আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
518 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by
আমার এক নিকটাত্মীয় ক্যন্সার নিয়ে গবেষনা করছেন এবং ক্যন্সারের ঔষধ উদ্ভাবনের চেষ্ঠা করছেন।  গবেষনার কাজে ইদুর ব্যবহার করা হয়।  অনেক সময় ইদুরগুলো মেরে ফেলতে হয়।  এই ক্যন্সার চিকিতসা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ইদুর এর উপর গবেষনা করা কি জায়েজ হবে ?

1 Answer

0 votes
by (589,380 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ


 কষ্টদায়ক প্রাণী ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণীকে হত্যা করা যাবেনা।হত্যা করা নাজায়েয ও হারাম। যেমনঃ এক হাদীসে নবীজী সাঃ ব্যঙ হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে উসমান রাযি থেকে বর্ণিত
 ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺑﻦ ﻋﺜﻤﺎﻥ ﺃﻥ ﻃﺒﻴﺒﺎ ﺳﺄﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺿﻔﺪﻉ ﻳﺠﻌﻠﻬﺎ ﻓﻲ ﺩﻭﺍﺀ ﻓﻨﻬﺎﻩ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﻗﺘﻠﻬﺎ 
এক ডাক্তার নবীজী সা কে ব্যঙ দ্বারা ঔষধ তৈরী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে নবীজী সাঃ ব্যঙ হত্যা করতে নিষেধ করেছিলেন। আবু-দাউদ-৫২৬৯; এ জন্য কেউ কেউ হারাম জিনিষ দ্বারা ঔষধ তৈরী করাকে নিষেধ করেছেন। তবে এতে উটের প্রস্রাব পান সম্পর্কীয় হাদীস উত্তোলন করে অনেকেই জায়েয বলে থাকেন। 
হানাফী মাযহাবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হচ্ছে, হালাল কোন জিনিষ দ্বারা চিকিৎসা করা সম্ভব না হলে হারাম জিনিষ দ্বারা প্রয়োজন পর্যন্ত চিকিৎসা করা জায়েয। আমাদের স্বরণ রাখতে হবে মরণব্যাধী ক্যান্সার থেকে মানব সমাজকে রক্ষা করার চেষ্টা নিতান্তই অনেক সওয়াবের কাজ ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। তাই এ ক্যান্সার থেকে থেকে মানুষকে ঔষধের মাধ্যমে রক্ষা করা এখনকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কেননা নবীজী বলেছেন, আল্লাহ রোগ দেন এবং সাথে সাথে তার ঔষধও বের করে দেন। উসূলে ফেকাহবিদ গণ নিম্নোক্ত একটি মূলনীতি উল্লেখ করে তার আলোকে প্রয়োজনীয় অনেক নিষিদ্ধ বিধানকে সিদ্ধ করা প্রয়াস করে থাকেন। তারা বলেনঃ
 (১) ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ (প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়) এটা একটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে। যেমনঃ-কোরআন থেকে..... সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯ থেকে এ মূলনীতি চয়ন করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে....... (তাফসীরে মা'রিফুল কুরআন-দ্রষ্টব্য) সুতরাং মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য চিকিৎসার সার্থে পরিক্ষা-নিরীক্ষামূলক প্রাণীকে কাটা-ছেড়ে করা জায়েয। তবে এক্ষেত্রে দু'টি জিনিষ লক্ষণীয়। 

 (১)
কোনো প্রাণীকে যথাসম্ভব কষ্ট দিয়ে হত্যা করা যাবে না। নবীজী সাঃ বলেনঃ
 ﺇﻥّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻹِﺣْﺴَﺎﻥَ ﻋَﻠَﻰْ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻗَﺘَﻠْﺘُﻢْ ﻓَﺄَﺣْﺴِﻨُﻮﺍ ﺍﻟﻘِﺘْﻠَﺔَ ، ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺫَﺑَﺤْﺘُﻢْ ﻓَﺄَﺣْﺴِﻨُﻮﺍ ﺍﻟﺬّﺑْﺢَ ، ﻭَﻟْﻴُﺤِﺪَّ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺷَﻔْﺮَﺗَﻪ ، ﻓَﻠْﻴُﺮِﺡْ ﺫَﺑِﻴْﺤَﺘَﻪ 
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা প্রত্যক জিনিষের জন্য উত্তম আচরনের কথা লিখে দিয়েছেন। সুতরাং যখন তোমরা হত্যা করবে তখন তোমরা উত্তমভাবে হত্যা করো।আর যখন তোমরা জবেহ করবে তখন উত্তমভাবে যবেহ করো। তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যেন প্রথমে তার চুরিকে খোব দ্বার দেয়/তেজ করে তারপর সে উক্ত জন্তুর উপর চুরি প্রয়োগ করে জবেহ করার চেষ্টা করে।(সহীহ মুসলিম-১৯৫৫)
 
 (২)
উক্ত জিনিষ মৃত, সুতরাং তা নাপাকও।তাই পাক-পবিত্রতার দিকে নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...