আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (31 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ

সামপ্রতিক আমার একটা প্রস্তাব আসতে চলেছে। ছেলে দ্বীনদার না তবে বাসায় নামাজ রোজা কুরআন এর তিলাওয়াত হয়। পর্দা করতেও কোনো বাধা দিবে না বলে ছেলে সম্মত হয়েছে। বড় বোনের বিয়ের পর আমার বিয়ে দিবে তাই কথা পাকা করে রাখছে। এই সময়ের মাঝে ছেলে দ্বীনদার হওয়ার পূর্ন চেষ্টা করবে বলে কথা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই পরিবর্তন শুরু হয়েছে। আমার মা সমপূর্ণ রাজি আছেন। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন দ্বীনদার দেখে বিয়ে না করলে ফিতনা ছড়িয়ে যাবে। এখন আমি খুবই ভয়ে আছি যে আমার এ কাজ দ্বারা যদি রাসুলের ইত্তিবা না হয় তাহলে আল্লাহ আমাকে পাকড়াও করবেন। রাসূলের প্রতি মহব্বত পূর্ণ হবে না। এছাড়াও ফিতনা তোহ হত্যা অপেক্ষা গুরুতর। তবে ছেলে দ্বীনদার হওয়ার পথে হাটা শুরু করেছে। বিয়ে ইং শা আল্লাহ ২ বছর পর করার ইচ্ছা আছে। এতে কী আমি ছেলেকে সময় দিব পরিবর্তন হওয়ার? আমার মা আমাকে মানা করতে দিবেনই না এমনভাবে উদ্গত হয়েছেন

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/18 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হাদীসে বিয়ের জন্য দ্বীনদ্বার পাত্র-পত্রী খুজতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু ছেলে দ্বীনদ্বার হওয়ার দৃঢ় সংকল্প করে নিয়েছে, এবং তার ঘরও মা'শাআল্লাহ দ্বীনদ্বার, তাই আপনি এ বিয়েতে সম্মতি দিতে পারেন।এতকরে আপনার সিদ্ধান্ত হাদীসের খেলাফ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...