আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
255 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম,

১/ https://ifatwa.info/3714 তে একজন প্রশ্ন করেছিলেন "দাদার আপন ভাই আর উনার ছেলে কি আমার মাহরাম?"

উত্তরে বলা হয়েছে, "দাদার আপন ভাই এবং উনার ছেলে মাহরাম।"

এখানে আমার একটি সন্দেহ হল প্রশ্নকারী ভাই/বোন "উনার ছেলে" বলতে দাদার আপন ভাইয়ের ছেলেকে বুঝিয়েছেন নাকি দাদার ছেলেকে বুঝিয়েছেন? আমার জানা মতে, রক্তের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজের ও নিজের পুর্ববর্তীতের কাজিন এবং তাদের বংশধররা গায়ের মাহরাম। যেমন- আমার কাজিনরা ও তাদের বংশধর, আমার মা-বাবার কাজিনরা ও তাদের বংশধর, আমার দাদা-দাদির কাজিনরা ও তাদের বংশধর এরা সবাই আমার গায়ের মাহরাম। (এখানে আপন/ বৈমাত্রিয়/বৈপিত্রিয় ভাই/বোন বাদে অন্য সকল ধরণের ভাই/বোন কাজিন)। তাহলে ওনার দাদার আপন ভাইয়ের ছেলে ওনার বাবার কাজিন হয় তাই গায়ের মাহরাম হবে। কিন্তু দাদার আপন ভাই মাহরাম। আমার এই বুঝটা কি ঠিক? নাকি আমার কোথাও ভুল হচ্ছে? দয়া করে জানাবেন।
 

২/ আমার সৎ মায়ের আপন বোন কি আমার মাহরাম? আমি জানতাম মাহরাম কিন্তু কিছুদিন আগে একটা ওয়েবসিটে দেখি গায়ের মাহরাম বলা হয়েছে। 

লিঙ্কঃ https://islamqa.org/hanafi/seekersguidance-hanafi/107351/is-my-stepmothers-sister-from-my-unmarriageable-kin-mahram/

closed

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা মাহরাম সম্পর্কে বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَىٰ طَعَامٍ غَيْرَ نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَٰكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَانْتَشِرُوا وَلَا مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ ۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيِي مِنْكُمْ ۖ وَاللَّهُ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ ۚ وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ۚ ذَٰلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ ۚ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ أَبَدًا ۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا [٣٣:٥٣]إِنْ تُبْدُوا شَيْئًا أَوْ تُخْفُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا [٣٣:٥٤]لَا جُنَاحَ عَلَيْهِنَّ فِي آبَائِهِنَّ وَلَا أَبْنَائِهِنَّ وَلَا إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ أَخَوَاتِهِنَّ وَلَا نِسَائِهِنَّ وَلَا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ ۗ وَاتَّقِينَ اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدًا [٣٣:٥٥]

অনুবাদ-হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
জ্বী, দাদার ভাই মাহরাম।তবে দাদার ভাইয়ের ছেলে গায়রে মাহরাম।

(২)
আপনার সৎ মায়ের আপন বোন, কিংবা সৎ মায়ের আগের স্বামীর মেয়ে সন্তান আপনার মাহরাম নয় বরং গায়রে মাহরাম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...