বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
এক্ষেত্রে ইসলামী স্কলারগন স্বামীর জন্য করনীয় হিসেবে বলেছেনঃ
★তাকে স্মরণ করিয়ে দিন যে, নামায একটি ফরয ইবাদত এবং ঈমানের পর নামায ইসলামের সবচেয়ে মহান রুকন।
★তাকে নামাযের কিছু ফযিলত অবহিত করুন; যেমন- আল্লাহ্ বান্দার উপর যা কিছু ফরয করেছেন তার মধ্যে নামায সর্বোত্তম। বান্দার কাছ থেকে সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেয়া হবে। একটিমাত্র সেজদার মাধ্যমে বান্দার এক ধাপ মর্যাদা সমুন্নত হয় এবং একটি পাপ মোচন হয়…ইত্যাদি নামাযের ফযিলতের ব্যাপারে আরও যা কিছু বর্ণিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আশা করি, তার অন্তর খুলে যাবে এবং নামায তার চক্ষুশীতলে পরিণত হবে।
★মাঝে মাঝে তাকে আল্লাহ্র সাক্ষাত, মৃত্যু ও কবরের কথা স্মরণ করিয়ে দিন। নামায বর্জনকারীর যে, খারাপ মৃত্যু হয় ও কবরে আযাব হয় তাকে সেটা স্মরণ করিয়ে দিন।
এ সংক্রান্ত হক্কানী উলামায়ে কেরামদের রেকর্ডকৃত বয়ান শোনান।
★তাকে মাঝে মাঝে স্মরণ করিয়ে দিন, নির্ধারিত সময় এর চেয়ে দেরীতে নামায আদায় করা কবিরা গুনাহ্। আল্লাহ্ তাআলা বলেন,
فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
‘সেসব নামাযীদের জন্য ধ্বংস যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর।’ (সূরা মাউন, আয়াত ৪,৫)
তাকে নামায সংক্রান্ত, নামায বর্জনকারী ও অবহেলাকারীর শাস্তি সংক্রান্ত কিছু বই উপহার দিন।
(সংগৃহীত)
উপর্যুপরি সে নামায ত্যাগ করতে থাকলে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার মৃদু হুমকি দিতে পারেন।
★প্রিয় ভাই, এক্ষেত্রে আপনি প্রথমে তাকে কোন হক্কানী আলেমের রেকর্ডকৃত বয়ান শোনার জন্য আগ্রহী করে তুলতে পারেন।
আশেপাশের বাসা বাড়িতে কোথাও মহিলাদের তালিম হলে সেখানে পাঠিয়ে দিতে পারেন।
হাজার বুঝানোর পরেও কাজ না হলে তাঁকে সতর্কও করুন। তাঁকে আপনি এভাবে সতর্ক করবেন যে, হয়তো আমাদের এই সম্পর্ক আর বেশি দিন টিকবে না। নামাজ না পড়া তো কুফরির মতো কাজ।
প্রয়োজনে কিছু দিনের জন্য বিছানা পৃথক করে দিতে পারেন।
তাকে কিছুদিনের জন্য তার বাবার বাসায় পাঠিয়ে দিতে পারেন,পরবর্তীতে তার অভিভাবকদের সাথে তাকে নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক করতে পারেন।
ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।