জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
আপনার দাদার সম্পত্তি হতে তার স্ত্রী (আপনার দাদি) আট ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।
বাকি সম্পত্তি তার ৫ ছেলে আর দুই মেয়ের মাঝে এক ছেলে সমপরিমাণ দুই মেয়ে হিসেবে ভাগ করা হবে।
আপনার দাদার পুরো সম্পত্তি ৯৬ ভাগে ভাগ করা হবে।
১২ ভাগ পাবে তার স্ত্রী (আপনার দাদি)
১৪ ভাগ করে তার ৫ ছেলে মোট ৭০ অংশ পাবে।
৭ ভাগ করে তার দুই মেয়ে মোট ১৪ অংশ পাবে।
,
এখান থেকে আপনার বাবা যেই সম্পদ পাবে,তার মধ্যে আপনার মা আট ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।
বাকি সম্পত্তি আপনাদের ২ ভাই আর এক বোনের মাঝে এক ছেলে সমপরিমাণ দুই মেয়ে হিসেবে ভাগ করা হবে।
আপনার দাদার পুরো সম্পত্তি ৪০ ভাগে ভাগ করা হবে।
৫ ভাগ পাবে মাইয়্যিতের স্ত্রী (আপনার মা)
১৪ ভাগ করে আপনারা ২ ভাই মোট ২৮ অংশ পাবেন।
৭ ভাগ আপনার বোন পাবে।
,
(০২)
★মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।
,
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন :
تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ * وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ
অর্থ : এইসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরন করবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত। তারা সেখানে স্থায়ী হবে এবং এটা মহা সাফল্য। আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হবে এবং নির্ধারিত সীমাকে লঙ্ঘন করবে তাকে দোযখে নিক্ষেপ করবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং সেখানে তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি। সূরা নিসা-১৩-১৪
আল্লাহ তাআলা ওয়ারিশদের প্রত্যেকের অংশ নির্ধারন করে দিয়েছেন অতপর সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই বন্টন না মেনে নিজ থেকে করলে আল্লাহর দেওয়া সীমা লঙ্ঘনের ফলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
,
সহীহ বুখারীতে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. এর ফাতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন-
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার দাদির আগেই যেহেতু আপনার বাবা মারা গিয়েছে,সুতরাং আপনার দাদির সম্পদ থেকে তার ছেলে সন্তান বেঁচে থাকার কারনে আপনারা কোনো অংশ পাবেননা।