আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
আসসালামু 'আলাইকুম। একজনের পক্ষ থেকে প্রশ্নটি করা...

তার জিজ্ঞাসাকৃত প্রশ্নটি নিম্নরূপ-

&;আমি কথাগুলো বলতে খুবই লজ্জাবোধ করছি , কিন্তু আমার মধ্যে পরকালের শাস্তি নিয়ে অনেক অনেক ভয় কাজ করতেছে, আমি কিভাবে এই মুখ নিয়ে রবের সামনে দাঁড়াবো । তাই কথা গুলো না& শেয়ার করে পারছি না....
আমি একজনকে খুব ভালোবাসতাম , তার কথাবার্তা-ব্যবহার দ্বারা বোঝা যেতো সেও আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে &;। আমরা বাইরে দেখা করার সবসময় সুযোগ পেতাম না বললেই চলে , কিন্তু এমন অন্তরঙ্গ সম্পর্ক হয়ে যায় (আল্লাহ মাফ করুক , কথাটা লিখতে আমার অন্তর কাঁপছে) আমরা গোপনে দেখা করতাম প্রায়শই । কিন্তু আধুনিক যুগে যেটাকে রুমডেট বলে সেটা হয়ে যায়, কিন্তু intimacy করিনাই আমরা কখনো । আমার রব আমাকে বলেছে যিনার কাছেও যেও না , আমি আমার নফসের গোলাম হয়ে গেছিলাম ক্ষণিকের ভালোবাসা পাওয়ার লোভে । সে আমাকে ঠিকি ধোঁকা দিয়ে তার মানসিক ব্যবস্থার মতো না হওয়ায় আমাকে ছেড়ে চলে গেছে , কিন্তু আমার রব আমাকে এখনো সময় দিয়েছেন । আমি খুব খুব লজ্জিত!!! আমার মন খচখচ করতেছে, চিন্তায় ঘুমানোও যেন কষ্টকর । আমি আলাদা করে তাওবার নিয়তে নফল সালাত আদায় করিনি , কিন্তু ধোঁকা দেয়া মানুষটির সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করার মাধ্যমে সকল&; সম্পর্ক নষ্ট করেছি তার সাথে আর জঘন্য কাজটি থেকেও বিরত হয়েছি । তাও আমার মন শান্ত হয় না , আমার মধ্যে ভয় কাজ করে । হুজুর , আমি কি করবো আমাকে মাসআলা দিন এই ব্যাপারে!!! আমি খুবই চিন্তিত !!!!&;

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨

অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}

عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»

হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০] 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
খাঁটিভাবে তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া জরুরী।

 তওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
(বান্দার হক থাকলে আগে সেটি আদায় করে আসতে হবে,বা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)

এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।

দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।

তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
,  
আরো জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে খালেস দিলে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।
সমস্ত অতিত ভুলে গিয়ে এহেন কাজ আর আগামীতে না করার ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন,ইনশাআল্লাহ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...