আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
343 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
শায়খ প্রশ্নের উত্তর গুলো দিবেন প্লিজ

আমি একদিন আমার স্বামীকে তালাকে নিয়ত বা উদ্দেশ্যের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি আপনি ওই কথার সেদিন কি উদ্দেশ্য ছিলো তখন সে বলে ওটা তোমার মাসয়ালা উপর ভিত্তি করে বলেছি(আমি আপনাকে এটার ব্যাপার জিজ্ঞেস করে উত্তর পেয়েছি তালাক হয়নি)।এরপর আবার সে বলে তোমার ভিতর এখনো  ডাউট আছে এখনো ওয়াসওয়াসা আছে যে (সে বলতেছে নিচের কথাগুলো আমার ওয়াসওয়াসা)
★"আমি সেদিন বলছি তুমি খুলনা যাও আন্টিকে(আমার মাকে) ফোন করে আনছি অথবা তুমি যদি এখন থাকো আমি তোমার দায়িত্বে নেই।আমি এটা বলছি তাহলে এটা আমার পক্ষ থেকে বলছি   আর এ কারনে আমার থেকে তুমি ফারেক হয়ে গেছ।"★

 এটা তো আমার পক্ষ থেকে বলিনি যে তুমি খুলনা যাও আমি যদি এমনিতে বলতাম তুমি খুলনা যাও তোমার দায়িত্ব আমি আর নিবনা বা তুমি এখন থেকে আমার দায়িত্বাধীন না তাহলে তুমি বলতে পারতা যে শরীয়তমতে ফারেক হয়ে গেছে।এটা তো আমার আমার কারনে না তুমি ফতোয়া আনছো সেই ভিত্তিতে বলছি।

১.তার উক্ত আন্ডারলাইন করা কথাগুলো তার মুখ দিয়ে বলার কারণে কি তালাক হয়ে যাবে?সে আগে বলে নিয়েছে যে উক্ত কথাগুলো আমার ওয়াসওয়াসা ডাউট
২.কিন্তু আমার ভিতর যে এরূপ ওয়াসওয়াসা আছে সেটাতো আমি তাকে বলিনি সে তার মনের মতো ভেবে আমাকে উক্ত আন্ডারলাইন করা কথা টা বলেছে।এটা কি তার তালাকের স্বীকারোক্তি হিসেবে ধরা হবে?

৩.স্বামী যদি শর্তযুক্ত তালাক দেয় যে যদি তুমি নামাজ না পড়ো তাহলে তালাক হয়ে যাবে। কিন্তু এখানে নামাজ না পড়ো বলতে যদি "বেদ্বীন হয়ে যাও"এ কথা বুঝানো উদ্দেশ্য থাকে তাহলে কি  নামাজ না পড়লে  তালাক হবে? এখানে নামাজ না পড়ো বলতে দ্বীন থেকে খারিজ হয়ে যাও বুঝিয়েছে।

৪.আমি এমন ভাব করবো যে " তুমি এই কাজটা করবা কিনা বলো যদি না করো তাহলে এখনি তালাক" এটা তো তোমাক ভয় দেখানোর জন্য বলি যাতে তুমি কাজ টা করো। এখানে শর্ত উল্লেখ করিনি কারণ সে তো শর্ত দিতে চায়নি জাস্ট এমনি বলছে। এখানে কি শর্তযুক্ত তালাক নাকি সরাসরি তালাক হয়ে যাবে?শর্ত তো বলিনি আর কোনো শর্ত মনেও আসেনি(প্রশ্নটা না বুঝলে বলবেন)

৫.ফোনে স্বামী বিচ্ছেদের কথা আলোচনা করলে(তালাক শব্দ ব্যবহার করে নি) কি তালাকের মজলিস হয়? আর এ মজলিসে যদি স্ত্রী তালাকের আবেদন না করা সত্ত্বেও স্বামী কেনায়া শব্দ  বলে ফেলে তাহলে কি তালাক হবে?তারা দুজন তো ভিন্ন স্থানে থেকে ফোনে কথা বলেছে

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকায় তালাক হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে তালাকের স্বীকারোক্তি হবেনা।


(০৩)
তালাক এটি খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর ভালবেসে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।


ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

إذا وجد الشرط انحلت الیمین۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵، کذا في الہدایۃ / باب الأیمان في الطلاق ۲؍۳۵۸، البحر الرائق / باب التعلیق ۴؍۸ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে নামাজ না পড়লে তালাক হবে।
শর্তে যেই বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে,সেটিই ধর্তব্য হবে। 

(০৪)
এখানে শর্তযুক্ত তালাক হবেনা।
সরাসরি তালাকও হবেনা।

(০৫)
এতে স্ত্রী তালাকের আবেদন করলে সেটির প্রেক্ষিতে স্বামী কেনায়া তালাকের বাক্য ব্যবহার করলে সেটিকে তালাকের মজলিস হিসেবে ধরা  হবে।
তালাক হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এমনটি পাওয়া যায়নি।
তাই এক্ষেত্রে স্বামী তালাকের নিয়ত করলেই কেবল তালাক হবে।
নতুবা নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...