আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
182 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
জনাব,
আমার দাদা ৮.২৫ শতক জমি ক্রয় করেন ১৯৫৬ সালে। তিনি মারা যান ১৯৭০ সালে, তিনি মারা গেলে তার ওয়ারিশ থাকে তার ৫ ছেলে, ২ কন্যা এবং ১ স্ত্রী। ১৯৭৮ সালে ওয়ারিশ দের নামে নাম্পর্তন করা হয় এবং ১৯৯৭ সালে আর এস এ শরিকদের অংশ মোতাবেক রেকর্ড হয়। কিন্তূ জমির কোনো ভাগ বাটোয়ারা হয়নি। আমার পিতা মারা যান ২০০৪ সালে, তিনি মারা গেলে তার ওয়ারিশ থাকে ২ পুত্র, ১ কন্যা এবং ১ স্ত্রী। আমার দাদী ২০০৭ সালে মারা যান। ২০২১ সালে সম্পর্টির ভাগ বাটোয়ারা জন্য বাটোয়ারা কেস করা হয়েছে। আমার প্রশ্ন হল যে, যেহেতু আমার বাবা তার মার আগে মারা গেছে সেই ক্ষেত্রে কি আমরা আমার বাবার প্রাপ্য সম্প্রতি পাবো না কি আমাদের অংশ কমবে? আর দাদী অংশ থেকে পাবো কি?
(এখানে উল্লেখ্য যে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন ১৯৬১ ধারা ৪ এই বলা হয়েছে যে পিতা/মাতার পূর্বে তার কোনো সন্তান মারা গেলে ওই সন্তানের যদি কোনো পুত্র বা কন্যা থাকে তারা ওই পরিমাণ সম্পদ পাবে যা তাদের পিতা জীবিত থাকলে পেত।)

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
আপনার দাদার সম্পত্তি হতে তার স্ত্রী (আপনার দাদি) আট ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।
বাকি সম্পত্তি তার ৫ ছেলে আর দুই মেয়ের মাঝে এক ছেলে সমপরিমাণ দুই মেয়ে হিসেবে ভাগ করা হবে।
আপনার দাদার পুরো সম্পত্তি ৯৬ ভাগে ভাগ করা হবে।
১২ ভাগ পাবে তার স্ত্রী (আপনার দাদি)
১৪ ভাগ করে তার ৫ ছেলে মোট ৭০ অংশ পাবে।
৭ ভাগ করে তার দুই মেয়ে মোট ১৪ অংশ পাবে। 
,
এখান থেকে আপনার বাবা যেই সম্পদ পাবে,তার মধ্যে আপনার মা আট ভাগের এক ভাগ সম্পদ পাবে।
বাকি সম্পত্তি আপনাদের ২ ভাই আর এক বোনের মাঝে এক ছেলে সমপরিমাণ দুই মেয়ে হিসেবে ভাগ করা হবে।

আপনার দাদার পুরো সম্পত্তি ৪০ ভাগে ভাগ করা হবে।
৫ ভাগ পাবে মাইয়্যিতের স্ত্রী (আপনার মা)
১৪ ভাগ করে আপনারা ২ ভাই মোট ২৮ অংশ পাবেন।
৭ ভাগ আপনার বোন পাবে।
,
(০২) 
★মৃত ব্যাক্তির ছেলে সন্তান জীবিত থাকলে নাতী কোনো সম্পদ পাবেনা।
,
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন :

تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ * وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ

অর্থ : এইসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরন করবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে নহর প্রবাহিত। তারা সেখানে স্থায়ী হবে এবং এটা মহা সাফল্য। আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলের অবাধ্য হবে এবং নির্ধারিত সীমাকে লঙ্ঘন করবে তাকে দোযখে নিক্ষেপ করবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং সেখানে তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি। সূরা নিসা-১৩-১৪

আল্লাহ তাআলা ওয়ারিশদের প্রত্যেকের অংশ নির্ধারন করে দিয়েছেন অতপর সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই বন্টন না মেনে নিজ থেকে করলে আল্লাহর দেওয়া সীমা লঙ্ঘনের ফলে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।
সহীহ বুখারীতে হযরত যায়েদ বিন সাবেত রা. এর ফাতওয়া উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন-
ولا يرث ولد الابن مع الابن
অর্থ : ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি কোন মীরাস পাবে না। (সহীহ বুখারী ২/৯৯৭)

আরো জানুনঃ 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনার দাদির আগেই যেহেতু আপনার বাবা মারা গিয়েছে,সুতরাং আপনার দাদির সম্পদ থেকে তার ছেলে সন্তান বেঁচে থাকার কারনে আপনারা কোনো অংশ পাবেননা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...