আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (41 points)
edited by
১।হুজুর কেউ যদি শপথ করে বলে যে এটা করলে আমি মুসলমান থেকে বের হয়ে যাব অটোমেটিক।তহ ওই কাজটা করলে মানে শপথ ওটা ভন্গ করলে কি মুসলমান থেকে বহিঃস্কৃত হয়ে যাবে? রাগের মাথায় শপথ করেছে।কিন্তুু আল্লাহকে বিশ্বাস করে,ভয় করে।রাগের মাথায়,শপথ করে ফেললে,তা ভেন্গে ফেললে কি মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যাবে?ঈমান থাকা সত্ত্বেও?বিবাহিত হলে কি তালাক হবে?হুজুর আমি চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।আমার কোন উপায় নাই। হুজর আমার মনে নেই শপথ ভেংগেছে কিনা।আমাদের এসএমএসে কথা হয় তহ তাই।মনে নেই।তবু কি ঈমান চলে যাবে?আাবার বিয়ে পড়াতে হবে? সন্দেহের বসে।স্বামীকেও কিছু বলতে পারব না হুজুর।আমি পুরা মানসিক ভাবে এবনরমাল হয়ে গেছি।হুজুর শপথ কি করেছিলাম,কি জন্য করেছিলাম আমার কিছুই মনে নেই।মনে হচ্ছে স্বামীও করেছে শপথ।ভেন্গেছি কিনা তাও  মনে নেই,ওনিও ভেংগেছে কিনা আমি নিশ্চিত না।শুধু সন্দেহ হচ্ছে।করেছি কিনাও  মনে নেই আর করলেও ভেন্গেছি কিনা  মনে নেই।তাহলে কি আমি ঈমান হারা হয়ে যাব? ইসলাম থেকে বহিঃস্কৃত হয়ে যাব? আবার বিয়ে করতে হবে? সন্দেহের বসে শুধু কাপ্পারা  দিলে হবে না?সন্দেহের কারণে ঈমান ও নবায়ন করেছি।বিয়ের কথা স্বামীকে বলতেও পারতেছি না।আসলে আমি প্রচন্ড ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। কি করব আমি?আমি শপথ করলেও ভেন্গেছি কিনা  মনে নেই।আগের কথা তহ আর মেসেজে কথা হয়,আমাদের।মনে নেই যে তাই।

২।আরো অনেকবার আল্লাহর কসম বলে শপথ করেছি তারপর বলেছি লাই লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ ক্ষতি করতেছি নিজের।মাঝে মাঝে করতাম আবার মাঝে মাঝে করতাম না ক্ষতি করতাম।প্রচন্ড প্রচন্ড রাগের আর নিজের ওপর ক্ষোভের কারণে বলতাম।হুজুর নিজের ভুল এখন ভুল বুঝতেছি।নিজের অনেক ক্ষতিও করেছি।কাওকে কিছু বলতে পারতেছি না।এখন কি করব আমি?

হুজুর সবকিছুর জন্য তওবা করলে হবে না? স্বামীকেও কিছু বলতে পারব না।মা বাবা কেও না।প্রচন্ড ভাবে ভেন্গে পরেছি হুজুর।সবসময় ঈমান নবায়ন করতেই আছি।বিয়ের কথা বলতেও পারব না।কি করব আমার সব কিছু নিয়ে সন্দেহ হচ্ছ।এগুলো নিয়ে টেনশনে আমি সংসার করতে পারতেছি না।কারো সাথে কথাও বলতে পারতেছি না।মুদ্রা দোষের মত আগে কারণে অকারণে অনেক  শপথ করেছি।কোরআান ধরেও।অনেক ভেংগেছি ও।শপথ করার পর কি কি বলতাম আমার মনে নেই।তওবা করে ঈমান নবায়ন করলে হবে না?আমি পুরা পাগল হয়ে যাচ্ছি টেনশনে।মেসেজের কথা তহ মনে নেই সবকিছু।আশেপাশে কোন বিগ্গ আলেম বা মুফতিও নেই।কি করব আমি?আগের কথা চিন্তা করলে আমার সব কিছু  মনেও পড়ে না।পাগলের মত হয়ে যায় আর কান্না করি।কি করব বুঝতেছি না।কারও সাথে শেয়ার ও করতে পারতেছি না কিছু।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)

الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
যদি কেহ বলে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে সে ইহুদি অথবা নাসারা অথবা অগ্নিপুজক অথবা ইসলাম থেকে মুক্ত অথবা কাফের,,,,,
তাহলে সেটি কসম হবে।
যদি সে উক্ত কাজ করে,তাহলে সে কাফের হবে কিনা,এই ব্যাপারে মাশায়েখদের মতবিরোধ রয়েছে। 
শামসুল আঈম্মাহ সরখসি রহঃ বলেন যদি তার আকীদা এমন হয় যে এই কাজ করলেই সে কাফের হয়ে যাবে,তাহলে এহেন আকীদা থাকার পরেও উক্ত কাজ করা মানে কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা।
বিধায় সে কাফের হয়ে যাবে।  

আরো জানুনঃ  

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যখন এ ধরনের কসম করেছিলো,তখন তার যদি আকীদা এটি থাকে,যে আমি ঐ কাজ করলে সত্যিই কাফের হয়ে যাবো,এবং এই আকীদা নিয়েই যদি সে উক্ত কাজটি করে ফেলে, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।

কেননা সে কাফের হয়ে যাওয়া ধরে নেওয়া সত্ত্বেও সেই কাজ করেছে,বিধায় তাকে কুফরিতে সন্তুষ্ট ধরা হবে।  

আর যদি তার এহেন আকীদা তার না থাকে,তাহলে উক্ত কাজ করার দ্বারা কাফের হবেনা।
তবে উভয় ছুরতেই কাফফারা দিতেই হবে।

যদি কাফের হয়ে যায়,তাহলে ছুরতে তাকে নতুন ভাবে ঈমান আনতে হবে,বিবাহিত হলে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি সে কাজ করে ফেললে কাফের হয়ে যাবেনা।
তিনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
বিবাহ নবায়ন করতে হবেনা।
  
(০২)
আপনি আল্লাহর নামে ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করা সংক্রান্ত যেসব কসম করেছেন,এগুলো কসম ভেঙ্গে ফেলে থাকলে সেগুলোর কাফফারা আদায় করবেন।
আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

যদি একাধিক কসমের কাফফারা আবশ্যক হয়,আর আপনি এতো গুলি কাফফারা আদায় করতে যদি সক্ষম না হোন, তাহলে একটি কাফফারা আদায় করবেন তওবা করবেন,আল্লাহর কাছে মাফ চাইবেন।

আপনি যতগুলো কসম ভেঙ্গে ফেলেছেন বিলে নিশ্চিত হোন,ততটুকুই ধর্তব্য।
নিশ্চিত না হলে সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...