এমন পরিমাণ পানিতে কয়েকবার চুবিয়ে ধুয়েছি পানি চেঞ্জ করিনি। এ কাপড় ধুতে আমি যে মগ ইউজ করেছি তার হাতলে হয়ত বারবার পানি নেয়ার সময় নাপাকি লেগেছে কিনা জানি না যেহেতু এটা দৃশ্যমান না। হাতল ধোয়ার আগেই সেটা অর্ধেক ড্রাম পানিতে পড়ে যায়, তাহলে কি সব পানি নাপাক হয়ে গেছে? হাতলে হয়ত কাপড় ধোয়া পানি যেটা পাক কিনা জানি না সেটা লেগে গেছিলো, আবার কাপড় নিংড়ে নেয়ার সময় হাতে সে পানি লেগেছিলো পরে আর হাত ধুইনি। কাপড় ধোয়ার সময় নাপাক পানির ছিটকা এলে তা নাপাক না, তাহলে মগের হাতলে নাপাক পানি লাগলে কি সেটা নাপাক?
by
তাহলে কি মগ ড্রামের পানিতে পড়াতে সমস্ত পানি নাপাক হয়ে গেছিলো? সমস্ত মগতো নাপাক পানিতে চুবাইনি। শুধু হাত দিয়ে মগের হাতল ধরেছিলাম যে হাত নাপাক কাপড় চুবানো এবং নিংড়ানোর পরে ধোয়া ছাড়াই মগের হাতল ধরেছিলাম।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/12596 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
ফুকাহায়ে কেরামদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে,
কাপড়কে কয়েক কারণে দৌত করার প্রয়োজন পড়ে।

(১)দৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(২)অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লাগার কারণে।
(৩)ময়লা বা ঘামে কাপড় সিক্ত হওয়ার কারণে।

বিশ্লেষণঃ
কাপড়ে কোনো প্রকার নাজাসত না লেগে থাকলে তা দৌত করা জরুরী নয়।তবে ময়লা হলে অবশ্যই পরিস্কার করে রাখতে হবে।যা সভ্যতা ও ভদ্রতার আলামত।
আর যদি কাপড়ে দৃশ্যমান কোনো নাজাসত লেগে থাকে তাহলে নাজাসত দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।যদি একবার দৌত করা দ্বারা নাজাসত দূর হয়ে যায় তাহলে একবারই এর জন্য যথেষ্ট হবে।কিন্তু একবার দৌত করার পর নাজাসত দূর না হলে দূর হওয়া পর্যন্ত দৌত করতে হবে।

আর যদি অদৃশ্যমান নাজাসত কাপড়ে লেগে থাকে তাহলে তা তিনবার দৌত করতে হবে।কেননা তা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
শরীর বা কাপড়ে নাজাসত লেগে থাকলে তাকে পরিস্কার করাই একমাত্র উদ্দেশ্য।
তবে তিনবার দৌত করা মুস্তাহাব।

নাজাসত সম্পর্কে জানতে আরো দেখুন.....
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৯৪

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দৃশ্যমান নাজাসত হলে,নাজাসতকে দূর করে নিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।আর অদৃশ্যমান নাজাসত হলে
একবার বালতিতে পানি নিয়ে সমস্ত নাপাক কাপড় ভিজিয়ে তারপর কাপড় তুলে নিংড়িয়ে বালতিতে নতুন পানি নিয়ে আবার ভিজিয়ে নিংড়াতে হবে।এভাবে তৃতীয়বার করতে হবে।তৃতীয়বার একটু বেশ জোড়ে নিংড়াতে হবে। প্রত্যেকবার বালতির সমস্ত পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি নিতে হবে। এবং প্রত্যেকবার ট্যাপ ইত্যাদিকে ধৌত করতে হবে।

আপনার বর্ণিত পদ্ধতিতে কাপড় ধৌত করা সঠিক হয়নি।সুতরাং আপনি সঠিক পদ্ধতিতে কাপড় ধৌত করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...