জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
إِذَا سَمِعْتُمُ النِّدَاءَ فَقُولُوا مِثْلَ ما يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ
“যখন তোমরা আজান শুনতে পাও তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বলবে।” [সহীহ বুখারি (ই.ফা.) ১০/ আজান, পরিচ্ছেদ: ৩৯৯। মুয়াজ্জিনের আজান শুনলে যা বলতে হয়।]
عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ فَقَالَ أَحَدُكُمْ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ، ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، ثُمَّ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ قَالَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ، ثُمَّ قَالَ حَيَّ عَلَى الصَّلاَةِ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ، ثُمَّ قَالَ حَيَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَالَ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ، ثُمَّ قَالَ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ قَالَ اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ، ثُمَّ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ مِنْ قَلْبِهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ-
ওমর রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যখন মুয়াজ্জিন বলে: ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ তখন যদি তোমাদের কেউ বলে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’,
অতঃপর যখন মুয়াজ্জিন বলে ‘আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সেও বলে ‘আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’,
মুয়াজ্জিন বলে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ সেও বলে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’,
এরপর মুয়াজ্জিন বলে, ‘হাইয়া আলাছ সালাহ’ তখন সে বলে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’,
পুনরায় যখন মুয়াজ্জিন বলে ‘হাইয়া আলোল ফালাহ’ সে বলে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’,
পরে যখন মুয়াজ্জিন বলে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’ সেও বলে ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার
অতঃপর যখন মুয়াজ্জিন বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সেও বলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’।
আর এই বাক্যগুলি মনে-প্রাণে ভয়-ভীতি নিয়ে বলে তাহলে সে জান্নাতে যাবে।”
[সহিহ মুসলিম]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আযানের জবাব আযানের প্রতিটি বাক্য শেষ হওয়ার পরেই দিতে হবে।
আযান শেষ হওয়ার পর পুরো জবাব দেওয়ার বিধান নেই।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি সহীহ নয়।
এক্ষেত্রে অন্য আযানের জবাব দিতে পারেন।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ ، عَنْ أَبِي إِياسٍ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا يُرَدُّ الدُّعَاءُ بَيْنَ الْأَذَانِ وَالْإِقَامَةِ ".
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দু‘আ আল্লাহ তা‘আলার দরবার হতে ফেরত দেয়া হয় না।
(আবূ দাঊদ ৫২১, তিরমিযী ২১২, সহীহ আত্ তারগীব ২৬৫, আহমাদ ৩/১৫৫ ও ২২৫.মিশকাতুল মাসাবিহ ৬৭১)
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহল্লার মসজিদের আযান ইকামতের মাঝের সময় ধর্তব্য।
বাসায় নামাজ আদায়ের সময় কালীন ইকামত ধর্তব্য নয়।
(০৩)
এ সময় চুপ থাকতে হবে।
জবান দেওয়া যাবেনা।
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত কুরআন ব্যবহার করা যাবেনা।
সুদ সমপরিমাণ টাকা গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে হবে।
এভাবে আমল,তিলাওয়াত কবুল হবেনা।
(তবে আল্লাহ তায়ালা কবুল করলে সেটি ভিন্ন কথা। )
(০৫)
এভাবে তিলাওয়াত কবুল হবেনা।
(তবে আল্লাহ তায়ালা কবুল করলে সেটি ভিন্ন কথা। )