হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ هَاتَيْنِ الآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ
আবূ মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি সূরা বাকারার শেষ আয়াতদ্বয় রাতে পাঠ করবে তার জন্য তা যথেষ্ট হবে।
(মুসলিম ১৭৫৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আপনি ঘুমানোর আগেও পড়তে পারেন, মাগরিবের পরেও পড়তে পারেন।
উভয় ছুরতেই ফজিলত পাবেন।
তবে মাগরিবের সময় থেকে যেহেতু রাত,তাই মাগরিবের পর পরই পড়া উচিত।
আয়তটি দেখে দেখে তিলাওয়াত করলেও একই ছওয়াব পাওয়া যাবে।
★রাতের আরো আমলঃ
★মাগরিবের পর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবেন।
★মাগরিবের পর সুরা ওয়াকিয়া পাঠ করার চেষ্টা করবেন।
★ঘুমানোর আগে সুরা মূলক,সূরা আলিফ লাম মিম সাজদাহ পাঠ করার চেষ্টা করবেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতের বেলা সুরা মুলক তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। (সুনানে আন-নাসায়ী)
“রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আলিফ লাম মীম তানজিলুল কিতাব (সুরা আস-সাজদা) ও তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক) তেলাওয়াত না করে কোনদিন ঘুমাতেন না”। (সুনানে আত-তিরমিযী, মুসনাদে আহমাদ)
★ঘুমানোর আগে তাসবীহ’ তাহ’মীদ ও তাকবীর পাঠ করবেন : ৩৩ বার তাসবীহ (সুবহা’নাল্লাহ), ৩৩ বার তাহ’মীদ (আলহা’মদুলিল্লাহ) ও ৩৪ বার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) পাঠ করবেন।
হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহা আমার কাছে আটা পেষার দরুন তার হাতে ফোসকা পড়ে যাওয়ার অভিযোগ করলেন। আমি বললাম তোমার পিতা (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে গিয়ে যদি একটা খাদেমের আবদার জানাতে।
(ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে খাদেম দেওয়ার কথা বললেন তখন) তিনি (রাসুল) বললেনঃ তোমার জন্য কি খাদেমের চাইতে উত্তম কোন কিছু বলব না? (তা হল) তোমরা যখন তোমাদের শয্যাগ্রহণ করবে তখন আলহা’মদু লিল্লাহ ৩৩ বার, সুবহা’নাল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়বে। (সুনানে আত-তিরমিজি)
★ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবেন।
★ঘুমানোর আগে তিন বার করে তিন কুল পাঠ করে হাতে ফুক দিয়ে হাত দিয়ে পুরো শরীর মাসাহ করে দিতে পারেন।