আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম অয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

১/ তাড়াহুরা করলে দুয়া কবুল হয় না এটা দ্বারা কি বুঝান হয়েছে? এর ব্যাখ্যা কি?
২/ গুনাহগার দের কি দুয়া কবুল হয়? যারা বার বার একি গুনাহ করে কিংবা অসংখ্য গুনাহ তে লিপ্ত ফরয কাজে গাফিল তাদের কি দুয়া কবুল হয়?

জাজাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ، مَوْلَى ابْنِ أَزْهَرَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ يَقُولُ دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِي ".

আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দু‘আ কবূল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দু‘আ করলাম। কিন্তু আমার দু‘আ তো কবূল হলো না। [মুসলিম ৪৮/২৪, হাঃ ২৭৩৫, আহমাদ ১৩০০৭] বুখারী ৬৩৪০.আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৮৮)

عَنْهُ: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ: يَقُوْلُ: قَدْ دَعْوتُ رَبِّي، فَلَمْ يَسْتَجِبْ لِي». متفق عَلَيْهِ وفي روايةٍ لمسلمٍ: «لاَ يَزالُ يُسْتَجَابُ لِلعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بإِثْمٍ، أَوْ قَطيعَةِ رَحِمٍ، مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ». قيل: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا الاِسْتِعْجَالُ ؟ قَالَ: «يَقُوْلُ: قَدْ دَعوْتُ، وَقَدْ دَعَوْتُ، فَلَمْ أرَ يَسْتَجِيبُ لِي، فَيَسْتحْسِرُ عِنْدَ ذَلِكَ وَيَدَعُ الدُّعَاءَ 

উক্ত রাবী হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কোন ব্যক্তির দো‘আ গৃহীত হয়; যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে; বলে, ‘আমার প্রভুর নিকট দো‘আ তো করলাম, কিন্তু তিনি আমার দো‘আ কবূল করলেন না।” 

(সহীহুল বুখারী ৬৩৪০, মুসলিম ২৭২৯, তিরমিযী ৩৩২৭, আবূ দাউদ ১৪৮৪, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৩, আহমাদ ৮৯০৩, ৯৯২৯, মুওয়াত্তা মালিক ৪৯৫)

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, “বান্দার দো‘আ ততক্ষণ পর্যন্ত কবূল করা হয়, যতক্ষণ সে গুনাহর জন্য বা আত্মীয়তা ছিন্ন করার জন্য দো‘আ না করে, আর যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়ো করে।” জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াহুড়ো মানে কি?’ তিনি বললেন, “দো‘আকারী বলে, ‘দো‘আ করলাম, আবার দো‘আ করলাম, অথচ দেখলাম না যে, তিনি আমার দো‘আ কবূল করছেন।’ কাজেই সে তখন ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বসে পড়ে ও দো‘আ করা ত্যাগ করে দেয়।”

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসে তাড়াহুড়া করার ব্যাখ্যা বলা হয়েছে যে, কেহ যদি দোয়া করার পর  বলে, আমি দু‘আ করলাম। কিন্তু আমার দু‘আ তো কবূল হলো না।

এটিকেই তাড়াহুড়া বলা হবে।

(০২)
হ্যাঁ তাদের দোয়া কবুল হবে,ইনশাআল্লাহ। 
আল্লাহ তায়ালার রহমত হতে নিরাশ হওয়া যাবেনা।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...