আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
251 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। হুজুর আমার কথাগুলো পড়ে দয়া করে একসাথে উত্তর দিয়েন।আমি অনেক বড় সমস্যাই
১।হুজুর আমি কিছুদিন আগে ঈলা সম্পর্কে জানতে পারি।আমার স্বামী আমার কাছ থেকে দূরে থাকে।ফোনে কথা হয়।তহ একবার নাকি দুইবার ঠিক মনে নাই কয়বার শপথ করে ফেলে আর আসবে না আমার কাছে,সহবাস করবে না।মাঝে মাঝে মনে হয় করে নি শপথ।আবার খুব বেশি মনে হচ্ছে করেছে।৯৮% মনে হচ্ছে করেছে শপথ।করেছে বলে ধরে নিছি আমি।কারণ আমার বেশি মনে হচ্ছে করেছে শপথ,না করলে আমার মাথায় আসছে কেন।বললেও কিন্তু এর ১থেকে ২ ঘন্টা পর আবার ঠিক হয়ে যাইত সব আমার আর স্বামীর মাঝে।।মানে আসতে না পারলেও কথা হয়।লকাডাউনের কারণে আসতে চাইয়েও পারে নি।তহ কয়েকটা শায়েখের কাছে মাসআালা পেয়েছি তালাক হবে না।কারণ তালাক দেয়নি।আর যখন সুযোগ পেয়েছে তখন চলে আসছিল আমার কাছে।হুজুর ওই শায়েখদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।আমরা হুজুর ঈলা কি সেটাও জানতাম না।আমি থাকি আমার বাপের বাড়ি।তহ যতদিন আসতে পারে নি মাঝে মাঝে ঝগড়া হলে কেনায়া সূচক কথা,বলত।তালাকের উদ্দেশ্যে নই।ওনি বলতেছে না তালাকের নিয়ত কোনদিন ছিল না।শপথ করে বলেছে।তালাকের মজলিস ও ছিল কিনা মনে নেই।আপনারাও বলেছিলেন কেনায়া তালাকে তালাকের নিয়ত না থাকলে তালাক হয় না।হুজুর আমার কি এখন তালাক হবে?হুজুর আমাদের মাঝে সব ঠিক আছে।হুজুর এমন একটা ফতোয়া  দিন যাতে একটা তালাক ও না হয়।কারন হুজুর স্বামীর সামনে এই কথাগুলো বলতেও পারব না।ওনি রেগে যায়।দয়া করে এমন একটা ফতোয়া দিন যাতে একটা তালাক ও না হয়।আমরা হুজুর তখন ঈলা কি আর কেনায়া তালাক কি কিছুই জানতাম না।কয়েকদিন আগে জানতে পারি।আমাদের মাঝে সব ঠিক এখন।আমাদের সংংসার বৈধ তহ হুজুর? খুব ভয় হচ্ছে কাউকে কিছু বলতে পারতেছি না।কেনায়া বাক্য বললেও নিয়ত ছিল না ওনার।টেনশনে আমি পুরা অসুস্হ হয়ে গেছি।হয়ত পাগল হয়ে যাব কয়েকদিন গেলে।

২।হুজুর কেউ যদি শপথ করে বলে যে এটা করলে আমি মুসলমান থেকে বের হয়ে যাব অটোমেটিক।তহ ওই কাজটা করলে মানে শপথ ওটা ভন্গ করলে কি মুসলমান থেকে বহিঃস্কৃত হয়ে যাবে? রাগের মাথায় শপথ করেছে।কিন্তুু আল্লাহকে বিশ্বাস করে,ভয় করে।রাগের মাথায়,শপথ করে ফেললে,তা ভেন্গে ফেললে কি মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যাবে?ঈমান থাকা সত্ত্বেও?বিবাহিত হলে কি তালাক হবে?হুজুর আমি চিন্তায় শেষ হয়ে যাচ্ছি।আমার কোন উপায় নাই।

৩।প্লিস বলে ( ) এই  ইমুজি টা দিলে মেসেজে কি ঈমান চলে যাবে শির্ক হবে? আমি তহ হুজুর কারো কাছে ক্ষমা বা রাগ ভাংগানোর জন্য  ইউস করেছিলাম।আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করি নি।আমার ঈমান কি চলে গেছে?ইমুজিটা এখানে উঠে না হুজুর।

হুজুর অনেক বড় সমস্যাই।নিজের পছন্দমত বিয়ে করেছি।কাওকে কিছু বলতে পারতেছি না।বাসায় ও রাখবে না আমাকে।হুজুর উপায় কি আমার?খুব ভয়,হচ্ছে আমি টেনশনে পুরা অস্হির হয়ে গেছি হুজুর।চোখে পথ দেখতেছি না।আমার সংসার কি বৈধ আছে হুজুর?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
لِلَّذِیۡنَ یُؤۡلُوۡنَ مِنۡ نِّسَآئِہِمۡ تَرَبُّصُ اَرۡبَعَۃِ اَشۡہُرٍ ۚ فَاِنۡ فَآءُوۡ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲۶﴾

যারা নিজ স্ত্রীর সাথে সংগত না হওয়ার শপথ করে  তারা চার মাস অপেক্ষা করবে। অতঃপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(সুরা বাকারা ২২৬)

অর্থাৎ যদি কেহ মহান আল্লাহর নামে বা কুরআনের নামে কসম খেয়ে বলে যে, আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করব না, তবে তার চারটি দিক রয়েছে, প্রথমতঃ কোন সময় নির্ধারণ করল না। দ্বিতীয়তঃ চার মাস সময়ের শর্ত রাখল। তৃতীয়তঃ চার মাসের বেশী সময়ের শর্ত আরোপ করল। চতুর্থতঃ চার মাসের কম সময়ের শর্ত রাখল। বস্তুতঃ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিকগুলোকে শরীআতে ‘ঈলা’ বলা হয়। আর তার বিধান হচ্ছে, যদি চার মাসের মধ্যে কসম ভেঙ্গে স্ত্রীর কাছে চলে আসে, তাহলে তাকে কসমের কাফফারা দিতে হবে, কিন্তু বিয়ে যথাস্থানে বহাল থাকবে। পক্ষান্তরে যদি চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কসম না ভাঙ্গে, তাহলে সে স্ত্রীর উপর ‘তালাকে-কাতায়ী’ বা নিশ্চিত তালাক পতিত হবে। অর্থাৎ পুনঃর্বার বিয়ে ছাড়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়া জায়েয থাকবে না। অবশ্য চতুর্থ অবস্থায় নির্দেশ হচ্ছে এই যে, যদি কসম ভঙ্গ করে, তাহলে কাফফারা ওয়াজিব হবে। পক্ষান্তরে কসম পূর্ণ করলেও বিয়ে যথাযথ অটুট থাকবে। [মা'আরিফুল কুরআন থেকে সংক্ষেপিত]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈলার শর্ত পাওয়া যায়নি,তাই এক্ষেত্রে কোনো তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।    

(০২)

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যখন এ ধরনের কসম করেছিলেন,তখন আপনার যদি আকীদা এটি থাকে,যে আমি ঐ কাজ করলে সত্যিই কাফের হয়ে যাবো,তাহলে সেই কাজ করার দ্বারা কাফের হয়ে যাবে।

কেননা আপনি কাফের হয়ে যাওয়া ধরে নেওয়া সত্ত্বেও সেই কাজ করেছেন,বিধায় আপনাকে কুফরিতে সন্তুষ্ট ধরা হবে।  

এক্ষেত্রে নতুন ভাবে ঈমান আনতে হবে, নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

আর যদি সেই কাজ করার সময় আপনার এহেন আকীদা না থাকে,তাহলে উক্ত কাজ করার দ্বারা আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

তবে উভয় ছুরতেই উক্ত কাজ করার কারনে কাফফারা দিতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  


(০৩)
এতে ঈমান চলে যাবেনা।
শিরক হবেনা।
তবে অনেক স্কলারদের মতে নাক মুখ বুঝা গেলে এটি নাজায়েজ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...